স্থানীয় সংবাদ

শীতের শুরুতে শিকার হচ্ছে অতিথি পাখি

# ৪০ টি পাখি অবমূক্ত : বন বিভাগ #

শেখ ফেরদৌস রহমান : শীতের শুরু হতে না হতে শুরু হয়েছে অতিথি পাখি শিকার। বিভিন্ন ভাবে ফাদঁ পেতে ধরা হচ্ছে এসব পাখি গুলো ইতোমধ্যে খুলনা বণ্যপ্রাণী সংরক্ষন অধিদপ্তর কর্তৃক অতিথি পাখি শিকার বন্ধে শুরু হয়েছে অভিযান। গতকালও খুলনা বণ্যপ্রাণী সংরক্ষন অধিদপ্তর কর্তৃক উদ্ধার করা ও ৪০ টি পাখি অবমুক্ত করেছে। এছাড়া আজ খুলনা ঝেলার ডুমুরিয়া, দাকোপ, তেরখাদা অভিযান পরিচালনা করবে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তর। অতিথি পাখি মুলতঃ সূদুর সাইবেরিয়া হিমালয়, শীতাঞ্চল থেকে শীত মৌসুমে খাবার আর নিরাপদ আশ্রয় জন্য হাজার হাজার মাইল পথ পাড়ি দিয়ে ঝাকে ঝাকে আসে ঠান্ডা রোদ আবহাওয়ার দেশ বাংলাদেশে পাখি গুলো। পাখির কিচির মিচির শব্দে বিল ঝিল গুলো মুখরিত হয়ে আনন্দঘন পরিবেশ হয়ে ওঠে। তবে এই পাখি গুলো চলছে রাত্রের আধারে শিকার ।প্রশাসনের চোখ এড়াতে চলছে রাত্রের আধারে অতিথি পাখি শিকার । এসব অতিথিপাখি গুলো সাধারনত খুলনা জেলা ডুমুরয়া, দাকোপ,কয়রা, সাহাপুর,রংপুর,তেরখাদা,ডুমুরিয়া, বিলডাকাতিয়া,ও উপকুলীয় অঞ্চলে বিলে থাকে ।খুলনা শাহতেরখাদা পুর এলাকার বাসিন্দা আব্বাস হোসেন বলেন, শীতের আগমনে এসব বিলে পাখি আসা শুরু হয়েছে।আমাদের এলাকায় বিভিন্ন পাখি ব্যবসায়ি রয়েছে। যারা খুবই গোপনে এসব পাখি শিকার করছে। রাত্রের বেলায় ফাদ পাতে।এছাড়া এসব পাখি গুলো ক্রয় করার জন্য আগে থেকে তাদের ক্রেতা প্রস্তুত থাকে। শিকারী ভোরে যেয়ে তাদের বাড়ীতে পাখি পৌছে দিচ্ছে।তবে এসব শিকারীদের হানাতে আটক করা প্রায় অসম্ভব।এর কারন খুব আস্থা,বন্ধু বর না হলে শিকারী সহযে ধরা দিবেনা এসব পাখি শিকারিরা। বিল ডাকাতিয়া অঞ্চলে ও চলছে অবাধে এসব পাখি শিকার। অনুসন্ধানে জানাযায় শীত মৌসুম আসার আগে অনেক ক্রেতা রয়েছে যারা চিহ্নিত পাখি শিকারিদের অগ্রিম টাকা দিয়ে রেখেছে। তবে আগের মত এখন আর দিনের আলোয় পাখি ধরা যাচ্ছেনা। প্রশাসনের ভয়ে। এসব পাখি শিকার করা হয় মূলত বিশেষ কায়দায় শুতার জাল দিয়ে এসব পাখি গুলো শিকার করা হয়। মূলত আমাদের দেশে যেসব অতিথি পাখি সচারাচর চোখে পড়ে এর মধ্যে উল্লেখ্য যেমন, হুরহুর, খয়রা, বালি হাসঁ, গাংচিল, ডাহুক, নলডাক, ভাড়ই, জলপিপি পাতাড়ি পানকৌড়ি, হাসঁ,কাদা খোচাসহ অনেক প্রজাপতির পাখি অথচ রাতের আধারে কিছু অসাধু চোরাকারবারি ফাদঁ পেতে পাখি শিকার করে । এবিষয়ে খুলনার সচেতন নাগরীক মোঃ আলামিন হোসেন বলেন, বাংলাদেশে যেভাবে এসব অতিথি পাখি শিকার হয় তা অন্য কোন দেশে এত পরিমান শিকার হয়না। বাহিরের দেশে দেখবেন পাখি উড়ে এসে মানুষের গায়ে পড়ছে। আর তারা আদর করে খাবার খাওয়াচ্ছে। আর আমাদের দেশে মানুষেরা এর বিপরীত। রাতের বেলায় ঘুমন্ত পাখি শিকার করে খাচ্ছে। এসব পাখি শিকার বন্ধ করতে হলে সবার আগে প্রয়োজন স্থানীয় প্রশাসনকে সতর্ক থাকতে হবে এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের দিয়ে ও ধর্মীয় বিভিন্ন উপসনলায়ে সাধারণ মানুষকে সচেতনতা করতে হবে। পাশাপাশি পাখি শিকারীদেরকে চিহ্নিত করতে হবে। এদেরকে চিহ্নিত করতে স্থানীয়ভাবে সোর্স নিয়োগ করতে হবে। তাদেরকে বোঝাতে হবে আর না বুঝলে আইনের হাতে তুলে দিতে হবে। এবিষয়ে খুলনা বিভাগীয় বণ্য প্রাণী সংরক্ষনও বিভাগীয় বন কর্মকর্তা বণ্য প্রাণী ব্যবস্থপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের কর্মকর্তা নির্মল কান্তি দাস বলেন, অভিযান পরিচালনা করতে প্রতিটি উপজেলা অফিসারদের নির্দেশনা দেওয়া আছে। আমরা ইতোমধ্যে প্রায় অর্ধশতাধিক অতিথি পাখি উদ্ধার করেছি। অভিযানের সময়ে শিকারিরা পালিয়ে যায়।আমরা নিয়মিত গোয়েন্দা নজরদারি করছি।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button