বাগেরহাটে দল থেকে বহিস্কৃত বিএনপি নেতা সজীবকে হত্যা করেছে পেশাদার খুনিরা : গ্রেপ্তার-১
# হত্যায় ব্যবহৃত অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার #
বাগেরহাট প্রতিনিধি ঃ বাগেরহাট জেলা সদরে রাস্তায় প্রকাশ্য দিবালোকে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হওয়া বিএনপির সাবেক নেতা সজীব তরফদারকে হত্যার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে আবু বক্কার শিকদার (৫৭) নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ সময় সজিব হত্যায় ব্যবহ্নত ২টি দের্শী তৈরী পাইপগান উদ্ধার করা হয়। শনিবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাকে বাগেরহাট কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গ্রেফতার হওয়া আবু বক্কর সিকদার কে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেছেন চাঞ্চল্যকর এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বাগেরহাট সদর মডেল থানার ওসি মোঃ সাইদুর রহমান। গোপন খবরে শুক্রবার রাতভর পাশর্^বর্ত্তি পিরোজপুর জেলার কাউখালী উপজেলার হুগলি বাটকা গ্রামে অভিযান চালিয়ে পুলিশ বক্কার সিকদার কে গ্রেফতার করে। তার দেয়া তথ্য অনুযায়ি হত্যকান্ডের ঘটনাস্থলের পাশর্^বত্তি এলাকার একটি ডোবা থেকে দুটি দেশি তৈরি আগ্নেয়াস্ত্র ও একটি তাজা গুলি উদ্ধার করে পুলিশ। এই হত্যাকান্ডটি টাকার বিনিময়ে ভাড়াটিয়া খুনীরা করেছে, এতে অংশ নেয় ৪জন। খুব শিগগির এই হত্যাকান্ডের মাস্টারমাইন্ডকে ধরে হত্যাকান্ডের মূল রহস্য উন্মোচন করার দাবি করেছে পুলিশ। এদিকে, এ হত্যাকান্ডের ঘটনায় নিহতের স্ত্রী নাঈমা ফারহানা বাদী হয়ে ১৩জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৭/৮জনের বিরুদ্ধে বাগেরহাট সদর মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। আর অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় বাগেরহাট সদর মডেল থানার এস আই আনজির হোসেন বাদী হয়ে অস্ত্র আইনে একটি মামলা করেছেন। গ্রেফতার হওয়া আবু বক্কার শিকদার বাগেরহাট সদর উপজেলার কাড়াপাড়া গ্রামের মৃত সোবহান শিকদারের ছেলে। শনিবার দুপুরে বাগেরহাট পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে পুলিশ সুপার তৌহিদুল আরিফ এক প্রেস ব্রিফিং করে সাংসাদিকদের এই তথ্য জানান। প্রেস ব্রিফিং এ বাগেরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান, সদর মডেল থানার ওসি সাইদুর রহমানসহ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বাগেরহাটের পুলিশ সুপার তৌহিদুল আরিফ প্রেস ব্রিফিং এ বলেন, বিএনপি নেতা সজীব তরফদারের হত্যাকান্ডে সরাসরি ৪ জন কিলার জড়িত ছিল। এই ৪ জনের মধ্যে আবু বক্কার শিকদার নামে একজনকে ইতোমধ্যে আমরা গ্রেফতার করেছি। তার দেয়া তথ্য অনুযায়ি ঘটনাস্থলের পাশে জনৈক যমুনা সাহার বাড়ীর একটি ডোবা থেকে কিলিং মিশনে ব্যবহ্নত দুটি দেশি তৈরি বন্দুক ও একটি তাজা গুলি এবং একটি রামদা উদ্ধার করি। তদন্ত চলমান রয়েছে। এই হত্যাকান্ডের নেপথ্যে যারা রয়েছে তাদের আইনের আওতায় আনা সম্ভব হবে। এই ঘটনায় হত্যা ও অস্ত্র আইনে পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। এই হত্যাকান্ডের পাঁচটি সম্ভাব্য কারণকে মাথায় রেখে পুলিশ তদন্ত করছে। তদন্ত শেষ হওয়ার পরেই কি কারনে বিএনপি নেতা সজীব তরফদার খুন হয়েছেন তা বলা হবে। যারা এই খুনের সাথে জড়িত তারা টাকার বিনিময়ে খুন করেছেন তাদের ব্যক্তিগত কোন স্বার্থ এখানে নেই। তারা এই খুনটি করেছে ভাড়াটিয়া হিসেবে বলে দাবি করেন পুলিশের এই কর্মকর্তা। উল্লেখ্য গত ৫ নভেম্বর বাগেরহাট সদর উপজেলার কাড়াপাড়া ইউনিয়নের মির্জাপুর মধ্যপাড়া জামে মসজিদের সামনে ডেমা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহবায়ক সদ্য দল থেকে বহিস্কৃত সজিব তরফদারকে (৪০) প্রকাশ্য দিবালোকে সন্ত্রাসীরা গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা করে।