খুলনায় তিব্র দাবদাহে পুড়ছে শ্রমজীবি মানুষেরা

শেখ ফেরদৌস রহমান: খুলনায় গেল কয়েকদিন যাবৎ বইছে তিব্র দাবদাহ। এতে করে জনজীবন অতিষ্ট হচ্ছে। বিশেষ করে খেটে খাওয়া দৈনিক পারিশ্রমিক শ্রমজীবি রিক্সা চালক, ভ্যান চালক যারা আছে তারা আরও বেশি সমস্যার সম্মুখিন হতে হচ্ছে। এছাড়া অতি গরমে শরিরে পানি শূণ্যতা, ডায়েরিয়া, সর্দি গলাব্যাথাসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে সাধারণ মানুষেরা। খুলনা সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালে বাড়ছে ডায়েরিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। এ দিকে আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে আরও কয়েকদিন থাকতে পারে এমন আবহাওয়া। তবে আকাশে মেঘলা বা বৃষ্টিপাত হলে কিছুটা তাপমাত্রা কমবে। মূলতঃ মৌসুমী আবহাওয়ার কারণে এমন তাপমাত্রা বাড়ছে। গতকাল ছিল খুলনায় সর্বেচ্চ তাপমাত্রা ৩৯ ডিঃ সেঃ এছাড়া বাগেরহাট মোংলা ছিল ৪০ ডিঃ সেঃ যা তিব্র দাবদাহের আওতায় পড়েছে। কথা হয় রিক্সাচাল মোঃ মজনু মিয়ার সাথে তিনি বলেন, আমার পায়ে প্যাডেল চালিত রিক্সা। গেল কয়েকদিন যাবৎ যে গরম পড়েছে এতে করে জনজীবন অতিষ্ট হয়ে পড়েছে। ঈদের পর হাতে কাছে কোন টাকা নেই বাধ্য হয়ে রিক্সা নিয়ে বের হয়েছি। এছাড়া সড়কে বলতে পারেন ফাকা কোন যাত্রী পাওয়া যাচ্ছেনা। এই গরম উপেক্ষা করে সারাদিন সড়কে অপেক্ষা থাক ও শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। যে কারণে সন্ধ্যার আগে বিকালে বের হচ্ছি। এছাড়া গতকাল নগরীর বিভিন্ন এলাকায় দেখা যায় অনেকে বাধ্য গরম থেকে বাঁচতে কেউ গাছতলা বা উন্মুক্ত পার্কে যেয়ে বসে আছেন। পাশাপাশি নগরীতে হাক-ডাক ছেড়ে লেবুর সরবেত বিক্রি করছে সেখানে ও গরমে তৃষ্ণার্ত মানুষেরা ভিড় জমাচ্ছে এই গরম তপ্ত রোদের হাত থেকে বাঁচতে ঠান্ডা পানির সরবত পান করছেন। পাশাপাশি দেখা যায় তিব্র গরমে ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা দায়িত্ব পালন করতে যেয়ে বেশ হিমশিম খাচ্ছে। কিছুক্ষণ দায়িত্ব পালন করতে তাদের শরির হতে মাত্রাতিরিক্ত ঘাম ঝরছে। কেউ কেউ আবার সড়কের মাঝখানে বিলবোর্ডের সামান্য ছায়ার মধ্যে দাঁড়িয়ে আশ্রয় নিচ্ছে। আবার যানজট দেখলে দৌড়ে আবার নিয়ন্ত্রণ করছে। এছাড়া সরেজমিনে দেখা যায় খুলনা সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে গরমজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে রোগীরা। অধিকাংশ রোগেী ডায়েরিয়াসহ পানি শূণ্যতা ছাড়া হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হচ্ছে। এ বিষয়ে কথা হয় সিভিলসার্জন (ভারপ্রাপ্ত )ডাঃ শেখ মোহাম্মাদ কামাল হোসেন সাথে তিনি বলেন, বেশি সময় এই তপ্ত রোদে এক টানা কাজ করা যাবেনা। এছাড়া কাজের ফাকে ফাকে ছায়া জায়গায় কসে বিশ্রাম নিতে হবে। কোন অবস্থায় ঠান্ডা জাতীয় পানি পান করা যাবেনা। বাহিরের থেকে ঘাম অবস্থা যেয়ে গোসল করা যাবেনা। কিছু সময় অপেক্ষা করতে হবে শরির টা যেন এডযাস্ট হয়।অতিরিক্ত ঘাম ঝড়লে স্যালাইন পানি পান করতে হবে।সতর্কতা অবলম্বন না করতে পারলে হিটস্ট্রোক হওয়ার সম্ভবনা আছে।