জাতীয় সংবাদ

ফখরুলের জামিন নিয়ে রুলের শুনানি এক সপ্তাহ পিছিয়েছে

প্রবাহ রিপোর্ট : প্রধান বিচারপতির বাসায় হামলার ঘটনায় রমনা থানায় করা মামলায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে কেন জামিন দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে জারি করা রুলের শুনানি এক সপ্তাহ পিছিয়েছে। মির্জা ফখরুলের পক্ষে সময় চেয়ে আবেদনের পর গতকাল বুধবার বিচারপতি মো. সেলিম ও বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিএম আবদুর রাফেল। মির্জা ফখরুলের আইনজীবীর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ছিলেন ওয়ালী উদ্দিন। আদালতে আইনজীবী ওয়ালী উদ্দিন ব্যক্তিগত অসুবিধার জন্য চলতি সপ্তাহে শুনানি না করার জন্য আর্জি করেন। এ সময় আদালত বলেন, কার পক্ষে বলছেন? জবাবে ওয়ালী উদ্দিন বলেন, আইনজীবী সগীর হোসেনের পক্ষে (মির্জা ফখরুলের পক্ষে আবেদনকারী আইনজীবী)। এ পর্যায়ে আদালত বলেন, তখন এত আর্জেন্সি (তাড়া) দেখালেন, এখন নেই কেন? উত্তরে আইনজীবী ওয়ালী উদ্দিন বলেন, পারসোনাল ডিফিকাল্টিস (ব্যক্তিগত অসুবিধা)। পরে আদালত চলতি সপ্তাহের জন্য শুনানি মুলতবি করে আদেশ দেন। এর আগে গত ১৭ ডিসেম্বর রুল শুনানির জন্য ৩ জানুয়ারি দিন রেখেছিলেন হাইকোর্ট। ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিএম আবদুর রাফেল জানান, ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে জামিন আবেদনকারীপক্ষ সময় চেয়েছেন। আদালত এক সপ্তাহ সময় দিয়েছেন। এর আগে গত ৭ ডিসেম্বর হাইকোর্ট এক সপ্তাহের এ রুল জারি করেন। গত ৩ ডিসেম্বর হাইকোর্টে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জামিন চেয়ে আবেদন করা হয়। এর আগে গত ২২ নভেম্বর ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক ফয়সল আতিক বিন কাদের তার জামিন নামঞ্জুর করে আদেশ দেন। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে ২৯ অক্টোবর সকাল সাড়ে ৯টার দিকে রাজধানীর গুলশানের বাসা থেকে আটক করে নিয়ে যায় গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। ওই সময় ফখরুলের স্ত্রী রাহাত আরা বেগম জানান, গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল বাসায় এসে সিসিটিভি ক্যামেরার ডিভাইস নিয়ে যায়। তার ১০ মিনিট পর বাসায় গিয়ে মির্জা ফখরুলকে আটক করে গোয়েন্দা কার্যালয়ে নেওয়া হয়। ওইদিনই রাত ৮টার দিকে তাকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করে গোয়েন্দা পুলিশ। অপরদিকে তার পক্ষে জামিন আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে ২৮ অক্টোবর সমাবেশ ডাকে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো। নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশে পুলিশের সঙ্গে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। পরদিন হরতালের ডাক দেয় বিএনপি। এরপর থেকে দফায় দফায় অবরোধ ও হরতাল পালন করে আসছে বিএনপি ও তাদের যুগপৎ আন্দোলনের সঙ্গী দলগুলো।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button