সড়ক দূর্ঘটনায় গুরুতর আহত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সম্মুখযোদ্ধা হাসান না ফেরার দেশে

# দীর্ঘ ১২দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জালড়ে অবশেষে #
খানজাহান আলী থানা প্রতিনিধি ঃ সকল গুঞ্জনের অবসান ঘটিয়ে দীঘ ১৩দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জালড়ে অবশেষে না ফেরার দেশে চলে গেলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সম্মুখ যোদ্ধা এম এ হাসান (২৬)। গতকাল ১০ ডিসেম্বর বিকাল সোয়া ৫টায় খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজ হসপিটালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন(ইন্নাল্লিাহি.. রাজিউন)। এম এ হাসান গত ২৯ নভেম্বর রাত ১০টায় খুলনা থেকে ফুলবাড়ীগেট খানাবাডী তার বাসায় ফেরার পথে খালিশপুর নতুন রাস্তা বিডিআর স্কুলের সামনে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার শিকার হন। গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজ হসপিটালে ভর্তি করে। পরবর্তীতে তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে আইসিউতে নেওয়া হয়। দীর্ঘ ১৩ দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জালড়ে অবশেষে তিনি ১০ ডিসেম্বর বিকাল সেয়া ৫ টায় মৃত্যুবরণ করেন । গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর হসপিটাল এর কর্তব্যরত ডাক্তার হাসানের মৃত্যুর খবর তার পরিবারকে নিশ্চিত করেন। হাসানের মৃত্যুর খবর শুনে খুলনা মহানগর ও বিভিন্ন থানার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ এবং তার বন্ধুরা হসপিটালে ছুটে আসেন। পরে পরিবারের সাথে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ হাসানের মরদেহ হাসপাতাল থেকে বুঝে নিয়ে রাতে দৌলতপুর থানাধীন খানাবাড়ী তার বাসভবনে মরদেহ নিয়ে আসে। পরে স্থানীয় খানাবাড়ী ঈদগাহ ময়দানে রাতে জানাজা শেষে হাসানের মরদহ তার গ্রামের বাড়ী সাতক্ষীরা জেলার নলতা গ্রামের উদ্দেশ্যে নেয়া হয়। উল্লেখ্য, এম এ হাসান খানজাহান আলী আদর্শ মহাবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিন ভাই বোনের মধ্যে হাসান ছিল একমাত্র ভাই। ছোট বেলা থেকে হাসানের মা ধর্মীয় শিক্ষকতা করে তাকে অত্যান্ত আদর যতœ করে লেখা পড়া করাতেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এই নেতা খুলনা সিটি কর্পোরেশনের ১-৩১ নং ওয়ার্ড পর্যন্ত টিসিবি’র সার্বিক দায়িত্বপ্রাপ্ত ছাত্র প্রতিনিধি ছিলেন।


