স্থানীয় সংবাদ

খুলনায় ডাম্প ট্রাক দুর্ঘটনায় মৃত্যু মিছিল!

*** নেমপ্লেট বিহীন অপ্রাপ্তবয়স্কদের হাতে ডাম্প ট্রাকের হুইল নেমপ্লেট বিহীন গাড়ি আতংকে সাধারণ মানুষ
*** টাকার বিনিময় না হলে প্রশাসনে এক দিনে ইচ্ছা করলে বন্ধ করতে পারেন : মন্তব্য ড্রাইভারদের

আনিছুর রহমান কবিরঃ খুলনায় হাইওয়ে রাস্তা থেকে শুরু করে প্রতিটি অলিতে গলিতেই ডাম্প ট্রাক আতঙ্ক। এ সকল ডাম্প ট্রাকের অধিকাংশ চালক অপ্রাপ্তবয়স্ক, নেই গাড়ির নেমপ্লেট। মোবাইলে কথা বলা অবস্থায় যত্রতত্র ড্রাইভিং। নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে প্রশাসনের নাকের ডগা দিয়ে প্রতিদিনই চলছে হাজারো এসকল অবৈধ ডাম্প ট্রাক । আর এ সকল ডাম্প ট্রাকে প্রাণ গেছে স্থানীয় প্রায় ১১ জন পথচারীর। শহরের মধ্যে এ সকল বালুর বেড হওয়ায় ধুলাবালিতে রাস্তাঘাট শহর দোকান পাট নষ্ট হচ্ছে। এ নিয়ে চাপা ক্ষোভ ব্রাশ করছে সাধারণ মানুষের মাঝে। একটি প্রভাবশালী মহলের ছাত্র ছায় দীর্ঘদিনের খুলনা রুপসা ব্রিজের নিচের থেকে শুরু করে বিভিন্ন হাইওয়ে রাস্তার পাশে চলছে এসকল অবৈধ বালির ব্যবসা। রুপসা ব্রিজের নিচে আশপাশ এলাকায় প্রায় ১৫ থেকে ১৬ টি বালির বেড গড়ে ওঠায় এখান দিয়ে প্রতিদিনই শতশত বালির ট্রাক চলাচল করছে। আর এ সকল ট্রাকের অধিকাংশ ড্রাইভার অপ্রাপ্তবয়স্ক, নেই নেমপ্লেট, ঘটছে মৃত্যুর মতো ঘটনা। ধুলাবালিতে অতিষ্ঠ হয়ে এলাকা ছাড়ছেন অনেকেই। এলাকায় যারা আছেন তারা প্রতিদিনই অসহায় দিন যাপন করছেন।
স্থানীয় দোকানদার সুমন বলেন, এখানে র‌্যাবের অফিস রয়েছে নৌ বাহিনীর অফিস রয়েছে তারপরও এ সকল অবৈধ কাজগুলো চলছে আমরা সকাল থেকে রাত পর্যন্ত বালির মধ্যে ডুবে থাকি দেখার কেউ নেই। আবুবক্কার নামের এক বাড়ির মালিক বলেন, আমাদের আশপাশের অনেকেই বাড়ি বিক্রি করে কেউ বাড়ি ভাড়া দিয়ে অন্যত্র চলে গিয়েছেন এই বালির জন্য যে আমরা অভিযোগ করবো আমরা অসহায় প্রশাসন শুধু মুখে মুখে বুলি দেয়। এ বিষয়ে নেমপ্লেট ও হেল্পার বিহীন গাড়ির ড্রাইভাররা নিজেদের ভুল স্বীকার করে অপ্রাপ্তবয়স্কদের দিয়ে গাড়ি চালানোর মূল কারণ প্রকাশ করলেন। এ বিষয়ে রিপন নামে এক ড্রাইভার বলেন, অপ্রাপ্ত বয়স্কদের দিয়ে ডাম্পিং ট্রাক গাড়ি চালায় মালিকেরা কারণ তারা অল্প টাকায় ড্রাইভার নিতে পারে। ইমরান নামের এক ড্রাইভার বলেন, প্রশাসন প্রতি মাসে টাকা নেয় প্রশাসনকে টাকা দিয়েই ট্রাক মালিকরা অপ্রাপ্তবয়স্কদের দিয়ে নেমপ্লেট বিহীন গাড়ি চালায়। প্রশাসন ইচ্ছা করলে একদিনের মধ্যে সব বন্ধ করে দিতে পারে। তাহলে বন্ধ হচ্ছে না কেন আপনার এই ভেবে ভেবে দেখেন। এ বিষয়ে লবণচড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ তৌহিদুজ্জামান বলেন, আমরা নজরে রাখছি তবে সব আমাদের উপর চাপিয়ে দিলে হবে না। আমাদের কাছে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আসলে অবশ্যই খতিয়ে দেখব।
সাবেক ছাত্রনেতা ৩১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলার আরিফুল ইসলাম মিঠু বলেন, অপ্রাপ্তব বয়স্কদের দিয়ে এ সকল ডাম্পিং ট্রাক চালানোর কারণে খুলনা ৩১ নং ওয়ার্ডে প্রাণ গিয়েছে প্রায় ১১ জনের। এ নিয়ে অনেক প্রতিবাদ করলেও কোন সুফল মেলেনি বলে জানান এই সাবেক এই কাউন্সিলর। আমরা অনেকবার চেষ্টা করেছি বন্ধ করার জন্য, কিন্তু এদের ক্ষমতা এদের যোগসূত্র অনেক বড়। উপ-পুলিশ কমিশনার- সিটিএসবি (অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত) এম,এম শাকিলুজ্জামান বলেন, বিষয়টি সত্য তবে আমরা এ নিয়ে কাজ করতেছি খুব দ্রুতই এর সুফল পাবে জনগণ। তবে জনগণসহ মালিক ও ড্রাইভারদেরও সচেতন হতে হবে। তাহলে এই কাঙ্খিত সুফল মিলবে। ভাই আমরা আজ অভিযান করবো কাল আবার তারা শুরু করবে। তবে, দ্রুতই প্রশাসন ব্যবস্থা গ্রহণ করবে অপ্রাপ্ত বয়স্ক শিশুদের হাত থেকে তুলে নেওয়া হবে ডাম্পিংট্রাক এর হুইল, আতঙ্ক ও মৃত্যুমুক্ত হবে শহর এলাকা এমনটাই প্রত্যাশা খুলনাবাসীর।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button