দিঘলিয়ায় ভাই ও ভাইপোর হামলায় সেনা সদস্য ও তার স্ত্রী গুরুতর আহত

দিঘলিয়া প্রতিনিধি ঃ দিঘলিয়ার হাজীগ্রাম নিবাসী মৃত নিছার উদ্দিনের পুত্র অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য সার্জেন্ট আনোয়ার হোসেন (৫২)কে শুধু নয়, তার স্ত্রী শাহনাজ আক্তার শারমিনকেও ধারালো রামদা দিয়ে কুপিয়ে শাবল দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছে ছোট ভাই আইয়ুব হোসেন ও ভাইপো আরিফ এবং অন্তু।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গতকাল শনিবার ( ১৯ এপ্রিল-২০২৫ ইং) দুপুর সাড়ে ১২ টায় জায়গা-জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য সার্জেন্ট মোঃ আনোয়ার হোসেনের সাথে তার ছোট ভাই আইয়ুব হোসেন, ভাইপো আরিফ ও অন্তুর সাথে বাকবিতন্ডা শুরু হয়। বাকবিতন্ডার একপর্যায়ে ছোট ভাই আইয়ুব আলী ঘর থেকে ধারালো রামদা নিয়ে এসে বড় ভাই সার্জেন্ট আনোয়ার হোসেনের উপর চড়াও হয় এবং তার মাথায় ও পায়ে কোপ দিয়ে মারাতœক রক্তাক্ত জখম করে। এ সময় তার স্ত্রী শাহনাজ আক্তার শারমীন স্বামীকে ঠেকাতে এলে তাকেও সকলে মিলে তাকে কুপিয়ে ও শাবল দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে।
পরবর্তীতে এলাকাবাসী ও আহতের স্বজনরা তাদের উদ্ধার করে দিঘলিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। বর্তমানে আহতদ্বয় সেখানেই চিকিৎসাধীন আছেন। এ ব্যাপারে ভিকটিমের পক্ষ থেকে দিঘলিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
উল্লেখ্য ইদানিং সময়ে এলাকাভেদে একটি মহল নিজ নিজ এলাকায় আধিপত্য বিস্তারে মরিয়া হয়ে উঠেছে। মাদক ও জুয়ার আধিপত্য, জমিজমার ভাগবাটোয়ারার ইস্যু সৃষ্টি করে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার, সামাজিক নানা ইস্যু সৃষ্টি করে সমাজে শান্তি-শৃঙ্খলা ভঙ্গের নানা প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় দিঘলিয়া উপজেলার সেনহাটি ইউনিয়নের নানা এলাকার সামাজিক নানা ইস্যুতে মারামারি, রক্তাক্ত জখমসহ নানা ঘটনা একের পর এক ঘটেই চলেছে।
দিঘলিয়া থানা অফিসার ইনচার্জ এইচ এম শাহীন এ প্রতিবেদককে জানান, তিনি ভিকটিমকে মামলা দেওয়ার জন্য বলেছেন। মামলা দিলে অপরাধীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে।