ইজিবাইক চালক নুর ইসলাম হত্যাকান্ডের ঘটনায় অজ্ঞাতনামা আসামি করে নিহতের স্ত্রীর মামলা

# হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারে পুলিশী অভিযান অব্যাহত

খানজাহান আলী থানা প্রতিনিধি ঃ খুলনার আড়ংঘাটা থানাধীন গাইকুড় ঝাউতলা গ্রামের ইজিবাইক চালক নুর ইসলাম গাজী হত্যাকা-ের ঘটনায় আড়ংঘাটা থানায় অজ্ঞাতনামা আসামী করে মামলা হয়েছে। নিহতের স্ত্রী মাফুজা বেগম বাদী হয়ে আড়ংঘাটা থানায় এ মামলা দায়ের করেন(মামলা নং ৫ , তারিখ ২০/৪/২৫)। মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, নিহত ইজিবাইক চালক নুর ইসলাম গাজী (৫৩) প্রতিদিনের ন্যায় গত ১৮ এপ্রিল বিকাল ৪টার ইজিবাইক চালানোর উদ্দেশ্যে বাসা থেকে ইজিবাইক নিয়ে বের হয়ে যায়। প্রতিদিন রাত্র ১০ টা থেকে সাড়ে ১০টার মধ্যে ইজিবাইক চালানো শেষে বাসায় ফিরে আসে। ঐ দিন নির্ধারিত সময় অতিবাহিত হলেও নুর ইসলাম বাসায় ফিরে না আসায় স্বজনরা তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে। কিন্তু তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ পায় । পরিবারের স্বজনরা নুর ইসলামের সন্ধানে আত্মীয়-স্বজনসহ সম্ভাব্য সকল স্থানে খোঁজাখুঁজি করে। পরদিন ১৯ এপ্রিল আড়ংঘাটা থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরী করে। ১৯ এপ্রিল সন্ধ্যা আনুমানিক ৭ টার সময় লোকমুখে জানতে পারে আড়ংঘাটা থানাধীন তেলিগাতী রাজাপুর বগুড়া সুইটস কারখানা সংলগ্ন বাইপাস সড়কের পশ্চিমপাশে জনৈক জিহাদের মাছের ঘেরের কচুরীপানার মধ্যে চটের বস্তার ভিতরে বন্দি অবস্থায় একটি অজ্ঞাতনামা লাশ পড়ে আছে। এমন সংবাদে নিহতের পরিবারের লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখতে পায় চটের বস্তার ভিতরে প্লাটিকের বস্তায় বন্দি একটি লাশ পড়ে আছে। বস্তার মুখ খুলে লাশ দেখে নিহতের স্বজনরা লাশ সনাক্ত করে। মামলার এজাহারে বলা হয় অজ্ঞাতনামা আসামীরা ১৮ এপ্রিল অনুমান ৪ টা হতে ১৯ এপ্রিল সন্ধ্যা অনুমান ৭ টার মধ্যে যে কোন সময় পরিকল্পিতভাবে পরস্পর যোগসাজসে হত্যা করে লাশ গোপন করার উদ্দেশ্যে চটের বস্তা ভিভরে প্লাটিকের ব্যাগের মধ্যে গলায় ফাঁস দিয়ে হাত পা বেধে আড়ংঘাটা থানাধীন তেলিগাতী রাজপুর বগুড়া সুইটস কারখানা সংলগ্ন বাইপাস সড়কের পশ্চিমপাশে জনৈক জিহাদের মাছের ঘেরের কচুরীপানার মধ্যে ফেলে রেখে ইজিবাইকটি নিয়ে চলে যায়। হত্যাকা-ের ঘটনা নিহত নুর ইসলাম গাজীর স্ত্রী মাফুজা বেগম বাদী হয়ে আড়ংঘাটা থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের নামে মামলা দায়ের করেছেন। এবিষয়ে আড়ংঘাটা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ তুহিনুজ্জামান বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা যাচ্ছে ইজিবাই ছিনতাই এর উদ্দেশ্যে নুর ইসলামকে নির্মমভাবে হত্যা করে লাশ গুম করতে বস্তা বন্দী করে নিহতের শরীরে ইট বেঁধে ঘেরের পানির মধ্যে ফেলে দেয় ঘাতকরা । তিনি জানায় ছিনতাই হওয়া ইজিবাইকটি পুলিশ হেফাজতে আছে। হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারে পুলিশের একাধিক টিম মাঠে কাজ করছে। বিভিন্ন স্থানে পুলিশী অভিযান চলছে। এদিকে নিহত ইজিবাইক চালক নুর ইসলাম গাজীর লাশের ময়না তদন্ত শেষে দাফন সম্পন্ন হয়েছে।