খুবিকে সম্প্রসারণের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় জমি অধিগ্রহণে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস
# খুবি উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যের সাথে মাউশি’র অতিরিক্ত সচিবের সৌজন্য সাক্ষাৎ #
স্টাফ রিপোর্টার ঃ খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. রেজাউল করিম ও উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. হারুনর রশীদ খান এর সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (পরিকল্পনা) সৈয়দ মামুনুল আলম। শুক্রবার (৬ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টায় উপাচার্যের কার্যালয়ে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। সাক্ষাতকালে উপাচার্য ও উপ-উপাচার্য খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণার অগ্রগতি অতিরিক্ত সচিবকে অবহিত করেন। তারা বলেন, এটি একটি সাধারণ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হলেও এখানকার সাবজেক্টগুলো সব বৈচিত্র্যময়। এখানে বিজ্ঞান, জীববিজ্ঞান, সামাজিক বিজ্ঞান, কলা ও মানবিক, চারুকলা, আইন সব বিষয়েই শিক্ষা ও গবেষণার সুযোগ রয়েছে। প্রতিনিয়ত শিক্ষার্থী বাড়লেও এখানে পর্যাপ্ত জমির সংকট রয়েছে। শিক্ষার্থীদের আবাসন সংকটের পাশাপাশি জীববিজ্ঞানভিত্তিক বিষয়গুলোর মাঠ গবেষণার জন্য পর্যাপ্ত জমি নেই। ফলে মাঠ গবেষণার কাজ আশানুরূপভাবে বৃদ্ধি করা সম্ভব হচ্ছে না। এক্ষেত্রে ভবিষ্যৎ চাহিদার নিরিখে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য প্রয়োজনীয় জমি অধিগ্রহণে উপাচার্য ও উপ-উপাচার্য অতিরিক্ত সচিবের সার্বিক সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন। এ ছাড়াও আবাসিক হল, একাডেমিক ভবন নির্মাণসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নে নতুন প্রকল্প গ্রহণ করা প্রয়োজন বলে উল্লেখ করেন। এসময় অতিরিক্ত সচিব বলেন, শিক্ষা ও গবেষণাক্ষেত্রে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলকে নেতৃত্ব দিচ্ছে। প্রতিবছর বিসিএস পরীক্ষায় এ বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়ে সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে অত্যন্ত সুনাম ও দক্ষতার সাথে কাজ করছে। পদ্মাসেতু, শিল্প-কলকারখানা, পর্যটন- সব মিলিয়ে খুলনার ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল। আগামী দিনে খুলনা সমগ্র বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেবে বলে আমি মনে করি। এজন্য সুন্দরবন ও উপকূলীয় এলাকার জীবনমান উন্নয়নে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিক গবেষণা প্রয়োজন। তিনি আরও বলেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণার পরিধি বাড়াতে জমি অধিগ্রহণ প্রয়োজনের বিষয়টি ইতোমধ্যে জেনেছি। এক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় জমি অধিগ্রহণের ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রস্তাবনা পাঠালে সর্বাত্মক সহযোগিতার মাধ্যমে সংকট সমাধান করা হবে। তিনি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান উন্নয়ন প্রকল্প দ্রুততম সময়ের মধ্যে শেষ করে ভবিষ্যতের প্রয়োজনীয় বিষয়ে নতুন প্রকল্প প্রস্তাবনা মন্ত্রণালয়ে প্রেরণের জন্য আহ্বান জানান। সাক্ষাতকালে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. কাজী সাইফুল ইসলাম এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের মাধ্যমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচি (এসইডিপি) এর ডেপুটি প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সহযোগী অধ্যাপক খন্দকার মিজানুর রহমান, শিক্ষা প্রকৌশল বিভাগের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী বলরাম কুমার মন্ডল, শিক্ষা প্রকৌশল বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ফাহিম ইকবাল, শিক্ষা প্রকৌশল বিভাগ খুলনার নির্বাহী প্রকৌশলী এম মোস্তাফিজুর রহমান, খুলনা সার্কেলের সহকারী প্রকোশলী জয়ন্ত কুমার পাল উপস্থিত ছিলেন। সাক্ষাতকালে উপাচার্য ও উপ-উপাচার্য অতিরিক্ত সচিবকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোগ্রাম খচিত ক্রেস্ট উপহার দেন। পরে উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও অতিরিক্ত সচিব খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রস্তাবিত অধিগ্রহণকৃত জমি সরেজমিনে পরিদর্শন করেন।