মুজগুন্নীতে সন্ত্রাসীরা কুপিয়ে পঙ্গু করেছে শফিক নামের এক ঠিকাদারকে
# ১১ দিনেও আসামী গ্রেফতার হয়নি #
স্টাফ রিপোর্টারঃ নগরীর মুজগুন্নীতে সন্ত্রাসীরা কুপিয়ে পঙ্গু করেছে শফিকুল ইসলাম নামের একজন ঠিকাদারকে। গত ২৪ নভেম্বর ঘটনা ঘটলেও পুলিশ ১১ দিনেও আসামীদের গ্রেফতার করতে পারেনি। আসামীরা প্রকাশ্যে ঘুরছে বলে বাদী রেখা বেগমের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ওসি। ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, বাদীকে বলা হয়েছে, যখনই আসামীদের দেখবেন তখনই খবর দিবেন। কিন্তু বাদী তা দেয় না। এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, ভিকটিম শফিকুল ইসলাম ও তার ছোট ভাই নগরীর মুজগুন্নী ফারাজিপাড়ার বাসিন্দা। ওই বাসার সামনে আসামীরা মাদক বিক্রিসহ আখড়ায় পরিণত করেছে। এ মাদক বিক্রির প্রতিবাদ করায় মাদককারবারিরা তার উপর ক্ষুব্দ হয়। তারই ধারাবাহিকতায় গত ২৪ নভেম্বর বিকেলে মুজগুন্নী বাসস্ট্যান্ড মোড়ে ভিকটিম ও তার ছোট ভাই মটর সাইকেল যোগে আসেন। এ সময় দুর্বৃত্তরা তার পথরোধ করে মটর সাইকেলের চাবি ছিনিয়ে নেয়। এ সময় মটর সাইকেলের পিছন দিক থেকে ছোট ভাই দৌড়ে পালিয়ে যায়। তখন দুর্বৃত্তরা রাম দাসহ দেশী বিভিন্ন অস্ত্র দিয়ে তাকে উপর্যুপরি কুপিয়ে ক্ষত বিক্ষত করে। তার চিৎকারে এলাকাবাসী ছুটে আসলে দুর্বৃত্তরা হুমকি দিয়ে পালিয়ে যায়। পরে তাকে খুমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। যাওয়ার সময় ভিকটিমের পকেটে থাকা নগদ এক লাখ ২০ হাজার টাকা নিয়ে যায়। এ ঘটনায় ভিকটিমের বোন রেখা বেগম বাদী হয়ে ১১ জনকে আসামী করে খালিশপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। আসামীরা সবাই মাদক বিক্রেতা ও একাধিক মামলার আসামী। আসামীরা হলো, সুজন মল্লিক (২৮), শাহাজাহান মোল্লা ওরফে গুটি শাহাজান(৫০), রায়হান সরদার চান (৩০), বাধন (৩৭)সহ অজ্ঞাতনামা ৫/৭ জন। মামলাটি তদন্ত করছেন এসআই অনিক। তিনি প্রশিক্ষণে বাইরে থাকায় আসামীরা অনেকটা প্রকাশ্যে ঘুরছে বলে বাদী রেখা বেগমের অভিযোগ। বাদী পেশায় একজন চা বিক্রেতা। তার দোকান মুজগুন্নীমোড়ে। আসামীদের হুমকি ধামকিতে তিনি দোকান খুলতে পারছেন না বলে তিনি জানান।