সাদপস্থীরা ভারতীয় এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে কাজ করছে

# টঙ্গী ইসতেমার ময়দানে হত্যার ঘটনার প্রতিবাদে ফুলবাড়ীগেটে মানববন্ধনে বক্তারা #
খানজাহান আলী থানা প্রতিনিধি ঃ টঙ্গী বিশ^ ইজতেমার ময়দানে হামলা চালিয়ে হত্যাকান্ডের ঘটনার প্রতিবাদে সাদপন্থী হত্যাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবীতে ফুলবাড়ীগেটে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মানবন্ধন শেষে ৩দফার দাবীতে খানজাহান আলী থানায় একটি স্বারকলিপি দিয়েছেন খানজাহান আলী থানার উলামা মাশায়েখ, শুরাঈ নেজামের অধীনে পরিচালিত তাবলীগ জামাত ও সর্বস্তরের তৌহিদী জনতা।
গতকাল ২১ ডিসেম্বর শনিবার আছরবাদ যশোর খুলনা মহাসড়কের ফুলবাড়ীগেট এলাকায় এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। খানজাহান আলী থানার উলামা মাশায়েখ, শুরাঈ নেজামের অধীনে পরিচালিত তাবলীগ জামাত ও সর্বস্তরের তৌহিদী জনতার ব্যানারে মানববন্ধনে বিভিন্ন স্লোগান সম্বলিত প্লাকার্ড নিয়ে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিগণ অংশগ্রহন করেন। হাফেজ মাওলানা মাসুম বিল্লাহ এর সভাপতিত্বে এবং ফুলবাড়ীগেট বাজার জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব হাফেজ মাওলানা হাফিজুর রহমান হাফিজী সঞ্চালনায় বক্তৃতা করেন মাওলানা আজিজুর রহমান, মুফতি আব্দুল্লাহ, মাওলানা আব্দুল্লাহ আল মাসুম, মোঃ রবিউল ইসলাম, কেসিসি ২নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মোঃ সাইফুল ইসলাম, মোঃ বেল্লাল, মোঃ বশির, মোঃ সাজ্জাদ, মুফতি হাফিজুর রহমান ফারুকী, মুফতি রিয়াজ উদ্দিন, মুফতি মাসুদ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ। মানবন্ধনে দোয়া পরিচালনা করেন মুফতি মানসুর ইসলাম।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, টঙ্গী বিশ^ ইসতেমায় হামলা করে ধর্মপ্রাণ মুসল্লি হত্যার মধ্যে দিয়ে জানান দিয়েছে সাদপস্থী ভারতীয় এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে কাজ করছে। এই ঘটনার সাথে জড়িতদের দেশের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড দিতে হবে এবং মুয়াজবিন নুর, মুছাবা ও ওয়াসিবকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী করে বলেন এই ঘটনার সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে দ্রুত সময়ে শাস্তি নিশ্চিত করা না হলে তাহলে বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে। মানববন্ধন শেষে খানজাহান আলী থানার উলামা মাশায়েখ, শুরাঈ নেজামের অধীনে পরিচালিত তাবলীগ জামাত ও সর্বস্তরের তৌহিদী জনতার ব্যানারে তিন দফার দাবীতে খানজাহান আলী থানায় একটি স্বারকলিপি প্রদান করা হয়। স্বারকলিপিতে বলা হয় যারা রাতের অন্ধকারে তাবলীগের ঘুমন্ত নিরীহ জুবায়েরপস্থী সাথীদের উপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে হত্যাকরা হলো হামলাকারী সাদপন্থী সন্ত্রাসীদের অবিলম্বে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে, খানজাহান আলী থানার সকল মসজিদে তাদের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করতে হবে, খানজাহান আলী থানা থেকে যেসব সন্ত্রাসী টঙ্গীর ময়দানে নৃশংস হত্যাকান্ডে অংশগ্রহণ করেছ তাদেরকে অনতিবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে।