যশোরে বিধবার অটো রিক্সা নিয়ে চম্পট চালককে গণধোলাই : মামলা

যশোর ব্যুরো ঃ এক বিধবা নারীর ৭৫ হাজার টাকা মূল্যের অটো রিকশা ভাড়ায় চালানোর কথা বলে চুরি করে অজ্ঞাত স্থানে বিক্রি করার অভিযোগে কোতয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। বিধবার মেয়ে যশোর শহরের বেজপাড়া আজিমাবাদ কলোনীর নুর ইসলামের স্ত্রী ও মৃত আসলামের মেয়ে মোছাঃ শারমিন আক্তার মুক্তা বাদি হয়ে সোমবার দিবাগত গভীর রাতে কোতয়ালি থানায় মামলা করেন।মামলায় আসামী করেন, নড়াইল জেলার সদর থানার বগুড়া গ্রামে বর্তমানে যশোর শহরের বেজপাড়া আজিমাবাদ রাজুর বাসার ভাড়াটিয়া ইরাদ আলী শেখ এর ছেলে আব্দুস সামাদ, বেজপাড়া আজিমাবাদ কলোনীর হামজা ও নড়াইল জেলার সদর থানার বাঁশগ্রাম ইউপি’র বগুড়া গ্রামের মোশারেফ হোসেনের ছেলে টুটুল শেখ ওরফে রনি। স্থানীয় জনগণ আব্দুস সামাদকে ধরে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে।
এামলায় বাদি উল্লেখ করেন,তার বিধবা মাতা আনোয়ারা বেগম (৬০) তার নিজ নামীয় একটি চার ব্যাটারী বিশিষ্ট হলুদ রংয়ের নতুন অটো রিকশা ৭৫ হাজার টাকায় কিনে ভাড়ায় চালাতেন। আব্দুস সামাদ বিধবার অটো রিকশা বিগত ২মাস যাবত ভাড়ায় চালাতো। প্রতিদিনের ন্যায় গত ২৩ জুলাই সকাল ৮ টায় বিধবার বাড়ির গ্যারেজ থেকে অটো রিকশা উক্ত যুবক চালানোর কথা বলে সহযোগী হামজার সাথে বের হয়ে যায়। ওই দিন ফিরে না আসায় তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে বিভিন্ন তালবাহনা করতে থাকে। হামজা তার মোবাইল ফোন বন্ধ করে দেয়। এলাকার স্থানীয় লোকজনসহ বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুজি করে না পাইলে বাদি বুঝতে পারে আব্দুস সামাদ ও হামজা রিকশাটি ভাড়া চালানোর কথা বলে নিয়ে কৌশলে চুরি করে অজ্ঞাতস্থানে বিক্রি করে দিয়েছে। বিষয়টি থানা ও ডিবি পুলিশকে অবহিত করে খোঁজাখুজি অব্যাহত রাখা হয়। খোঁজাখুজির এক পর্যায় সোমবার ২৯ জুলাই রাত সাড়ে ৮ টায় আব্দুস সামাদকে শংকরপুর বাসটার্মিনাল এলাকায় দেখতে পেয়ে স্থানীয় রাজু ও করিমুজ্জামানসহ আরো অনেকেই আটক করে। সে সময় উত্তেজিত জনতা আব্দুস সামাদকে উত্তম মাধ্যম দেয়। এক পর্যায় সে স্বীকার করে রিকশাটি খুলনা ফুলতলায় নিয়ে টুটুল শেখ ওরফে রনির কাছে ব্যাটারী বিক্রি করে রিক্সার বডিটি ফুলতরা বাসস্ট্যান্ডের কাছে যশোর টু খুলনা মহাসড়কের পাশে ফেলে রেখেছে। বিষয়টি ডিবি পুলিশকে অবহিত করলে রাজু ও করিমুজ্জামান ও বাদির স্বামী নুর ইসলামসহ আটক আব্দুস সামাদকে নিয়ে ডিবি পুলিশ রাত সাড়ে ১০ টার সময় উক্ত স্থান হতে রিক্সার বডি উদ্ধার করে। পরে সহযোগী আসামী ও ব্যাটারী উদ্ধারের চেষ্টা করে ও সম্ভব হয়নি। পরে আব্দুস সামাদকে কোতয়ালি থানায় সোপর্দ করে নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়। মঙ্গলবার ৩০ জুলাই দুপুরে চোর আব্দুস সামাদকে আদালতে সোপর্দ করা হয়।



