খুলনা বিভাগে ৮ জেলায় একদিনে ডেঙ্গু রোগী ভর্তি ১৪৬ জন : খুলনায় সর্বোচ্চ ৬৯

# এ পর্যন্ত খুলনা বিভাগে ডেঙ্গু ছাড়াল ৮৬২৭ জন, মৃত্যু ২৬
স্টাফ রিপোর্টার ঃ খুলনা বিভাগের ৮ জেলায় ও দুটি সরকারি হাসপাতালে মিলে একদিনে নতুন করে ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছে ১৪৬ জন। এ সময়ে কোন মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। এর আগের দিন ৯ জেলায় ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছিল ১২৬ জন। এ পর্যন্ত খুলনা বিভাগে ১০ জেলাসহ দুই সরকারি হাসপাতালে মোট ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছে ৮৬২৭ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ২৬ জনের। খুলনা বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) অধিদপ্তরের ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত ও মৃত্যুর এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয় ( সোমবার সকাল ৮টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) নতুন করে খুলনা বিভাগের ৮ জেলায় ও দুটি সরকারি হাসপাতাল মিলে মোট ডেঙ্গ রোগী ভর্তি হয়েছে ১৪৬ জন। এর মধ্যে একদিনে খুলনায় সর্বোচ্চ ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছে ৬৯ জন। এছাড়া যশোরে ১১ জন, ঝিনাইদহে ২০ জন, মাগুরায় ২ জন, নড়াইলে ৩ জন, কুষ্টিয়ায় ১৩ জন, চুয়াডাঙ্গায় ৪ জন ও মেহেরপুরে ৫ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছে। এছাড়া খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৭ জন এবং সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছে। এ পর্যন্ত খুলনা বিভাগে মোট ডেঙ্গু রোগী ভর্তি ছাড়াল ৮ হাজার ৬২৭ জন এবং মোট মৃত্যু হয়েছে ২৬ জনের। এর মধ্যে খুমেক হাসপাতালে চিবিৎসাধীন অবস্থায় ডেঙ্গু রোগী মৃত্যু হয়েছে ১৩ জনের । এছাড়া খুলনায় ৫ জন, সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে একজন, যশোরে ৪ জন, ঝিনাইদহ ১ জন এবং কুষ্টিয়ায় দুইজন ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যু হয়। চলতি বছরে এ পর্যন্ত ডেঙ্গু রোগী ভর্তির মধ্যে খুলনায় ২৫৯৩ জন, বাগেরহাটে ১০২ জন, সাতক্ষীরায় ২১১ জন, যশোরে ১১৮৯ জন, ঝিনাইদহ ৫৭৮ জন, মাগুরায় ২৬৯ জন, নড়াইলে ৬২৯ জন, কুষ্টিয়ায় ৯৭৫ জন. চুয়াড্ঙ্গাায় ১৯৮ জন, মেহেরপুরে ৬১০ জন, সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৯৪ জন এবং খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১০৭৯ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছে। বর্তমানে খুলনা বিভাগে সরকারি হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গু রোগী ভর্তি আছেন ৩৬০ জন। রেফার্ড করা হয়েছে ১০৫ জনকে।
খুমেক হাসপাতালের আরএমও ডা: সুহাস রঞ্জন হালাদার জানান, গত একদিনে নতুন করে হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছে ১৭ জন। এ সময়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৩৭ জন। বর্তমানে হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগী ভর্তি আছে ১১১ জন। এ পর্যন্ত ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসা দেয়া হয়েছে ১১১০ জন। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ১৩ জনের।