স্থানীয় সংবাদ

গল্লামারি ব্রীজ নির্মানে গাফিলতিতে ঠিকাদারকে কালো তালিকাভুক্তকরে শাস্তির আওতায় আনতে হবে

# বৃহত্তর আমরা খুলনাবাসীর মানববন্ধনে বক্তারা #

খবর বিজ্ঞপ্তি ঃ নগরীর গল্লামারী ব্রীজের নির্মান কাজ ৬৭ কোটি ৬৬ লাখ টাকা ব্যয়ে ২০২৩ সালের ১ অক্টোবর শুরু হয়। যার দৈর্ঘ্য ৬৮.৭০ মিটার প্রস্হ ১৩.৭০ মিটার । কাজটি শেষ হওয়ার কথা ২০২৫ এর মে মাসের মধ্যে ১ বৎসর ৬ মাসে। অথচ গত ৫ আগস্ট ছাত্র জনতার গণ অভ্যুত্থানে সরকারের পরিবর্তনের পর থেকে গল্লামারী ব্রীজের কাজ বন্ধ রেখে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান লাপাত্তা হওয়ায় শহরে প্রবেশের একমাত্র পথ এই সড়ক দিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে যাত্রিবাহী পরিবহন, পন্যবাহী ট্রাক, রুগিবাহী এ্যামব্যুলেন্স, ফায়ার ব্রিগেড গাড়ীসহ খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীবৃন্দ, ভিআইপি ও উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা এবং আশপাশ্ব অঞ্চলের মানুষকে প্রতিদিন বিভিন্ন প্রয়োজনীয় কাজে খুলনা আসা যাওয়া করতে তাদের কে চরম ঝুকি নিয়ে চলতে হচ্ছে। এ অসুবিধার কারণে অনতিবিলন্বে ব্রীজের কাজ শুরু করতে হবে অন্যথায় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান (ন্যাশনাল ডেভলপমেন্ট ইন্জ্ঞিনিয়ারর্স লিমিটেডের কার্যাদেশ বাতিল করতে হবে, জামানত বাজেয়াপ্ত করতে হবে, লাইসেন্স কালো তালিকাভুক্ত করতে হবে, তাকে জরিমানা করতে হবে এবং তার বিরুদ্ধে শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে।
রবিবার (২৯ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় বৃহত্তর আমরা খুলনাবাসীর উদ্যোগে গল্লামারি ব্রীজ সংলগ্ন স্থানে গল্লামারী ব্রীজের নির্মান কাজ গত চার মাসের অধিক সময় ধরে ফেলে রেখে খুলনার মানুষদের চরম ভোগান্তি দেয়ার প্রতিবাদে মানববন্ধনে মো. নাসির উদ্দিনের সভাপতিত্বে এবং সাধারন সম্পাদক এস এম মাহাবুবুর রহমান খোকনের পরিচালনায় বক্তারা এসব কথা বলেন। বক্তরা আরও বলেন, ব্রীজের কাজ বন্ধ থাকায় যান জটে পড়তে হচ্ছে, কখন ও কখন ও ছোটখাট দূর্ঘটনা ঘটছে। অনেক সময় ট্রাফিক পুলিশকে দুর্ঘটনা এড়াতে হিমসিম খেতে হয়। এই ব্রীজের কাজ বন্ধ থাকায় দুই পাড়ের ব্যবসায়ীরা বিশেষ করে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীগণ আর্থিক ভাবে ক্ষতি গ্রস্থ হওয়ায় বারবার ঠিকাদারের সঙ্গে এবং সড়ক ও জনপথের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বললেও সুরাহা না দিয়ে খুলনার মানুষকে ভোগান্তিতে ফেরা হচ্ছে। বক্তারা লেন সড়ক ও জনপথের যদি কোনো কর্মকর্তা কর্মচারীর এই কাজে গাফিলতি থাকে ও দূর্নীতির সাথে জড়িত থাকে তার বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নিতে হবে এবং সড়ক ও জনপথ খুলনার সাবেক দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা নির্বাহি প্রকৌশলী আনিসুজ্জামান মাসুদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে।
মানববন্ধনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) খুলনা মহানগর আহব্বায়ক জননেতা এডভোকেট শফিকুল আলম মনা। আরও বক্তৃতা করেন এবং উপস্থিত ছিলেন বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম স্বমন্বয় কমিটির সহসভাপতি মো. নিজাম উর রহমান লালু, যুগ্ম মহাসচিব মো. মিজানুর রহমান বাবু. মো. সিরাজ উদ্দিন সেন্টু, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ খুলনা মহানগর সহসভাপতি শেখ নাসির উদ্দিন, নাগরিক নেতা মফিদুল ইসলাম, খুলনা ডেভলপমেন্ট সোসাইটি চেয়ারম্যান আ. সালাম শিমুল, নাগরিক নেতা মো. দেলোয়ার উদ্দিন দিলু, নুতন তারা সমাজ কল্যানের মহাপরিচালক সাইফুর মিনা, অধ্যাপক আদেল মুকুল, রেন্ট এ কার মালিক শ্রমিক নেতা সৈয়দ বদউজ্জামান বদু, গল্লামারী বাজার ব্যবসায়ী কল্যান সমিতির সভাপতি মো. দেলোয়ার হোসেন, সাধারন সম্পাদক মো. মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক, দপ্তর সম্পাদক এস এম রবিউল ইসলাম সবুজ, শ্রমিক নেতা মো. আজিম উর রহমান মুরাদ, মো. আশরাফ হোসেন, মটর সাইকেল মেকানিজ সমিতির মো. আইনুল হক, গল্লামারী বাড়ীওয়ালা কল্যান সমিতির সাধারন সম্পাদক. মো. মাসুদ হোসেন, মো. জাকির হোসেন, মো. রফিক, মহিলা নেত্রী জলাজলি, সাহিদা পারভিন, সাবিনা ইয়াসমিন, বৃহত্তর আমরা খুলনাবাসী ডা. সৈয়দ মোসাদ্দেক হোসেন বাবলু, ডা. আ. সালাম, মো. কামরুল ইসলাম কামু, শেখ হেদায়েত হোসেন হেদু, শেখ মোহাম্মদ আলী, এম এ জলিল, মো. কামরুল ইসলাম ভুট্রো, মো.সাকিল আহমেদ রাজা, মো. ইকবাল হোসেন তোকা, আ. মান্নান মুন্নাফ, মো. সব্জুুল ইসলাম সবুজ, লিটন মিত্র, মো. খায়রুল আলম, মো. ফোরকান হোসন প্রমুখ।

 

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button