স্থানীয় সংবাদ

‘অপরাধ দমনে আমরা সর্বদা তৎপর’

# দৌলতপুর থানায় প্রেস ব্রিফিংয়ে অতিঃ উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তর) #

স্টাফ রিপোর্টার ঃ কেএমপি’র দৌলতপুর থানার সভাকক্ষে বুধবার (১০ জুলাই) দুপুর ৩টায় অস্ত্র মামলার ১৭ বছরের সাজা প্রাপ্ত ১ আসামীকে গ্রেফতার, দৌলতপুরে চাঞ্চল্যকর শহিদ হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত ৯ বছরের পলাতক আসামীকে গ্রেফতার ও চুরি হওয়া ইজিবাইক উদ্ধার পূর্বক চোরচক্রের ৩জন সক্রীয় সদস্যকে গ্রেফতার সংক্রান্তে প্রেস ব্রিফিং করেছেন কেএমপি’র অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তর) সোনালী সেন। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, খুলনা মেট্রো পলিটন পুলিশ অপরাধ দমন, আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রন এবং নগরবাসিকে পুলিশি সেবা দিতে সর্বদা তৎপর। আমরা বিগত কয়েক মাস থেকে কেএমপি’র উত্তর জোনে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী, নাশকতাকারি, স্বর্ণ চোরাচালানকারী, মাদক ব্যবসায়ী, জঙ্গী, অস্ত্র গোলাবারুদ ব্যবসায়ী, চোরাই মোটরসাইকেল, জুয়ারী, বিকাশ এবং অনলাইন প্রতারক, সাজাপ্রাপ্ত পরোয়ানাভুক্ত হত্যাকান্ডে জড়িত আসামী ও ভুমিদস্যুসহ সমাজে যারা প্রভাব বিস্তার করে নাশকতা সৃষ্টি করতে পারে তাদের গ্রেফতারের জন্য সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা অব্যাহত রেখেছি। ওই ধারাবাহিকতায়, বিগত ২০২০ সালের ১৫ জানুয়ারি দৌলতপুর থানাধীন পাবলা নতুন রাস্তা মোড় এলাকায় অভিযান চালিয়ে বিএল কলেজ সংলগ্ন মালা গ্যারেজ মোড়স্থ পশ্চিম কাশিপুর এলাকার বাসিন্দা মো. অহিদুজ্জামানের ছেলে মো. আসাদুজ্জামান রিপনকে ১টি দেশীয় বন্দুক ও ২টি বন্দুকের কার্তুজসহ গ্রেফতার করা হয়েছিল। ওই দিনই গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় অস্ত্র আইনে ১টি মামলা রুজু করা হয়েছিল। গ্রেফতারকৃত আসামী বিচারিক কার্যক্রম শেষে অপরাধী সাব্যস্ত হওয়ায় আদালত তাকে ১৭ বছরের সাজা প্রদান করে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দৌলতপুর থানা পুলিশ জানতে পারে যে সাজাপ্রাপ্ত ওই আসামী গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী থানা এলাকায় অবস্থান করছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশের ১টি চৌকস টিম মঙ্গলবার ( ৯ জুলাই) রাতে সেখানে অভিযান চালিয়ে ওই সাজাপ্রাপ্ত আসামীকে গ্রেফতার করে। ১৭ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামী আসাদুজ্জামান রিপন দুধর্ষ বোমা প্রস্তুত কারক, অস্ত্র বহনকারি ও সন্ত্রাসী হিসেবে এলাকায় পরিচিত। গ্রেফতারকৃত রিপন দৌলতপুর থানার অস্ত্র আইনের মামলা, বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলাসহ ৪টি মামলারএজাহারভুক্ত আসামি বলে জানা গেছে।
অপর একটি বিশেষ অভিযান চালিয়ে দৌলতপুর থানা পুলিশ , সোমবার (৮ জুলাই) রাতে সোনাডাঙ্গা থানাধীন বয়রা পূজাখোলা এলাকা থেকে দৌলতপুরের চাঞ্চল্যকর শহিদ হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি পাবলা মধ্যপাড়ার শেখ মুজিবুর রহমানের পুত্র মো. মঈন ওরফে রিফুজ মঈন (৪২) কে গ্রেফতার করেছে। আসামী ৯ বছর আত্মগোপনে থাকার পর তাকে গ্রেফতার করে সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ। আরেকটি বিশেষ অভিযান চালিয়ে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দৌলতপুর থানা পুলিশের একটি চৌকস টিম মঙ্গলবার (৯ জুলাই) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে নগরীর লবণচরা থানা এলাকার মুহাম্মদ নগরস্থ জাহেদ জুনায়েদ এন্টার প্রাইজের সম্মুখ হতে ইজিবাইক চুরির ঘটনায় প্রত্যক্ষভাবে জড়িত থাকা আসামীদ্বয় সোনাডাঙ্গা ইসলামিয়া কলেজ রোডস্থ মিলগলির আক্তারের ভাড়াটিয়া (বর্তমান ঠিকানা) মো. আব্দুল সত্তার মৃধার ছেলে মো. আমির মৃধা (৪৬) ২. খালিশপুর নয়াবাটি মনজুরের বাড়ির ভাড়াটিয়া মো. নুর ইসলামের ছেলে মো. পারভেজ (২৩) ও খালিশপুর হাউজিং ( বর্তমান ঠিকানা) এলাকার বাসিন্দা মো. রইচউদ্দিনের ছেলে আব্দুল্লাহ আল মামুন (৪০) কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে দৌলতপুর থানা পুলিশ। দৌলতপুর থানা এলাকায় অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী, সন্ত্রাসী কার্যক্রম, নাশকতাকারি, মাদক ব্যবসায়ী, চুরি-ডাকাতি, অনলাইন প্রতারকসহ সাজাপ্রাপ্ত পরোয়ানাভুক্ত আসামীদের গ্রেফতার ও আইন-শৃঙখলা নিয়ন্ত্রনে চলমান অব্যহত থাকবে। থানা এলাকার জনগনের জালমালের নিরাপত্তা নিশ্চিতে দৌলতপুর থানা পুলিশ বদ্ধ পরিকর থাকবে। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, সহকারী পুলিশ কমিশনার (দৌলতপুর জোন) আবুল বাশার, দৌলতপুর থানা অফিসার ইনচার্জ প্রবীর কুমার বিশ^াস, ওসি (তদন্ত) শহিদুল ইসলাম, সেকেন্ড অফিসার মিহির কান্তি মন্ডলসহ কর্মকর্তাবৃন্দ , বিভিন্ন ইলেকট্রিক মিডিয়া ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button