নগরীতে বিএনপি নেতাদের ছবি দিয়ে আ’লীগ নেতা মামুনের ব্যানারে বিতর্ক

# বিএনপি নেতাদের ছবি ব্যবহার হলেও তাদের অনুমতি নেওয়া হয়নি #
স্টাফ রিপোর্টার : নগরীর দৌলতপুর থানার মহেশ^রপাশা খাদ্য বিভাগের ওয়াকার্স ইউনিয়নের শ্রমিক ও সর্দারবৃন্দদের পক্ষ থেকে ইংরেজী নতুন বছরের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে প্যানা তৈরি করেছেন কেসিসি ১ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি বিগত আওয়ামীলীগ সরকারে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মুন্নুজান সুফিয়ানের একান্ত সহচর কলম সরদারের পুত্র প্রবাসী আওয়ামীলীগ নেতা কুয়েত ফাহালিল মহানগর আওয়ামীলীগ এর সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ মামুন খান (দারোগা) । স্থানিয়রা জানান বিগত স্বৈরশাসকের আমলে আওয়ামীলীগ থেকে সকল প্রকার সুযোগ সুবিধা নিয়ে হঠাৎ করে ভোল পাল্টে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্টপ্রতি জিয়াউর রহমান, চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া,ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, কেন্দীয় নির্বাহী কমিটির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ¦ রকিবুল ইসলাম বকুল, খুলনা মহানগর বিএনপির আহবায়ক আ্যডঃ শফিকুল আলম মনা, সদস্য সচিব শফিকুল ইসলাম তুহিন , দৌলতপুর থানা বিএনপির সদ্য নির্বাচিত সভাপতি এম মুরশিদ কামাল ও সাধারন সম্পাদক শেখ ইমাম হোসেন এর ছবি ও বিএনপির দলিয় লোগে ব্যবহার করে নগরীর দৌলতপুর থানার বিভিন্নস্থানে প্যানা লাগিয়েছেন কুয়েত ফাহালিল মহানগর আওয়ামীলীগ এর সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ মামুন খান এ নিয়ে দলীয় নেতাকর্মী সহ সাধারন মানুষের মধ্যে শুভেচ্ছার কৌশলী ব্যানার স্যাটানো নিয়ে চরম বিতর্ক চলছে। এ ব্যানারে বিএনপি নেতাদের ছবি ব্যবহার হলেও তাদের অনুমতি না নেয়ায় এলাকা জুড়ে চরম বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। সাধারনের মধ্যে এ নিয়ে চলছে হাস-তামাশা। অনুসন্ধানে জানা গেছে প্রয়াত কেসিসি ১ নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা মোদাচ্ছের হত্যা মামলার এজাহার নামীয় আসামি মোঃ মামুন খান। এ নিয়ে ক্ষোভ ও নিন্দা প্রকাশ করেছেন তারা।এ ব্যাপারে দৌলতপুর থানা বিএনপির সভাপতি এম মুর্শিদ কামাল বলেন মামুন খান (দারোগা) নামে বিএনপির দলিয় ১ নং ওয়ার্ডে কেউ নেয় তবে আওয়ামীলীগের এক নেতা অনুমতি না নিয়ে আমাদের ছবি দিয়ে প্যানা তৈরি করেছে যা কিছুতেই মেনে নেওয়া যায়না। আমরা অতিদ্রত বিএনপির স্থানিয় নেতাদের নিয়ে আলোপ আলোচনা করে এ ব্যাপারে কঠিন ব্যবস্থা গ্রহন করবো। দৌলতপুর থানা বিএনপির সাধারন সম্পাদক শেখ ইমাম হোসেন বলেন বিষয়টি নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে ইতিমধ্যে ১ নং ওয়ার্ড বিএনপির নেতৃবৃন্দকে প্যানা অপসারন করতে বলা হয়েছে।
খুলনায় নারী উদ্যোক্তা তৈরির কারিগর লিন্ডা ফাতেমা
স্টাফ রিপোর্টার ঃ খুলনার নারী উদ্যোক্তা গড়ার অন্যতম কারিগর লিন্ডা ফাতেমা তুজ জোহরা। তিনি লিন্ডা ফাতেমা বা লিন্ডা নামে অধিক পরিচিত। ২০১৯ সালে তিনি খুলনা অনলাইন সেলারস গ্রপ নামে ফেসবুক গ্রুপের মাধ্যমে খুলনার নারী উদ্যোক্তাদের একত্রিত করেন।তিনি বিভিন্ন উৎসবকে কেন্দ্র করে খুলনায় উদ্যোক্তাদের নিয়ে মেলার আয়োজন করেন।ঈদের সময় ”ঈদ মেলা”, ,বিজয় আনন্দকে রঙিন করে তুলতে ” বিজয় মেলা” এবং বসন্ত উৎসবকে ঘিরে ”ফাল্গুন মেলা”,স্বাধীনতা উৎসব,উইন্টার ফেস্ট মেলা করেন।নানা প্রতিবন্ধকতা উপেক্ষা করে তিনি নিজ গতিতে এগিয়ে চলেছেন। উদ্যোক্তা জীবনে তিনি বারবার ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন।গতবছর প্রতিপক্ষের ষড়যন্ত্রে তিনি গ্রেফতার হন এবং বিনাদোষে জেল খেটেছেন।তিনি খুলনা মহানগর যুবদলের সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান বিপ্লবের সহধর্মিণী। অপ্সরী হাসান নামে তার একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।খুলনার শহরের প্রাণকেন্দ্র রয়েল মোড়ে তার নিজের প্রতিষ্ঠিত ” ফ্যাশন জোন বাই লিন্ডা ” নামে শো-রুমে রয়েছে।ব্যক্তিগত জীবনে তিনি স্পষ্টবাদী,সততার সাথে কাজ করে যাচ্ছেন। সততার সাথে কাজ করে যাওয়ার কারনে নানা প্রতিকূলতায় তিনি শক্ত অবস্থানে রয়েছেন।২০২৩ সালে নানান ষড়যন্ত্রে তার ফাল্গুন মেলা বন্ধ হয়ে যায়।শুধু নারী উদ্যোক্তাদের কল্যানে নয় তিনি করোনাকালীন মানুষের মাঝে অক্সিজেন সিলিন্ডার বিতরণ করেছেন এবং বিভিন্ন সময়ে মানুষের আপদে বিপদে তাদের পাশে এগিয়ে গেছেন।ঈদের সময় পথশিশুদের মাঝে উপহার সামগ্রী,দেশের বিভিন্ন দূর্যোগকালীন সময়ে মানুষের পাশে তিনি দাঁড়িয়েছেন।লিন্ডা ফাতেমা বলেন- মানুষ মানুষের জন্য।আমি আজীবন মানুষের কল্যানে নিজেকে উৎসর্গিত করতে চাই। অসহায় নারীদের স্বাবলম্বী করে তুলতে কাজ করছি।এভাবে খুলনার নারী উদ্যোক্তাদের কল্যানে কাজ করে যাচ্ছেন লিন্ডা ফাতেমা তুজ জোহরা।