জাতীয় সংবাদ

শরণার্থী ক্যাম্পেও ইসরায়েলের হামলা : ১৮ জন নিহত

গাজায় এক শিশু ৩ বার হামলার শিকার হয়েও এখনো জীবিত

প্রবাহ রিপোর্ট ঃ ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার জাবালিয়া শরণার্থী ক্যাম্পে ভয়াবহ বিমান হামলায় অন্তত ১৮ জন নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) জাবালিয়ায় এই হামলা হয়। ফিলিস্তিনি বার্তাসংস্থা ওয়াফা নিউজ জানিয়েছে, শুক্রবার সকালে কয়েকটি আবাসিক ভবনে বিমান হামলা চালায় ইসরায়েলি সেনারা। এতে আবু আল-কামসান, মাসুদ, আল-আসালি, আল-তুলুলি, আবু দান এবং আবু দায়েরের পরিবারের সদস্যরা নিহত হন। পরবর্তীতে জাবালিয়ার ফালাওজাতে আরেকটি বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। এতে তিনজন নিহত হন। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা জানিয়েছে, বিমান হামলার পর অনেক মানুষ ভবনের নিচে চাপা পড়েন। এখন তাদের উদ্ধারে কাজ করছেন সাধারণ মানুষ। শুধুমাত্র খালি হাত ব্যবহার করেই ধ্বংসস্তূপ খুঁড়ে সেখানে প্রাণের স্পন্দন খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন তারা। তিনবার হামলার শিকার, তবুও বেঁচে রইল গাজার তিন বছরের শিশু ঃ
দখলদার ইসরায়েলি সেনাদের চালানো হামলায় গাজায় প্রতিদিন প্রাণ হারাচ্ছেন শত শত মানুষ। ইসরায়েলিদের হামলায় এখন মৃত্যুপুরীতের পরিণত হয়েছে ছোট্ট এ উপত্যকা। তবে সৃষ্টিকর্তা যদি বাঁচিয়ে রাখে তাহলে কার সাধ্য মেরে ফেলার? তেমনই ঘটনা ঘটেছে গাজার তিন বছরের শিশু আহমাদ সাবাতের ক্ষেত্রে। দখলদার ইসরায়েলিদের হাতে তিনবার হামলার শিকার হয়েছে সাবাত। কিন্তু তা সত্ত্বেও এখনো বেঁচে আছে সে। যদিও ইসরায়েলিদের হামলায় বাবা-মা, ভাই-বোন, চাচাসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের হারিয়েছে সে। তবে সৃষ্টিকর্তা যদি বাঁচিয়ে রাখে তাহলে কার সাধ্য মেরে ফেলার? তেমনই ঘটনা ঘটেছে গাজার তিন বছরের শিশু আহমাদ সাবাতের ক্ষেত্রে। দখলদার ইসরায়েলিদের হাতে তিনবার হামলার শিকার হয়েছে সাবাত। কিন্তু তা সত্ত্বেও এখনো বেঁচে আছে সে। যদিও ইসরায়েলিদের হামলায় বাবা-মা, ভাই-বোন, চাচাসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের হারিয়েছে সে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, গত ৭ অক্টোবর প্রথম হামলার শিকার হয় আহমাদ সাবাত। ওইদিন নিজের বাবা ও চার ভাইবোনকে চিরতরে হারায় সে। এরপর তাকে দেখাশুনার দায়িত্ব নেয় তার বাবার পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু তারা গাজার রাদওয়ান বিভাগে চালানো ইসরায়েলের হামলায় প্রাণ হারান। এ যাত্রায়ও বেঁচে যায় সাবাত। ওই হামলার পর বেঁচে যাওয়া এক চাচার সঙ্গে সাবাতকে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনআরএডব্লিউ নুসেরাত শরণার্থী ক্যাম্পের একটি স্কুলে নিয়ে যায়। সেখানেও বিমান হামলা চালায় বর্বর ইসরায়েলি বাহিনী। ওই হামলায় সাবাতের চাচা নিহত হয় এবং সে পায়ে আঘাতপ্রাপ্ত হয়। বর্তমানে দেইর-এল-বালাহর আল-আকসা শহীদ হাসপাতালের তত্ত্বাবধানে রয়েছে সাবাত। সেখানে চিকিৎসা নিচ্ছে সে। তবে নির্বিচার হামলা অব্যাহত রাখা সাবাত যে আবারও হামলার শিকার হবে না এ নিশ্চয়তা দিতে পারে না কেউ। হয়তবা চতুর্থবার হামলার শিকার হয়ে মৃতদের তালিকায় যুক্ত হতে পারে তার নাম!

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button