১৯৫ জনকে আসামী করে মামলা ঃ গ্রেফতার ৪

মানিকতলায় বিএনপির সমাবেশে হামলা ভাংচুর
স্টাফ রিপোর্টারঃ নগরীর মানিকতলায় বিএনপির সুধী সমাবেশে হামলা, ভাংচুর ও মারধরের ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে ১নং ওয়ার্ড বিএনপি সদস্য জাকির হোসেন (৩৭) বাদী হয়ে ১৯৫ জনকে আসামী করে দৌলতপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। পুলিশ অভিযান চালিয়ে এজাহারভুক্ত চারজনকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃতরা হলো, দিবা নৈশ কলেজ ছাত্রলীগ নেতা আকবর হোসেন, সাহেদ কাজী, মোঃ সবুজ ও বিএল কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সাঃ সম্পাদক মোঃ হাবিব। বুধবার এদের জেল হাজতে প্রেরণ করা হয় বলে বাদী জাকির হোসেন জানান। এজাহারে উল্লেখ করা হয়, গত ১ অক্টোবর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় নগরীর দৌলতপুর থানাধীন মানিকতলা শহীদ মিনার চত্তর মেইন রোড সংলগ্ন বিএনপির ১নং ওয়ার্ডের সুধী সমাবেশ চলাকালীন সময়ে খুলনা মহানগর বিএনপির বক্তারা বক্তৃতা শুরু করেন। এ সময় তৎকালীন আওয়ামীলীগের ১নং ওয়ার্ডের সভাপতি ও সাবেক কাউন্সিলর শাহাদত মিনার (৪৮) নেতৃত্বে পূর্ব হতে ওঁত পেতে থাকা দুর্বৃত্তরা পরিকল্পিতভাবে একই উদ্দেশ্যে দেশীয় অস্ত্র সন্ত্র, লাঠি শুটা, রামদা, দা, লোহার রড, রেলের খোয়া দিয়ে বেআইনি জনতাবদ্ধে সমাবেশে অনাধিকার প্রবেশ করে সমাবেশে থাকা শতাধিক নেতা কর্মীদের উপর অতর্কিত হামলা করে। আসামী মোঃ শাহাদাত মিনার হাতে থাকা লাঠি শোটা দিয়ে ১নং ওয়ার্ড যুবদলের সাধারন সম্পাদক মোঃ আশরাফুলকে আঘাত করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে নিলা ফুলা জখম করে এবং তার কাছে থাকা ডাচ্ বাংলা ব্যাংকের ৮ লক্ষ টাকা লুট করে নিয়ে যায়। ৩নং আসামী আল আমিন ১নং ওয়ার্ড বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আইয়ুব আলীকে লোহার রড দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় আঘাত করলে সেই আঘাত হাত দিয়ে ঠেকালে হাতে ফুলা জখম হয় এবং তার গলায় থাকা স্বর্ণের চেইন নিয়ে যায়। যার মূল্য ৮০ হাজার টাকা। অন্যান্য সকল আসামীগণ সমাবেশের মঞ্চে থাকা ৪টি সাউন্ড বক্স এবং ১টি সাউন্ড বক্স এর মেশিন নিয়ে যায়। যার মূল্য-২ লাখ টাকা এবং মঞ্চের সামনে থাকা প্রায় ৩০/৪০টি চেয়ার ভাংচুর করে ১৫ হাজার টাকা ক্ষতি সাধন করে। পরবর্তীতে আসামীগন অকথ্য ভাষায় গালি গালাজসহ বিভিন্ন ধরনের ভয়-ভীতি ও প্রাণ নাশের হুমকি প্রদান করে চলে যায়। এ ঘটনায় জাকির হোসেন বাদী হয়ে ১৯৫ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। যার মধ্যে ৪৫ জন এজাহারভুক্ত আসামী। আসামীরা হলো,সাবেক কাউন্সিলর মোঃ শাহাদত মিনা (৪৮), মোঃ নাজমুল (৩২), মোঃ আল আমিন (২৪), মোঃ মিলন (৩১), মোঃ হালিম (৫২), মোঃ আফজাল (৪২), মোঃ মিরাজ (২৮), মোঃ শান্ত (২২), মোঃ আনোয়ার হোসেন (৪০), মোঃ বুলবুল (৪৮), মোঃ হারুন অর রশিদ (৫৫), মোঃ আশিক (২৭), মোঃ আকবর (৩৫), ওয়াজেদ আলী মজনু (৫৫), মোঃ হাবিব (৪০), মোঃ আবু (৬০), মোঃ শাওন (৩৫), মোঃ শুভ (২৪), তৈয়বুর রহমান লিটন (৪৭), সাঈদ গাজী (৪৭), মোঃ সেলিম (৫৩), বাবুল নন্দি (৪৫), মোঃ রসুল (৩৫), মোঃ রাসেল (৩০), মোঃ অশ্রু (৪২), মোঃ বাবু (২৮), মোঃ সোহাগ (৩০), সোহেল (২৮), মোঃ মহসিন (৫৫), মোঃ রাহ্যফাত (৩৫), মোঃ কালাম (৪৫), মোঃ সাইফুল (৩৫), মোঃ রিয়াজ (২০), বিদ্যুৎ চৌধুরী মিলন (৩৫), মোঃ আরিফ চৌধুরী (৪৫), মনির হোসেন (৩৫), মিজানুর রহমান রুপম (৪৮), মোঃ ফরহাদ (৩৫), ফয়সাল শেখ (৪০), গাজী আঃ কাদের মাস্টার (৬০), মোঃ নুর আলম (৪২), মোঃ হাবিব শেখ (৩৫), মোঃ মিন্টু হাওলাদার (৪২), মোঃ সবুজ (৪২), আনোয়ার হোসেন (৪৫)। দৌলতপুর থানার অফিসার্স ইনচার্জ মীর আতাহার আলী জানান, এ মামলায় চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মামলায় প্রায় ২শত জনকে আসামী করা হয়েছে।