স্থানীয় সংবাদ

যশোর বিআরটিএ দপ্তরে কতিপয় কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা অবৈধ উপার্জনে ব্যস্ত

মোঃ মোকাদ্দেছুর রহমান রকি যশোর থেকে ঃ বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) যশোর সার্কেলের অধীনে কর্মরত কতিপয় কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন কৌশল নিয়ে অবৈধভাবে অর্থ উপার্জনের অভিযোগে উঠেছে। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পর কিছুদিন এ দপ্তরের চিত্র তুলে ধরলেও এখন ফুল দমে অবৈধভাবে উৎকোচের ছড়াছড়ি। তবে এবার খুব সর্তকতার মাধ্যমে উৎকোচ আদায় করা হচ্ছে। খোদ এই দপ্তরে কতিপয় কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের যোগসাজসে সর্তকতার মাধ্যমে অবৈধভাবে অর্থ উপাজর্নের মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছে। এর মধ্যে এই দপ্তরের প্রধান সহকারী পরিচালক (ইঞ্জিন) এস,এম মাহফুজুর রহমান বদলী হলেও তার স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন,ওয়াজেদ আলী। শুধু তাইনয় এই দপ্তরে কর্মরত মোটরযান পরিদর্শক ওমর ফারুক ও নাসিরুল আরিফিন বদলী হওয়ার পর গত বৃহস্পতিবার ৫ ডিসেম্বর নতুন মোটর যান পরিদর্শক অনিমেষ মন্ডল যোগদান করেছেন। সহকারী পরিচালক এস,এম মাহফুজুর রহমান বদলী হওয়ার পর তার স্থলাভিষিক্ত হন ওয়াজেদ আলী। সরকারী এই দপ্তরে রদবদলের পাশাপাশি কতিপয় কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা চরম সতকর্তার মাধ্যমে উৎকোচের দিকে ঝুগছে। দেখার কেউ নেই। সম্প্রতি সহকারী পরিচালক এস,এম ,মাহফুজুর রহমান বদলী হওয়ার পর অত্র দপ্তর ছেড়ে চলে যাওয়ার পর ওয়াজেদ আলী যোগদান করে অফিসের কার্যক্রম শুরু করলেও দূর্নীতিবাজরা চরম সর্তকতার মধ্য দিয়ে তাদের কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে এই দপ্তরে মোটর পরিদর্শক ওমর ফারুক, মোটর যান পরির্দশক নাসিরুল আরিফিন বদলী হওয়ার পর যে কোন সময় তারা তাদের নতুন কর্মস্থলে চলে যাবেন। অপরদিকে, ঝালোকাঠি জেলা বিআরটিএ অফিস থেকে মোটর যান পরির্দশক অনিমেষ মন্ডল যশোর দপ্তরে যোগদান করেছেন বলে নির্ভরযোগ্য সুত্রগুলো দাবি করেছেন। অত্র দপ্তরে কর্মরত কতিপয় কর্মচারীরা অভিযোগ করেন, এই দপ্তরে মোটর যান পরিদর্শক দু’জনে মধ্যে একজন মোটর সাইকেল এর নতুন রেজিষ্ট্রেশন বাবদ চ্যানেলের মাধ্যমে মাসে লাখ টাকা পকেটস্থ করছেন। শুধু মোটর সাইকেল রেজিষ্ট্রেশন নয়। এখানে মোটর সাইকেলের ড্রাইভিং লাইসেন্স নিতে হলে মোটা অংকের উৎকাচ গ্রহন করেন। মোটর সাইকেল লাইসেন্স প্রাপ্য আরোহীরা মটরযান পরিদর্শক মোটর সাইকেল লাইসেন্স শাখার এর মদদ পুষ্ট একজনের মাধ্যমে মাথাপিছু ২ হাজার টাকা গ্রহন করে মোটর সাইকেলের ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদান করেন। সূত্রগুলো আরো বলেছেন, অত্র দপ্তরের উচ্চমান সহকারী কম্পিউটার অপারেটর মাহফুজা সিদ্দিকা মোটর সাইকেলের মালিকানা পরিবর্তনকে কাজে লাগিয়ে জনসাধারনকে হয়রানী ও মোটা অংকের উৎকোচ গ্রহন করেন। এর জন্য তিনি কেশবপুর উপজেলার একজন যুবককে মনোনীত করেছেন। যে যুবকের মাধ্যমে মোটর সাইকেলের মালিকা পরিবর্তন করে থাকেন। মাহফুজা সিদ্দিকা বিগত দুই বছর পূর্বে এই দপ্তরে বদলী হয়ে আসার পর যানবাহনের মালিকদের পাশাপাশি তার মনোনীত ব্যক্তিদের মাধ্যমে অবাধে উৎকোচ গ্রহন করে অতি সহজে মালিকানা বদলী করে থাকেন। যারা তার চ্যানেলের মাধ্যমে মালিকানা বদলী করতে আসেন তাদের হয়রানীর শেষ নেই। তাদেরকে বিভিন্নভাবে ভূল বুঝিয়ে মাসেরপর মাস ঘোরাতে থাকেন। অত্র দপ্তরে যারা কর্মরত রয়েছেন,তাদের অধিকাংশ কর্মচারীরা অবৈধভাবে অর্থ উপার্জনে ব্যস্ত থাকেন। তার কারণ এ দপ্তরে যারা দায়িত্ব পালন করেন তারা জানেন কিভাবে অবৈধভাবে অর্থ উপার্জন করা যায়। মোটর সাইকেলের ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদানে এখানে যে নিয়ম কানুন রয়েছে সেগুলো কাগজ কলমে রয়েছে। বাস্তবে উৎকোচ দিলে অতি সহজে পরীক্ষায় পাশ দেখানো হয়। ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষা নেওয়ার মোক্ষম ভূমিকায় থাকেন এই দপ্তরে কর্মরত মোটর যান পরির্দশক একজন।যিনি চ্যানেলের মাধ্যমে মাথা পিছু ২ হাজার টাকা গ্রহন ছাড়া কাউকে ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করলেও পাশ করতে দেয়া হয়না। ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের একজন কর্মকর্তা ও ট্রাফিক ইন্সপেক্টরেরর কার্যালয়ের একজন অফিসার ইনচার্জ পরীক্ষা গ্রহন ও সিদ্ধান্ত দেওয়ায় পরীক্ষায় উর্ত্তীণের তালিকা প্রস্তুত করা হয়। উক্ত চ্যানেল ছাড়া পরীক্ষায় উর্ত্তীণ দেখানো হয়না। তাছাড়া,এই দপ্তরে বহিরাগতদের আনা গোটা আশংকাজনক হারে বৃদ্ধি পাওয়ায় স্বাভাবিক ভাবে এই দপ্তরের কার্যক্রম চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। এ ব্যাপারে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামন্ াকরেছেন যশোরের বিভিন্ন পেশার মালিক।

 

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button