স্থানীয় সংবাদ

প্রবাসী’র সাথে শিক্ষকের আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার ঃ ভুক্তভোগী প্রবাসীর সাথে আর্থিক প্রতারোণার অভিযোগ উঠেছে শিক্ষকের বিরুদ্ধে। বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট খালিশপুর থানায় মিমাংস করার চেষ্টায় ব্যার্থ হয়ে গেল ৭ নভেম্বর নৌবাহিনী স্কুল এন্ড কলেজ অধ্যক্ষ বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী প্রবাসী হুমায়ুন কবীরের ছোট ভাই এনামুল কবীর বাদশা। ভুক্তভোগী এনামুল কবীর বাদশা অভিযোগে উল্লেখ্য সহ তিনি বলেন, খালিশপুর গোয়ালখালী নৌ বাহিনী স্কুল এন্ড কলেজের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক এস এম শরিফুল ইসলামের প্রতারণার ফলে আজ আমরা সর্বস্বান্ত। আমার বড় ভাই মোঃ হুমায়ুন কবির ও আমি তার ছোট ভাই মোঃ এনামুল কবির বাদশা আমরা আজ দীর্ঘ ৩০ বছর প্রবাসী জীবন পার করেছি। আমরা দুই ভাই জীবনের প্রায় অর্ধেক সময় ব্যয় করে তিল তিল করে জমানো অর্থ দিয়ে হাউজিং ডি-২২ খালিশপুর, খুলনাতে একটি প্লট ক্রয় করে সেখানে বসবাসের জন্য বাড়ি নির্মাণের উদ্দেশ্যে বিদ্যুৎ সংযোগ ও সাবমার্সিবল এবং ফাইলিং স্থাপন করে। কাজ নির্মাণাধীন থাকা অবস্থায় পূর্ব পরিচিত নৌ বাহিনী স্কুলের শিক্ষক নিজ উদ্যোগে ডেভলপার হিসেবে বাড়ির কাজটি সম্পন্ন করার প্রস্তাব দেয়। তিনি কাজটি দেয়ার জন্য আমাকে জোর সুপারিশকরে। শিক্ষক হিসেবে আমি সম্মানের সাথে তাকে কাজটি দেয়ার সম্মত প্রকাশ করি। যার প্রেক্ষিতে গেল ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২০ সালে লিখিত চুক্তিপত্র মোতাবেক ডেভলপার নিযুক্ত হন তিনি। চুক্তি অনুযায়ী তিনি ৩০ শ্রে এপ্রিল ২০২২ সালের মধ্যে ৬ তলা ভবনের নির্মাণ কাজ শেষ করতে চুক্তিবদ্ধ হয়। তবে তিনি কথা অনুযায়ী যথাসময়ে কাজ শেষ না করায় দুই ভাই-ই আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত সম্মুখীন হই। যে কারণে উক্ত শিক্ষককে কাজ হতে অব্যাহতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে তিনি বিভিন্নভাবে সুপারিশের মাধ্যমে প্রতি মাসে ভাড়া ১০ হাজার টাকা হারে ৮ (আট) টি ইউনিটের ভাড়া ৮০ হাজার টাকা হিসাবে ৯ মাসের ভাড়া (সাত লক্ষ বিশ হাজার) টাকা ও ক্ষতিপূরণ স্বরূপ আরও (দশ লক্ষ) টাকা ৩০ শে জানুয়ারী ২০২৩ সালে মধ্যে দুই ভাইকে স্বেচ্ছায় তিনি পরিশোধ করতে বাধ্য থাকবেন বলে নতুন করে চুক্তি পত্র করে। এসময়ে লিখিত চুক্তি অনুযায়ী তিনি আবারও ৩০ শে জানুয়ারী ২০২৩ হতে থেকে চলতি বছর পহেলা ফেব্রুয়ারী পযন্ত এক বছর সময় নেন। কিন্তু ওই সময়ের মধ্যেও কাজ শেষ করতে পারেন না। তার অংশের (পাঁচ) টি ইউনিট নগদ টাকায় বিক্রি করে যেখানে ক্রয় কৃত মালিকেরা বসবাস করছে। সার্বিক ক্ষতির দিকে তাকিয়ে তাকে বিষয়টি বলতে গেলে তিনি উত্তেজিত হতেন। পাশাপাশি উক্ত শিক্ষক খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের ও গোপালগঞ্জের বড় নেতাদের নাম শুনিয়ে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে বলতেন ওই ভবনের কাজের বিষয়ে তাকে চাপ সৃষ্টি করলে সমস্যা হবে। এছাড়া পূর্বের চুক্তি মোতাবেক ব্যক্তিবর্গের সাথে বসে ফেরত দিতে চাওয়া টাকা দাবি করলে পুলিশ দিয়ে ধরিয়ে দেবে। একপর্যায়ে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি সালিশ-বিচার ও থানা-পুলিশ করেও সমাধান হয়নি। অবশেষে বাংলাদেশ নৌবাহিনী স্কুলের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হলেও শিক্ষক এস এম শরিফুল ইসলাম কর্ণপাত করেননি। পূর্বের চুক্তি মোতাবেক ৯ মাসের ভাড়া (সাত লক্ষ বিশ হাজার) টাকা, ক্ষতিপূরণ স্বরূপ (দশ লক্ষ) টাকা ও শেষ চুক্তি অনুযায়ী পহেলা ফেব্রুয়ারী ২৩ সাল হতে চলমান ২৭ নভেম্বর পযন্ত ২২ মাসের ভাড়া সহ উপরোক্ত সকল চুক্তি অনুযায়ী মোট ৩৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা পাওনা রয়েছে তার কাছে। এ বিষয়ে নৌ বাহিনী স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষক এস,এম শরিফুল ইসলাম বলেন, কাজটি আমি নিয়েছিলাম সত্য তবে, করোনা কালিন সময়ে মূলত সমস্য হয়েছে। নির্মাণ সামগ্রি সব কিছুর দাম বেড়ে যায়। এছাড়া কাজ সামান্য বাকি আছে। আমি একটি প্রস্তাব দিয়েছি তবে সে রাজি হয়নি। তবে বিষয়টি নিয়ে নৌ বাহিনী স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ ক্যাপ্টেন মোঃ শফিকুল আলম বলেন, শিক্ষক এস,এম , শরিফুল ইসলামের বিরুদ্ধে এনামুল কবীর বাদশা নামের একজন লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। আমি বিষয়টি তদন্ত করছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নিব। এমনকি তারা বিষয়টি নিজেরাও সে মিমাংস করতে পারে।

 

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button