রূপসায় নদী ভাঙ্গনে শঙ্কিত ৫ শতাধিক কৃষক : পরিদর্শনে ইউএনও

রূপসা প্রতিনিধি ঃ রূপসা উপজেলার নৈহাটি ইউনিয়নের শ্রীরামপুর, নৈহাটি, নেহালপুর, কিসমতখুলনা সহ কয়েকটি গ্রামের ৫ শতাধিক কৃষক চর শ্রীরামপুর ভেঁড়ি বাঁধ নদী ভাঙ্গনের কবলে পড়ায় দুশ্চিন্তা আর শঙ্কার ভেতর দিন কাটাচ্ছে। গতকাল ১২ মার্চ দুপুরে ভাঙ্গন পরিদর্শন করতে আসেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আকাশ কুমার কুন্ডু। এ সময় তিনি শ্রীরামপুর বিলের সংরক্ষণ বেরিবাঁধের ভাঙ্গন দেখেন ও এই বিলে চাষাবাদকারী অনেক ভুক্তভোগী কৃষকের সঙ্গে কথা বলে বিস্তারিত জানার চেষ্টা করেন। উপস্থিত ভুক্তভোগী কৃষকদের আশ্বস্ত করেন এলজিইডি ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের সঙ্গে কথা বলে সরকারিভাবে যেটা করা যায় সেটির জন্য দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। পাশাপাশি তিনি সামাজিকভাবে কৃষকদের কিছু কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করা পরামর্শ দেন। নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন সব সময় কৃষকদের পাশে থেকে কাজ করার চেষ্টা করব। চর শ্রীরামপুর বিলে প্রায় ৫২৫ হেক্টর জমি আছে। পাঁচ শতাধিক কৃষক এ সকল জমি আবাদ করে নানারকম ফসল ফলিয়ে এ অঞ্চলের মানুষের খাদ্যের চাহিদা মিটিয়ে বাইরে রপ্তানি করে থাকে। এই বিলের যে জমি জানা যায় তা অত্যন্ত উর্বর । এসকল জমিতে বছরে তিনটি ফসল হয়। এ অঞ্চলের কৃষকরা সুখে শান্তিতে জমিগুলো আবাদ করে বিভিন্ন ধরনের সবজি , ফল ও ধান চাষাবাদ করে হাসিমুখে দিন কাটাচ্ছিল। কিন্তু বছর পাঁচেক আগে শ্রীরামপুর পালপাড়া হতে ইদ্রিস জমাদ্দারের ইট তৈরির ভাটা পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার ভেঁড়ি বাঁধ ভাঙ্গনের কবলে পড়ে। নানারকম জটিলতার কারণে ভাঙ্গন রোধ সঠিকভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব হচ্ছে না। অদৃশ্য কারণে দীর্ঘদিনের দাবি থাকা সত্ত্বেও চূড়ান্ত বেঁড়িবাধ নির্মাণে দীর্ঘসূত্রিতা দেখা দিয়েছে। আর এ কারণে এ অঞ্চলের জনসাধারণ ও কৃষকদের মাঝে চলছে চরম অসন্তোষ ও শঙ্কা । এ বিলে জমি চাষ করা একজন কৃষক আবু তাহের বলেন, আমরা বংশ পরম্পরায় এই বিলের জমি চাষাবাদ করে থাকি । এ অঞ্চলের উৎপাদিত ফসলে এলাকার খাদ্য চাহিদা মিটিয়ে বাইরে রপ্তানি করা হয়। কিন্তু প্রকৃতির খেলায় আমরা আজ দুশ্চিন্তাগ্রস্ত । প্রায় ৫ বছর আগে থেকে নদী ভাঙ্গন শুরু হয়ে আমাদেরকে চরম দুশ্চিন্তায় ফেলেছে। আমরা সব সময় ভয়ে থাকি কখন যেন বাঁধ ভেঙ্গে নদীর লবণ পানি বিলে ঢুকে যায়। আর আমাদের ফসল নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
বর্তমান সরকারের কাছে কৃষকদের প্রতিনিধি হিসেবে আকুল আবেদন জানায়- তারা যেন অচিরেই একটি ভাঙ্গন প্রতিরোধক বাঁধ নির্মাণ করে আমাদের এই কৃষি জমি রক্ষা করে কৃষি উৎপাদনকে ত্বরান্বিত করতে বিশেষ ভূমিকা রাখে । এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা এলজিইডি’র প্রকৌশলী, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি মোঃ ফাহাদ গাজী, ও স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ ।