যশোরে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে ফুসলিয়ে অপহরন ঘটনায় মামলা
যশোর ব্যুরো ঃ শহরের বেজপাড়া মেইন রোড সংলগ্ন রাস্তা থেকে ৬ষ্ঠ শ্রেনী পড়–য়া শিক্ষার্থীকে অপহরনের অভিযোগে কোতয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। অপহরনের ১৫ দিন পর অপহৃতা শিক্ষার্থীর পিতা যশোর শহরের বেজপাড়া এলাকার কালীপদ সাহার ছেলে খোকন সাহা। মামলায় আসামী করেন, নাটোর জেলার বড়াইগ্রাম থানার আটঘরি (বিলপাড়া চকপাড়া জামে মসজিদের পশে পরিমল চন্দ্র দাসের ছেলে সৌরভ দাস ওরফে গৌরভ, একই উপজেলার কালীপদ দাসের ছেলে পরমল চন্দ্র দাস, একই এলাকার পরিমল দাসের স্ত্রী সীমা রানী দাস, রনজিত দাসের ছেলে মিঠুন দাস ও যশোরের কেশবপুর উপজেলার হিরন সরকারসহ অজ্ঞাতনামা ২/৩জন।
মামলায় বাদি উল্লেখ করেন,তার মেয়ে অনুশকা সাহা ওরফে কথা যশোর শহরের এমএসটিপি স্কুলে ৬ষ্ঠ শ্রেনীতে লেখাপড়া করে। প্রায় ৩ মাস পূর্বে সৌরভ দাস ওরফে গৌরভের সাথে সামাজিক যোগাযোগা মাধ্যম ফেসবুকে পরিচয় হয়। পরিচয়ের সূত্র ধরে গৌরভ বাদির নাবালিকা মেয়েকে প্রেমের প্রস্তাবসহ কু-প্রস্তাব দিতে থাকে। বাদির নাবালিকা মেয়ে প্রস্তাবে রাজী না হওয়ায় ক্ষতি করার জন্য প্রায়ই সময় মেয়েকে ভয়ভীতি দেখাতো। কথা বাড়ি হতে স্কুলে যাওয়ার পথে গত ২০ নভেম্বর সকাল অনুমান সাড়ে ৮টার সময় বেজপাড়া মেইন রোড সংলগ্ন রাস্তার উপর পৌছালে গৌরভ তার সহযোগী অন্যান্য আসামীরা বাদির মেয়ের সহপাঠি মোনালী রাহা ও অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির মোবাইল নাম্বার ব্যবহার কারীর ব্যক্তির সহযোগীতায় কথাকে প্রলোভন দেখিয়ে ফুসলিয়ে অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে বাদির মেয়ে বাড়িতে ফিরে না আসায় বাদিসহ তার পরিবারের লোকজন তাদের নিকট আত্মীয়স্বজনদের বাড়িতে খোঁজাখুঁজি করে কোথাও না পেয়ে কোতয়অলি থানায় সাধারণ ডাইরী করেন যার নং ১৮৯০,তারিখ ২৫/১১/২৪ইং। সাধারণ ডাইরীর ভিত্তিতে কোতয়ালি থানা পুলিশ তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে নাবালিকা মেয়ের সন্ধ্যান পান। থানা পুলিশের তথ্যের ভিত্তিতে বাদিসহ তার স্ত্রী গত ২৬ নভেম্বর বিকাল সাড়ে ৪ টার সময় নাটোর জেলার বড়াইগ্রাম থানার আটঘরি বিলপাড়া চকপাড়া জামে মসজিদের পাশে উক্ত আসামীদের বাড়িতে পৌছালে গৌরভের পিতা,মাতা ও তাদের সহযোগীরা বাদির মেয়েকে তাদের বাড়ি হতে অন্যত্র রাখে এবং কোন তথ্য না দিয়ে বিভিন্নভাবে হুমকী ধামকী দিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে অপমান করে তাড়িয়ে দেয়। গৌরভ তার বন্ধু হিরন সরকারের সহায়তায় অপহরণ করে গৌরভ তার পিতা মাতাসহ সহযোগীরা কথাকে অজ্ঞাত স্থানে আটক করে রেখে যে কোন ধরনে ক্ষতি করতে পারে বলে বাদি আশংকা প্রকাশ করেছে। পরে ঘটনার ব্যাপারে স্থানীয় লোকজনকে জানিয়ে থানায় এসে মামলা করেন।