বাগেরহাটে বিএনপির বিবাদমান দুই গ্রুুপের সংঘর্ষের ঘটনা নিয়ে এক পক্ষের সংবাদ সম্মেলন

বাগেরহাট প্রতিনিধি ঃ প্রতিনিয়ত অপরাধমূলক কর্মকান্ডে আলোচিত বাগেরহাট সদর উপজেলার বিষ্ণুপুর এলাকায় বিবাদমান বিএনপির দুই গ্রুপের দফায় দফায় সংঘর্ষ ও বসত বাড়ীতে অগ্নি-সংযোগ ঘটনার এক পর্যায়ে এক পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন বিএনপি’র সদস্য সচিব মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান বাগেরহাট প্রেসক্লাবে সোমবার দুপুরে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন। তার পক্ষে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সংগ্রহের তদারকি কমিটির সদস্য শরিফুল ইসলাম। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য ও সংবাদ কর্মীদের প্রশ্নের উত্তরে বলা হয়, ২০১১ সালে বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের নির্বাচনে মেম্বার পদে প্রতিদ্বন্ধিতা করলে আওয়ামী লীগের এমপি শেখ হেলাল উদ্দিনের একান্ত সহকারী, সন্ত্রাসী বাহীনি প্রধান ফিরোজ বাহিনীর অন্যতম শেখ রেজাউল করিম জোর করে বিজয় ছিনিয়ে নেয়। ওই সময়ে মোস্তাফিজুর রহমানের অপর দুই ভাই যুবদল নেতা মোল্লা মোতাহার হোসেন ও মোল্লা শহীদুল্লাহকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। সেই থেকে রেজাউল করিম এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আরাফাত হোসেন লাভলু এলাকায় চাঁদাবাজি ঘের দখল, সরকারি গাছ কাটা সহ নানা রকম অত্যাচার নির্যাতন জুলুম চালিয়ে আসছিল। এরাই আবার গত ৬ জানুয়ারি ঢাল সড়কি রামদা সহ বিভিন্ন অস্ত্র সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সরকারি পিসি কলেজ সংসদের ছাত্রদলের সাবেক জিএস পাইক শামসুল আলমকে কুলাদাইড় গ্রামের ভিআইপি মোড়ে হামলা চালিয়ে আহত করে। একই বাহিনী গত ৮ জানুয়ারি বিকেলে ইউনিয়ন যুবদলের সম্পাদক প্রার্থী মোল্লা মামুনকে পিটিয়ে আহত করে। পরবর্তীতে জানা যায় ওই ঘটনায় মোস্তাফিজুর রহমানকে হুকুমের আসামি করে থানায় একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে। ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর তার দোসররা নতুন করে বাবলু ও রুহুল বাহিনী নামে বিষ্ণুপুর এলাকায় তান্ডব চালিয়ে যাচ্ছে। তিনি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সাংবাদিকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানান। সংবাদ সম্মেলনে বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সংগ্রহের তদারকি কমিটির সদস্য শেখ হাফিজুল ইসলাম, পাইক নাসির উদ্দিন, যুবদল নেতা শেখ সিরাজুল ইসলাম, সাবেক ছাত্র নেতা ফয়সাল হাওলাদার সহ বিএনপি ও তার অংগ সহযেগিী সংগঠনের নেতা কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, বাগেরহাট সদর উপজেলার বিষ্ণুপুর কুলিয়াদাইড় গ্রামে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে স্থানীয় বিএনপির দুই পক্ষের ৩ দিন ধরে দফায় দফায় সংঘর্ষের জের ধরে গত বুধবার বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সংঘর্ষ হয়। এ সময় এক পক্ষের বসতঘরসহ ৮/১০ টি বসত ঘর পুড়িয়ে দেয়া হয়। এর আগে ওই বাড়ী থেকে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করা হয়। উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে নারী ও বৃদ্ধসহ কমপক্ষে ২০/২৫ জন আহত হন। সংঘর্ষ চলাকালীন সময়ে উভয় পক্ষের ৮/১০টি মটরসাইকেল ভাংচুর ও পুড়িয়ে দেয়া হয়। এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট থানায় অভিযোগ হলেও কোন সন্ত্রাসী বা আসামী গ্রেফতার হয় নাই।