জয়পুরহাটে সাংবাদিক পেটানো সেই ছাত্রলীগ নেতার জামিন নামঞ্জুর
প্রবাহ রিপোর্ট : জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলায় সংবাদ সংগ্রহ করতে যাওয়া চার সাংবাদিককে মারধরের ঘটনায় হওয়া মামলার নয় আসামির মধ্যে আটজন জামিন পেয়েছেন। তবে জামিন শুনানিতে অনুপস্থিত থাকা মামলার প্রধান আসামি ছাত্রলীগ নেতা মাহমুদুল হাসানের জামিন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। গত সোমবার দুপুরে জয়পুরহাট চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল মামুন এ আদেশ দেন। আদালতের পুলিশ পরির্দশক আবু বকর সিদ্দিক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। আদালত সূত্রে জানা গেছে, মামলার প্রধান আসামি ছাত্রলীগ নেতা মাহমুদুল হাসানসহ নয় আসামি আইনজীবীর মাধ্যমে জামিন আবেদন করেন। তবে জামিন শুনানিতে মাহমুদুল উপস্থিত ছিলেন না। পরে আদালতে উপস্থিত থাকা আট আসামির জামিন মঞ্জুর করেন বিচারক। এদিকে জামিন পাওয়া আসামিদের সঙ্গে ছাত্রলীগ নেতা মাহমুদুল হাসান আদালত চত্বরে ‘ভি চিহ্ন’ দেখিয়ে ছবি তোলেন। এই ছবি তিনি নিজের ফেসবুকে পোস্ট করে ক্যাপশনে লেখেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ মিথ্যা মামলায় জামিন মঞ্জুর।’ আসামিপক্ষের আইনজীবী শাহনুর রহমান শাহীন বলেন, ৯ আসামির সবার জামিন আবেদন করা হয়েছিল। জামিন শুনানির সময় শুধু মাহমুদুল হাসান বাহিরে ছিলেন। এ কারণে তার জামিন হয়নি। এছাড়া সবাই জামিন পেয়েছেন। মামলার এজাহার ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, পাঁচবিবি উপজেলার ফিচকার ঘাট পীরপাল এলাকায় ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর জমিতে মহিপুর হাজী মহসিন সরকারি কলেজের ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান আইন অমান্য করে ভেকু মেশিন দিয়ে মাটি খননের কাজ করছিলেন। ভুক্তভোগী লোকজনের কাছ থেকে অভিযোগ পেয়ে সাংবাদিক আল মামুন, বাবুল হোসেন, জুয়েল শেখ ও আব্দুর রাজ্জাক গত শনিবার ঘটনাস্থলে যান। এ খবর পেয়ে ছাত্রলীগ নেতা মাহমুদুল তার দলবল নিয়ে ছুটে আসেন। একপর্যায়ে মাহমুদুল ও তার লোকজন লাঠিসোটা, রড নিয়ে অতর্কিত সাংবাদিকদের ওপর হামলা চালান। তাদের বেধড়ক মারধর করে টাকা-পয়সাও কেড়ে নেন বলে অভিযোগ করা হয়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী সাংবাদিকদের একজন জুয়েল শেখ বাদী হয়ে ছাত্রলীগ নেতা মাহমুদুল হাসানসহ নয় জনের বিরুদ্ধে পাঁচবিবি থানায় মামলা করেন। এদিকে এ ঘটনায় পাঁচবিবি থানায় বাদী হয়ে ছাত্রলীগ নেতা মাহমুদুল হাসানও ওই চার সাংবাদিকের নামে একটি চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করেছেন।