স্থানীয় সংবাদ

পুত্র ও পুত্রবধুর নির্যাতনের শিকার অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি ঃ সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বাঁশতলা গ্রামে অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক বৃদ্ধ অরবিন্দ মন্ডলকে (৮০) মারপিট করে হাত-পা বেঁধে রাখার অভিযোগ উঠেছে ছেলে বিশ্বনাথ মন্ডল ও পুত্রবধু কবিতা মন্ডলের বিরুদ্ধে। স্থানীয় এক যুবক সোমবার নির্যাতনের ভিডিও মোবাইলে ধারণ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ করলে ঘটনাটি নজরে পড়ে প্রশাসনসহ সাংবাদিকদের। অবসরপ্রাপ্ত ওই স্কুল শিক্ষকের শারীরিক নির্যাতনের ওই ভিডিও ইতিমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমতো ভাইরাল হয়ে পড়েছে।
স্থানীয়দের সূত্রে জানা যায়, ছেলে ও পুত্রবধূর হাতে প্রায়ই এরকম নির্যাতনের শিকার হন অরবিন্দ মন্ডল। প্রতিবেশীরা তাদের ভয়ে প্রতিবাদ করতে সাহস পাননি। তবে সোমবার স্থানীয় এক যুবক নির্যাতনের ভিডিও মোবাইলে ধারণ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দিলে ঘটনাটি নজরে আসে প্রশাসনসহ সকলের। তাৎক্ষণিকভাবে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারের নির্দেশে অভিযুক্ত বিশ্বনাথ মন্ডল ও কবিতা মন্ডলকে গ্রেপ্তারের জন্য ঘটনাস্থলে যান পুলিশ। এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যান নির্যাতনকারীরা।
নির্যাতনের স্বীকার অরবিন্দ মন্ডলের মেয়ে অঞ্জলী মন্ডল জানান, তার বাবা অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক অরবিন্দু মন্ডলের গচ্ছিত কিছু টাকা হারিয়ে যায়। যে টাকা তার ভাইয়ের স্ত্রী কবিতা মন্ডল নেয়। বিষয়টা জানাজানি হওয়ার এক পর্যায়ে তার বাবা এই টাকা ফেরত চাইলে প্রায় সময় তারা দুজনে মিলে নির্যাতন চালাতো। তিনি আরো জানান, প্রতিবেশী এক যুবক নির্যাতনের ভিডিও ধারণ করার পর বিষয়টি জানাজানি হয় এবং এঘটনার প্রমাণ মিলে। তিনি নএসময় তার তার বাবার নির্যাতনকারীকে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানান।
অবসরপ্রাপ্ত সহকারি শিক্ষক অরবিন্দ মন্ডল জানান, তার পুত্রবধূর সঙ্গে পাশের একজনের অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে। তিনি এর প্রতিবাদ করেন। এছাড়া তার ৫০ হাজার টাকা চুরি করে নেয় তার পুত্রবধূ কবিতা। টাকা ফেরৎ চাওয়ায় এবং অবৈধ সম্পর্কের প্রতিবাদ করায় তারা তাকে বেঁধে মারপিটসহ নির্যাতন চালিয়েছে বলে তিনি আরো জানান। সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার মনিরুল ইসলাম মুনির জানান, সমাজের একটা নিষ্ঠুর চিত্র এটি। ভিডিওটা দেখার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। তবে ওই ছেলে ও তার স্ত্রী পালিয়েছে। কেউ লিখিত অভিযোগ দিলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button