যশোরে ডাক্তার ও তার দুই বোনকে হত্যা চেষ্টার অভিযোগে স্ত্রীসহ দুই জনের নামে আদালতে মামলা
যশোর ব্যুরো ঃ যশোরে এক ডাক্তার ও তার দুই বোনকে মারপিট এবং গাড়ি চাপা দিয়ে হত্যা চেষ্টার অভিযোগে চিকিৎসক স্ত্রী ও প্রেমিকসহ ৫/৬ জনের বিরুদ্ধে যশোর আদালতে মামলা হয়েছে। ১৪ অক্টোবর সোমবার বাঘারপাড়ার নারকেলবাড়িয়া গ্রামের হারুন অর রশিদের ছেলে ডাক্তার জামিউল হাসান সেতু বাদী হয়ে এ মামলা করেছেন।
সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইমরান আহম্মেদ অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গ্রহন করার আদেশ দিয়েছেন কোতয়ালি থানার ওসিকে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীর আইনজীবী জিএম কামরুজ্জামান।
আসামিরা হলো যশোর শহরের ঘোপের খলিলের ছেলে হৃদয় হোসেন ও সদরের নতুনহাট তেঘরিয়া গ্রামের মৃত শহিদুল ইসলামের মেয়ে ও ঘোপ জেল রোডের মাতৃসেবা ক্লিনিকের ডাক্তার সোনিয়া শারমিন।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, ডাক্তার জামিউল হাসান সেতুর স্ত্রী আসামি সোনিয়া সারমিন। সোনিয়া শারমিনের সাথে সেতুর সংসার জীবনে নানা প্রতিকুলতার মধ্য দিয়ে চলছে। পাল্টাপাল্টি মামলাও হয়েছে। সন্তানের কথা চিন্তা করে সেতু তার স্ত্রীকে বাদ দিতে পারেননি। টেনেটুনে সংসারটা চালিয়ে যাচ্ছেন। এরমধ্যে শারমিন আসামি হৃদয় হোসেনের সাথে পরোকিয়ায় জড়িয়ে পড়েছে। এনিয়ে তাদের মধ্যে মনোমালিন্যের সৃষ্ঠি হয়। এরমধ্যে গত ৭ অক্টোবর রাতে সেতু জানতে পারেন তার স্ত্রীর ব্যবহৃত প্রাইভেট গাড়িটি যশোর শহরের চাঁচড়া তেতুলতলায় পার্ক করা আছে। ডাক্তার সেতু এ সংবাদ পেয়ে তার দুইবোনকে সাথে অপর একটি প্রাইভেট গাড়ি নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। পার্ক করা প্রাইভেট গাড়ির কাছে যেয়ে দেখেন ভিতরে দুই জন বসা আছে। গাড়ির দরজা খুলতে বললে তারা ডাক্তার সেতুকে চাপা দিয়ে দ্রুত পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। সেতু বিষয়টি বুঝতে পেরে দ্রুত সিটকে পড়লে তারা দ্রুত গাড়ি নিয়ে পালিয়ে যায়। পিছু ধাওয়া করে চেকপোস্ট শ্রমিক ভবনের সামনে যেয়ে তাদের গতিররোধ করলে তারা সেতুর গাড়িতে ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এমরধ্যে তার গাড়ি থেকে নেমেয় লোহার রড দিয়ে সেতু ও তার দুই বোনকে বেদম মারপিট করে। এমধ্যে স্থানীয়রা বিষয়টি বুঝতে পেরে সেতু ও তার দুই বোনকে উদ্ধার করে এবং যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে পাঠায় চিকিৎসার জন্য। এ ঘটনায় থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ তা গ্রহন না করায় তিনি আদালতে এ মামলা করেছেন।