জামায়াতে ইসলামী বৈষ্যম্যহীন সুখি-সমৃদ্ধ একটি কল্যাণ ও মানবিক রাষ্ট্র জাতিকে উপহার দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ : অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান

# ১০ নং ওয়ার্ডে গনসংযোগ ও পথসভা #
স্টাফ রিপোর্টার ঃ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও খুলনা মহানগরী আমীর অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান বলেছেন, ‘কোনো রাষ্ট্রে জবাবদিহিতা মূলক সরকার থাকলে ওই রাষ্ট্রে দুর্নীতি, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ, লুটপাট, জুলুম-নির্যাতন, বৈষম্য, অন্যায়-অবিচার চিরতরে বন্ধ হয়ে যায়। জবাবদিহিতা মূলক সরকার কখনো ফ্যাসিস্ট হয়ে উঠতে পারে না। জামায়াতে ইসলামী বৈষ্যম্যহীন সুখি-সমৃদ্ধ একটি কল্যাণ ও মানবিক রাষ্ট্র জাতিকে উপহার দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’ খুলনা-৩ আসনের জামায়াতের এই প্রার্থী বলেন, ‘জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি’, ‘পিআর পদ্ধতিতে সংসদের উভয় কক্ষের নির্বাচন’, ‘অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষে সকলের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চতকরণ’, ‘ফ্যাসিস্ট সরকারের জুলুম-নির্যাতন, গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার দৃশ্যমান করা’, এবং ‘স্বৈরাচারের দোসর জাতীয় পার্টিসহ ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ’ করার ৫ দফা দাবি জামায়াতে ইসলামীর একক দাবি নয়, পুরো জাতি ৫ দফা দাবি বাস্তবায়ন চায়। ৫ দফা দাবি বাস্তবায়নের মাধ্যমে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, অংশগ্রহণ মূলক নির্বাচন জাতিকে উপহার দেয়া সম্ভব। জাতি এমন একটি নির্বাচনের জন্য উম্মুখ হয়ে আছে। বিগত ১৭ বছর জাতি নির্বিঘ্নে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি। আওয়ামী লীগ কখনো দিনের ভোট রাতে করেছে, কখনো ১৫৪ আসনে বিনা ভোটে সরকার গঠনের নিশ্চয়তা নিয়েছে, কখনো আমি-ডামি নির্বাচন করে জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। লীগের পতনের পর জাতি নির্বিঘ্নে ভোটাধিকার প্রয়োগের আশা করছে। অন্তবর্তী সরকার জাতিকে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দেবে বলে জাতি বিশ্বাস করে। ওই নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশ গড়তে ইনসাফ ও ন্যায়ের প্রতীক দাঁড়িপাল্লায় সমর্থন দিতে তিনি খুলনা-৩ সংসদীয় এলাকার জনসাধারণের প্রতি আহ্বান জানান। রোববার (১২ অক্টোবর) সকালে খুলনা মহানগরীর খালিশপুর থানার ১০ নং ওয়ার্ডের বাংলোর মোড় এলাকায় গনসংযোগ শেষে পথসভায় তিনি এ আহবান জানান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর খুলনা মহানগরী সহকারী সেক্রেটারি ও শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের মহানগরী সভাপতি আজিজুল ইসলাম ফারাজী, ইসলামী ছাত্রশিবিরের মহানগরী সেক্রেটারি রাকিব হাসান, ব্যাবসায়ী থানার মহানগরী সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান, সাবেক ছাত্রশিবিরনেতা মুনসুরুল আলম চৌধুরী, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের মহানগরী সহ সভাপতি মাহফুজুর রহমান, বিএল কলেজ ছাত্রশিবিরের সভাপতি হযরত আলী, জামায়াত নেতা মাওলানা ইমরান হুসাইন তুহিন, গাজী দেলোয়ার হোসেন, মাওলানা আরিফ বিল্লাহ, আব্দল্লাহ আল মামুন, বিপ্লব হোসেন বাবু, খান আমানুল্লাহ রাজা, কাওসার আমীন, জি এম আব্দুল্লাহ, সাইদুর রহমান, ছাত্রশিবির নেতা মিসবাহ, আলামীন, মুহতারাম, শ্রমিকনেতা মুহিব্বুর রসুল, বুলবুল কবির, শহিদুল ইসলাম, বদরুর রশিদ মিন্টু, ইমদাদুল, হেলাল, মোখলেসুর রহমান, সাইদুর রহমান, নাসিরুদ্দীন, আসাদুজ্জামান, আব্দুল বারী, কামরুল ইসলাম প্রমুখ। এ সময় তারা বিভিন্ন মার্কেট ও দোকানের মালিক-কর্মচারি এবং পথচারীদের মাঝে লিফলেট বিতরণ করেন।
মহানগরী আমীর আরও বলেন, ‘যারা চাঁদাবাজি করে ব্যবসায়ীদের নির্বিঘেœ ব্যবসা করার সুযোগ দিচ্ছে না তাদের ভোটের মাধ্যমে প্রতিহত করতে হবে। চাঁদাবাজদের দল যদি কোনমতে ক্ষমতায় বসতে পারে তবে ফুটপাতের একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে শীর্ষ ব্যবসায়ীরা শান্তিতে ব্যবসা করতে পারবে না। ব্যবসার টাকা নিয়ে বাসা-বাড়িতে ফিরতে পারবে না। জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতায় আসলে ফুটপাতের একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে শীর্ষ ব্যবসায়ী সবাই শান্তিতে ও নিরাপদে ব্যবসা করতে পারবে। এক পয়সাও কাউকে চাঁদা দিতে হবে না। তাই তিনি ব্যবসায়ীদের কাছে আগামী নির্বাচনে দাঁড়িপাল্লা প্রতীকে সমর্থন কামনা করেন।’



