কয়রার কপোতাক্ষ নদের দশহালিয়া বেড়িবাঁধে হঠাৎ ভয়াবহ ভাঙ্গন : আতঙ্কিত এলাকাবাসী
ঘূর্ণিঝড় দানার বৈরী আবহাওয়ার প্রভাব
রিয়াছাদ আলী, কয়রা (খুলনা) ঃ সকালে ঘুম থেকে উঠে রাস্তায় গিয়েই দেখি পুরানো মসজিদের পাশে বেঁড়িবাধে হটাৎ রাতে ধসে গেছে। কি ভাবে ভয়াবহ ভাঙ্গন লাগলো কিছু বুঝতে পারলাম না। এমন কথাগুলো বলেন, উপজেলার মহারাজপুর ইউনিয়নের দশহালিয়া প্রামের মাওলানা আকবার হোসেন। এ সময় ভাঙ্গনের ভয়বহতা দেখেই তিনি গ্রামের লোকদের জানানোর পাশাপাশি উপজেলা প্রশাসন সহ পাউবোর কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছে। তবে ঘুর্নিঝড় ডানার প্রভাবে সৃষ্ট বৈরী আবহাওয়া ও নদীতে প্রবল স্রোতের কারনে ঐ স্থানটি হঠাৎ ভয়াবহ ভাঙ্গনের কবলে পড়েছে বলে স্থানীয়দের ধারনা। ভাঙ্গনরোধে তাৎক্ষণিক কাজ শুরু করেছে পানি উন্নয়ন বোড। জরুরী ভিত্তিতে বাঁধ রক্ষা না করতে পারলে ভেঙে গিয়ে চলতি রোপা আমন মৌসুমের ধান সহ শত শত বিঘা জমির মৎস্য ঘের পানিতে তলিয়ে যাবে। জানা গেছে, বৃহস্পতিবার ভোরে খুলনার কয়রা উপজেলার কপোতাক্ষ নদের দশহালিয়া গ্রামের পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বাঁধের ১৩-১৪/২ নম্বর পোল্ডারের পুরানো মসজিদের সামনের বেড়িবাঁধের ২৫০ মিটার অংশ নদে ধসে পড়ে। ভাঙনে হুমকিতে পড়েছে বাঁধসংলগ্ন গ্রমসহ প্রায় ১০ হাজার মানুষ। দ্রুত ভাঙনরোধে অবিলম্বে পাউবোর পক্ষ থেকে ব্যবস্থা না নেওয়া হলে প্রায় দুই হাজার একর আমনের খেতসহ অসংখ্য মাছের ঘের নদের লোনা পানিতে ডুবে যাওয়ায় আশঙ্কা করছেন স্থানীয় অধিবাসীরা। বৃহস্পতিবার সকালে বেড়িবাঁধ এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, ঐ স্থানের বেড়িবাঁধ হঠাৎ নদী গর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। দুই এক হাত ছাড়া অন্যবাঁধ নদীতে নিমজ্জিত হয়ে গেছে। স্থানীয় ইউপি সদস্য মোস্তফা কামাল হোসেন বলেন, দ্রুত বেড়িবাঁধ সংস্কার করা না হলে ঐ স্থান ভেঙে গিয়ে দশহালিয়া গ্রাম সহ পাশ্ববর্তী গোবিন্দপুর, আটরা, সিমলারআইট, মেঘেরআইট, কালনা, লোকা সহ আরও অনেক গ্রাম লোনা পানিতে প্লাবিত হবে। এতে করে প্রায় ১০ হাজার মানুষ পান্দিবন্দ সহ চলতি আমন মৌসুমের ধান এবং অসংখ্য মৎস্য ঘের ক্ষতি হবে।এ ছাড়া দশহালিয়া গ্রামের দক্ষিনপাশের বেড়িবাঁধে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। সেখানেও কাজকরা জরুরূ বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুলী বিশ্বাস বলেন, খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করা হয়েছে। পাউবোর তত্বাবধানে সেখান ভাঙ্গনরোধে কাজ করা চলছে। খুলনা পানি উন্নয়ন বোর্ড-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফুল আলম বলেন, দশালিয়ায় আমাদের প্রতিনিধি রয়েছে। সেখানে বাঁধ সংস্কারের কাজ শুরু করা হয়েছে। আতংকিত হওয়ার কিছু নেই। এর আগে রিমালের তান্ডব লীলায় ঐ ভাঙ্গনের পাশে দশহালিয়্ বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে এলাকা প্লাবিত হয়ে পড়ে। বাঁধ সংস্কারের পর মানুষ একটু ঘুরে দড়ানোর চেষ্টা করছে। এমন সময় আবারও ভ্ঙ্গান আতংকে দিন কাটছে ঐ এলাকার বাসিন্দাদের।