অস্থির হবজির বাজার : বিপাকে নি¤œ আয়ের ও মধ্যবিত্তরা
শেখ ফেরদৌস রহমান ঃ সাম্প্রতিক লাগামহীনভাবে বেড়েই চলেছে কাচা তরকারী ও সবজির বাজার। কোনভাবেই নিয়ন্ত্রনে আসছেনা। হঠাৎ কয়েকদিনের ব্যবধানে সব ধরণের সবজির দাম বেড়েছে দ্বিগুন। এতে করে বেশি বিপাকে পড়েছে খেটে খাওয়া গরীব অসহায় মানুষ ও সাধারন নি¤œ মধ্যবিত্তরা। সরেজমিনে দেখা যায়, নগরীর বিভিন্ন বাজারে সবজির পাশাপাশি বেড়েছে চাল এর মুল্য। খুলনা সন্ধ্যা বাজারে সবজি ব্যাবসায়ি মামুন বলেন, আমরা পাইকারি বাজার থেকে বেশি দামে ক্রয় করছি । আগের তুলনায় প্রতি দাড়িতে বেড়েছে ১৫০ থেকে ২৫০ টাকা পর্যন্ত । এখানে খুচরা বিক্রেতারা প্রতি কেজি সবজিতে পাঁচ থেকে দশ টাকা পর্যন্ত লাভ করছে । অনেক ক্রেতারা এসে মুল্য নিয়ে দর কষাকষি করলেও এখন তেমন কেউ কিছু বলছেনা। এছাড়া আগের তুলনায় বেচাকেনা ও একটু কমেছে। তাছাড়া দেখা যায়, নগরীর দৌলতপুর রেল লাইনের কাচাবাজারে অন্যান্য বাজারের তুলনায় কেজি প্রতি সবজি থেকে দশ টাকা থেকে পনেরো টাকা কম পাওয়া যাচ্ছে। যে কারনে সন্ধ্যার পর নি¤œ মধ্যবিত্ত ও খেটে খাওয়া ব্যক্তিদের উপচে পড়া ভিড় চোখে পড়ার মত। কথা হয় চাউল ব্যাবসায়ি রিপন মোল্লার সাথে তিনি বলেন, চালের দাম বেড়েছে স্বর্ণা মোটা চাল ৫০ টাকা, ২৮ বালাম প্রকারভেদে ৫৭ টাকা থেকে ৬৪ টাকা, বাসমতি প্রকার ভেদে ৮০টাকা থেকে ৯৫ টাকা ও নাজিরশাল প্রকারভেদে ৭০টাকা থেকে ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে বলে জানিয়েছে । মূলতঃ অতিবৃষ্টির কারণে মিলাররা ধান শুকাতে পারছেনা। যেকারণে সরবরাহ কম। চালের দাম বাড়তী। এ বিষয়ে কথা হয় দিন মজুর মিনহাজুলের সাথে তিনি বলেন, সবজির মুল্য কেজি প্রতি নূন্যতম ৭০ টাকা তাই রাস্তার পাশে কাচা বাজারে অথবা রেল লাইনের পাশে একটু দাম কম আছে যে কারনে এই বাজার থেকে ক্রয় করছি। তবে বাজারে আলুর দাম কমেনি আজ ও আলু কেজি প্রতি ৫৫ টাকা ক্রয় করেছি । পাশাপাশি পেঁয়াজ কাচা ঝালের দাম বেশ বেড়েছে। তাছাড়া নগরীর বিভিন্ন কাচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, সবজি বাজারে প্রতিকেজি বেগুন ১৫০ টাকা, পাতাকপি ৭০ থেকে ৯০টাকা, ফুলকপি ১৫০ টাকা থেকে ২০০ টাকা, ঢেড়শ ৮০ টাকা থেকে ১০০ টাকা, ঝিঙে ৯০ টাকা, লাউ প্রতি পিস ৬০ টাকা থেকে ৭০টাকা, কুশি প্রতি কেজি ৮০ টাকা, টমেটো দেশি ২০০ টাকা থেকে২৫০ টাকা, কাকরোল ১০০ থেকে ৮০ টাকা, বরবটি সীম ১০০ টাকা থেকে ১২০ টাকা, কাঁচ কলা হালি ৪০ টাকা,পটল ৮০ টাকা থেকে ১০০ । নগরীর প্রাইভেট হাসপাতালের চাকুরীজিবী আব্দুল রহমান তিনি বলেন, সাম্প্রতিক সব স্বাভাবিক হচ্ছে তবে, কাচাবাজারে যে মুল্য যে মানুষ একটু আলু ভাত খাবো বা কাচা ঝাল, পেঁয়াজ দিয়ে তরকারীর নিরামিষ খাবে তা ও ক্রয় করতে আমাদের মত নি¤œ মধ্যবিত্তদের হিমসিম ক্ষেতে হচ্ছে। আমরা না পারছি কারোর নিকট সাহায্য চাইতে তাছাড়া বাড়ী ভাড়া ও অন্যান্য খরচ মেটানো এক প্রকার কষ্ট হচ্ছে যে নিরব কষ্ট প্রকাশ করতে পারছিনা। নগরীর ভ্রাম্ম্যমান ভ্যানে সবজি বিক্রেতা রহিম বলেন, বর্তমান সময়ে বন্যার কারনে ও অতি বৃষ্টির হওয়ায় সবজির দাম বেড়েছে তাছাড়া বন্যার পানি অনেক জায়গায় থাকাতে কৃষকরা সবজি উৎপাদন করতে পারছেনা। সামনে শীত মৌসুমের আগে প্রতিবছরের ন্যায় একটু কাচা তরিতরকারীর মূল্য বাড়ে। এবিষয়ে খুলনা জতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণের বিভাগীয় উপঃ পরিচালক মোঃ সেলিম বলেন, আমরা বিষয়টি সম্পর্কে তদারকি করছি। নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছি। গতকাল বৃষ্টির কারণে অভিযান করতে পারেনি। তবে, বিষয়টি দেখছি।