জাতীয় সংবাদ

গাজায় না খেয়ে মারা গেছে ২০ জন

প্রবাহ ডেস্ক : যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকায় আরও সাহায্য পাঠানোর ডাক দিয়েছে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থা। স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, অবরুদ্ধ এই উপকূলীয় এলাকাটিতে না খেয়ে অপুষ্টি ও পানিশূন্যতার শিকার হয়ে মৃতের সংখ্যা ২০ এ গিয়ে দাঁড়িয়েছে। খবর আল জাজিরার। এ বিষয়ে হামাস পরিচালিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আশরাফ আল-কুদরা এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘না খেয়ে থাকার কারণে ও হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে ব্যর্থ হওয়ায় নীরবে প্রতিদিন ১৫ থেকে ২০ জন লোক মারা যাচ্ছে।’ এদিকে, গাজায় পূর্ণমাত্রার দুর্ভিক্ষ ঠেকাতে যুদ্ধবিরতির নির্দেশ দিতে আন্তর্জাতিক আদালতের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। গাজা যুদ্ধে ইসরায়েলি বর্বরতার জবাব দিতে লোহিত সাগরে চলাচলকারী বাণিজ্যিক জাহাজে হুতিদের হামলায় এই প্রথম মৃত্যুর কথা তুলে ধরেছে ইয়েমেন ভিত্তিক ইরান সমর্থিত বিদ্রোহীরা। অন্যদিকে ইসরায়েলের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এহুদ ওলমার্ট হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু যদি রাফাহ শহরে সামরিক অভিযানের বিস্তৃতি ঘটায় তবে তা মিসরের সঙ্গে তার দেশের শান্তিচুক্তিকে ভ-ুল করে দিতে পারে। হারিট্জ পডকাস্টে প্রচারিত এক বক্তব্যে বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কট্টর সমালোচক ওলমার্ট বলেন, নেতানিয়াহু এবং তার যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভার মিত্ররা যুদ্ধ থামাতে মোটেও আগ্রহী নয় বরং পশ্চিম তীরেও উত্তেজনার আগুন উসকে দিতে চান তারা। ওদিকে, অধিকৃত পশ্চিম তীরের তুবাস ও তাম্মুন শহরে অভিযান চালিয়ে কমপক্ষে নয় ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই আবারও যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, গাজার ওপর চাপিয়ে দেওয়া ইসরায়েলের এই যুদ্ধ ‘মানবিকতার বিরুদ্ধে একটি ট্রাজেডি’ এবং তা ‘সভ্যতার জন্য অসম্মান।’ গত বছরের ৭ অক্টোবরের পর থেকে এ পর্যন্ত গাজায় ইসরায়েলের অবিরাম বোমাবর্ষণে ও হামলায় ৩০ হাজার ৭১৭ জন ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছে। এসব হামলায় আহত হয়েছে আরও ৭২ হাজার ১৫৬ জন। অন্যদিকে ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় ইসরায়েলে মারা গিয়েছিল এক হাজার ১৩৯ জন।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button