জাতীয় সংবাদ

১৯ দিনে প্রবাসী আয় এলো ১৪ হাজার ৯৬ কোটি টাকার বেশি

প্রবাহ রিপোর্ট : চলতি মাসের প্রথম ১৯দিনে প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স দেশে এসেছে ১২৮ কোটি ১৫ লাখ ১০ হাজার মার্কিন ডলার। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ১৪ হাজার ৯৬ কোটি ৬১ লাখ টাকা (প্রতি ডলার ১১০ টাকা ধরে)। দেশে কার্যরত ব্যাংকগুলোর মধ্যে প্রথম ১৯দিনে একক ব্যাংক হিসাবে সবচেয়ে বেশি প্রবাসী আয় এসেছে ইসলামি ব্যাংকে। আর দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। সেখানে বলা হয়েছে, চলতি এপ্রিলের প্রথম ১৯ দিনে বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ১০৮ কোটি ৮১ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার এসেছে। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ১১ হাজার ৯৬৯ কোটি ৮৭ লাখ টাকা। এ ছাড়া রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ১১ কোটি তিন লাখ ২০ হাজার ডলার, বিশেষায়িত ব্যাংকের মাধ্যমে সাত কোটি ৯০ লাখ ৯০ হাজার ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৩৯ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার। অপরদিক, চলতি মাসের ১ থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত ৪৫ কোটি ৫৪ লাখ ২০ হাজার ডলারের প্রবাসী আয় এসেছে। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ পাঁচ হাজার ৯ কোটি ৬২ লাখ টাকা। ৬ থেকে ১২ এপ্রিল পর্যন্ত ৪২ কোটি ১৬ লাখ ৮০ হাজার ডলারের প্রবাসী আয় এসেছে। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ চার হাজার ৬৩৮ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। এ ছাড়া ১৩ থেকে ১৯ এপ্রিল পর্যন্ত ৪০ কোটি ৪৪ লাখ ১০ হাজার ডলারের প্রবাসী আয় এসেছে। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ চার হাজার ৪৪৮ কোটি ৫১ লাখ টাকা। অন্যান্য সময়ের মতো এবারও ইসলামি ব্যাংকের মাধ্যমে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স এসেছে। এপ্রিল মাসের প্রথম ১৯ দিনে ব্যাংকটির মাধ্যমে রেমিট্যান্স এসেছে ৩৮ কোটি ৬৮ লাখ ৯০ হাজার ডলার। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ তিন হাজার ৮১৫ কোটি ৭৯ লাখ টাকা। এরপরেই রয়েছে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের অবস্থান। ব্যাংকটির মাধ্যমে সাত কোটি ৯০ লাখ ৯০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। ব্র্যাক ব্যাংকের মাধ্যমে ছয় কোটি ৭২ লাখ ৬০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। এ ছাড়া ট্রাস্ট ব্যাংকের মাধ্যমে ছয় কোটি ১৪ লাখ ৪০ হাজার ডলার এবং সোশ্যাল ইসলামি ব্যাংকের পাঁচ কোটি ৮৪ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। চলতি বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল ২১১ কোটি ৩১ লাখ ৫০ হাজার ডলার। ফেব্রুয়ারিতে আসে ২১৬ কোটি ৪৫ লাখ ৬০ হাজার ডলার এবং মার্চে ১৯৯ কোটি ৬৮ লাখ ৫০ হাজার ডলার। আগের বছরের ডিসেম্বরে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৯৯ কোটি ১২ লাখ ৬০ হাজার ডলার, নভেম্বরে ১৯৩ কোটি ৪০ হাজার ডলার, অক্টোবরে ১৯৭ কোটি ১৪ লাখ ৩০ হাজার ডলার, সেপ্টেম্বরে ১৩৩ কোটি ৪৩ লাখ ৫০ হাজার ডলার, আগস্টে ১৫৯ কোটি ৯৪ লাখ ৫০ হাজার ডলার, জুলাইয়ে ১৯৭ কোটি ৩১ লাখ ৫০ হাজার ডলার, জুনে ২১৯ কোটি ৯০ লাখ ৮০ হাজার ডলার, মে মাসে ১৬৯ কোটি ১৬ লাখ ৬০ হাজার ডলার, এপ্রিলে ১৬৮ কোটি ৪৯ লাখ ১০ হাজার ডলার, মার্চে ২০২ কোটি ২৪ লাখ ৭০ হাজার ডলার, ফেব্রুয়ারিতে ১৫৬ কোটি চার লাখ ৮০ হাজার ডলার এবং জানুয়ারিতে ১৯৫ কোটি ৮৮ লাখ ৭০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স এসেছে।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button