সমন্বিত হজ চিকিৎসা দলের ৯ জনের সৌদি যাত্রা স্থগিত থাকবে
প্রবাহ রিপোর্ট : সৌদিতে যাওয়ার জন্য সমন্বিত হজ চিকিৎসক (স্বাস্থ্যসেবা) দলের ১৮৯ জনের বিষয়ে জারি করা সরকারি আদেশের মধ্যে নয় নার্সের ওপর হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত। হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে করা পৃথক আবেদনে গতকাল বুধবার আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এ আদেশ দেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। রিটকারী পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ব্যারিস্টার সাখাওয়াত হোসেন খান। ধর্ম মন্ত্রণালয় চলতি বছরের সমন্বিত হজ চিকিৎসক দল গঠন করে ৯ এপ্রিল। ১৮৯ জনের এই বহরে চিকিৎসক ৮৫ জন, নার্স ৫৫ জন, ফার্মাসিস্ট ২৪ জন এবং ওটি/ল্যাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ২৫ জন। দলটি পবিত্র হজ পালনে সৌদি আরবে যাওয়া বাংলাদেশি হাজিদের চিকিৎসাসেবা দেবে। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ১৬ জুন পবিত্র হজ হতে পারে। তবে ৫৫ জন নার্সের তালিকায় তিনজন নার্সই নয়। কারো কারো বয়স বেশি। এছাড়া বিভিন্ন অনিয়ম করে এক বা একাধিকবার চিকিৎসক দলে সৌদি যাওয়া ব্যক্তিদের নাম তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করার অভিযোগ তুলে ১২ এপ্রিল দুদক চেয়ারম্যান, স্বাস্থ্য সচিব ও ধর্ম সচিব বরাবরে আবেদন দেন জামালপুরের ইসলাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সিনিয়র স্টাফ নার্স খাঁন মো.গোলাম মোরশেদ। বিষয়টি নিষ্পত্তি না করায় তিনি ১৮ এপ্রিল সংশ্লিষ্টদের আইনি নোটিশ দেন। তাতে সাড়া না পেয়ে তিনি হাইকোর্ট রিট করেন। শুনানি শেষে ২৮ এপ্রিল হাইকোর্ট রুল জারি করে নয়জনের বিষয়ে সমন্বিত হজ চিকিৎসক দলে থাকার বিষয়টি স্থগিত করেন। এর বিরুদ্ধে দুইজন নার্স ও রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে আবেদন করেন। আইনজীবী সাখাওয়াত হোসেন জানান, আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত ‘নো অর্ডার’ আদেশ দিয়েছেন। ফলে হাইকোর্টের আদেশ বহাল রয়েছে। তবে সরকার আগের আদেশ সংশোধন করে ইতোমধ্যে চারজনের নাম তালিকা থেকে বাদ দিয়েছে বলে জানা গেছে।