স্থানীয় সংবাদ

কয়রায় শাকবাড়িয়া খালে নির্মিত হলো কাঠের সেতু

# চলাচলের পথ সুগম হওয়ায় আনন্দিত দুই পাড়ের মানুষ #

রিয়াছাদ আলী, কয়রা (খুলনা) ঃ খুলনার কয়রা উপজেলার মহারাজপুর ইউনিয়নের শাকবাড়িয়া খালে সেতুর অভাবে পারাপারে ঝুঁকিতে থাকা মানুষের কষ্ট লাঘবের জন্য ১৭৫ ফুট লম্বা ও ৬ ফুট প্রস্থের কাঠের তৈরি সেতুর উদ্ভোধন করা হয়েছে। সেতুটির নামকরণ করা হয়েছে শাকবাড়িয়া কোয়ালিশন সেতু। সেতুটি উদ্বোধনে আনন্দিত দুই পাড়ের মানুষ। স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, কয়রা উপজেলার মহারাজপুর ইউনিয়নের মঠবাড়ি গ্রামের এক পাড়ে মহারাজপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও অন্য পাড়ে কমিউনিটি ক্লিনিক। এর পাশে পূর্বে একটি সেতু ছিল কিন্তু প্রাকৃতিক দূর্যোগ আইলায় বেঁড়িবাঁধ ভেঙে ভেতরে পানি প্রবেশ করলে ভাঙনের সৃষ্টি হয়। তখন পানির চাপে সেতুটি ভেঙে যায়। সেই থেকে ৪ গ্রামের প্রায় ১০ হাজার বাসিন্দা ও কোমলমতী শিশুদের শাকবাড়িয়া খালে নৌকা দিয়ে খেয়া পারাপারের মাধ্যমে স্কুল কলেজে যাতায়াত করতে হতো । এতে তাদের দুর্ভোগের যেন শেষ নেই! বর্ষাকালে এ দুর্দশা আরও তীব্র আকার ধারণ করে। খাল পার হতে গিয়ে প্রতিনিয়ত কোমলমতি শিশু ও মানুষকে ছোট বড় নানা ধরনের দুর্ঘটনার শিকার হতে হতো। আর এসব ভোগান্তির কথা চিন্তা বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা সুন্দরবন কোয়ালিশন (সিএনআরএস) এর টেকনিক্যাল পরামর্শে এবং মহিলা ও শিশু সংগঠনেরর বাস্তবায়নে ও বাঁশ, কাঠ ও গাছ দিয়ে একটি সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। নবনির্মিত কাঠের সেতুটি সম্প্রতি আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের মধ্যে দিয়ে সর্বসাধারণের চলার জন্য উন্মুক্ত করা হয়। লাল ফিতা কেটে উদ্ভোধন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুলি বিশ্বাস, এ সময় উপস্থিত ছিলেন সিএনআরএস এর টেকনিক্যাল ম্যানেজার হারুনার রশিদ, সিএনআরএস নবপল্লব প্রজেক্টর ফিল্ড অফিসার মোঃ মুস্তাক আহমেদ, মহিলা ও শিশু সংগঠনের নির্বাহী পরিচালক মুর্শিদা খাতুন, মহারাজপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যলয়ের প্রধান শিক্ষক নাজম খাতুন প্রমুখ। মঠবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা সইলউদ্দীন বলেন, দীর্ঘদিন দু, পাড়ের মানুষের প্রত্যাশা ছিল একটি সেতুর সেটা পেয়ে আমার খুবই আনন্দিত। মানুষ এখন নৌকা দিয়ে নয় সরাসরি কাঠের সেতু পার হয়ে ক্লিনিকে সেবা নিতে পারবে। মহারাজপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাজমা খাতুন বলেন, আইলার সময় এখানে নির্মিত সেতুটি ভেঙে যায়। সেই থেকে নৌকায় করে পারাপার হয়ে বিদ্যলয়ের আসতে হতো কোমলমতি শিশুদের। অনেক সময় পারাপার হতে গিয়ে নৌকা ডুবে দুর্ঘটনা ও ঘটেছে। এখন সেতুটি পেয়ে আমরা খুশি। তবে আমরা স্থায়ী একটি সেতুর নির্মাণের দাবি জানাই।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button