খুলনা জেলা প্রশাসনের নির্দেশে খোলা হয়েছে কন্ট্রোলরুম
# দানা’র প্রভাবে খুলনায় চলছে বৃষ্টি ও দমকা হাওয়া #
স্টাফ রিপোর্টার ঃ ঘূণিঝড় দানা’র ক্ষতি এড়াতে খুলনা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে খুলনায় দিনভর বৃষ্টি ও উপকূলীয় এলাকা কয়রা, পাইকগাছা, দাকোপে দমকা ঝড়ো হাওয়া সাথে হালকা থেকে মাঝারি ও কিছু স্থানে ভারি বষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। ২-৪ ফুট উচ্চতায় জলোচ্ছ্বাস হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সার্বিক বিষয়ে খোঁজ খবর রাখছেন জেলা প্রশাসন। যেকোন পরিস্থিতিতে তড়িৎ ব্যবস্থা নেয়ার প্রস্তুতি রেখেছেন তারা। ঘূর্ণিঝড়ের সার্বিক বিষয় তদারকির জন্য কন্ট্রোল রুমের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তরা স্থানীয় প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ রাখছেন। সকল ধরনের এনজিও, সেচ্ছাসেবী সিপিবি’র সদস্যরা ঝুকিপূর্ণ উপজেলাগুলোতে দায়িত্ব পালন করছেন। রেডক্রীসেন্ট সোসাইটি প্রস্তুত তবে বাংলাদেশে ঘূর্ণিঝড় দানার আঘাত আনার সম্ভাবনা কম থাকায় আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে মানুষের উপস্থিতি কম। কন্ট্রোল রুমের দায়িত্বে থাকা জেলা ত্রাণ ও পুর্নবাসন কর্মকতা আবদুল আলিম বলেন, আমরা সব সময় ঝুকিপূর্ণ উপকূলীয় উপজেলাগুলোর দায়িত্বে থাকা কর্মকতাদের সাথে যোগাযোগ রাখছি। আমাদের পাওয়া তথ্য অনুযায়ী দমকা বাতাস ও বৃষ্টি ছাড়া ঝড়ের তেমন ক্ষতির সম্ভাবনা নেই। তবুও ক্ষতি এড়াতে সব ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৬০৪ টি আশ্রয়কেন্দ্র। এদিকে ঘূর্নিঝড় দানা’র আতঙ্কে দিন পার করছে উপকূলের কয়েক লক্ষ মানুষ। জলোচ্ছ্বাসে বেঁড়িবাধ ভাঙ্গলে ভেসে যাবে মাসের ঘের,ফসলি জমি সহ বসতভিটা। আশ্রয়হীন হবে লাখো মানুষ। এ ক্ষেত্রে বেশি আতঙ্কে আছে কয়রা,পাইকগাছা ও দাকোপের বাসিন্দারা।
খুলনা আবহাওয়া অধিদপ্তরের সহকারী আবহাওয়াবিদ মোঃ আমিরুল আজাদ জানান, বৃষ্টি ও দমকা হাওয়া বাড়তে পারে। শুক্রবার সকাল নাগাদ ভারতের উড়িস্যায় দানা আঘাত আনতে পারে। বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে দানা’র তেমন প্রভাব পড়বে না। মংলা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নং স্থানীয় সর্তকতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।