জাতীয় সংবাদ

রাস্তায় পড়ে থাকা ১৮ লাখ টাকা থানায় জমা দিলেন শিক্ষার্থীরা

প্রবাহ রিপোর্ট : রাজশাহীতে রাস্তায় পড়ে থাকা ১৮ লাখ টাকা থানায় জমা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। টাকার ব্যাগে সোনালী রঙের একটি রহস্যজনক ধাতব বস্তু পাওয়া গেছে। এই ধাতব বস্তুটিতে ১৮টি ছিদ্র আছে। এগুলো কোনো সংকেত বলে ধারণা করা হচ্ছে। গতকাল রোববার ভোর সোয়া ৫টার দিকে নগরীর ভদ্রা এলাকায় রাস্তা থেকে ওই টাকা ও ধাতব বস্তুটি কুড়িয়ে পান শিক্ষার্থীরা। পরে সকাল ১১টার দিকে কয়েকজন শিক্ষার্থী টাকা ও ধাতব বস্তুটি নগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানায় সেনাবাহিনী ও একজন ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে জমা দেন। নগরীর বড়কুঠি ভূমি অফিসের সহকারী কমিশনার (ভূমি) এবং সেনাবাহিনীর ওয়ারেন্ট অফিসার ইকবাল হোসেনের উপস্থিতিতে বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম মাসুদ পারভেজ টাকাগুলো তাদের কাছ থেকে বুঝে নেন। পুলিশ বলছে, এই টাকা কোথা থেকে এল তা তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নাটোরের সিংড়া উপজেলার রহমত ইকবাল ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী আকাশ আলী, আক্কাস আলীসহ কয়েকজন শিক্ষার্থী থানায় টাকা জমা দিতে আসেন। তারা বর্তমানে ভদ্রা এলাকায় থাকেন। তারা জানান, সাধারণ মানুষের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য তারা রাতভর নগরীর ভদ্রা এলাকায় অবস্থান করছিলেন। রাতের ডিউটি শেষে ভোরে বাসায় ফিরছিলেন তারা। এ সময় ওই এলাকার একটি গলির রাস্তায় ব্যাগটি পড়ে থাকতে দেখেন। ব্যাগে লাথি দিয়ে তারা বুঝতে পারেন ভেতরে কিছু আছে। তখন তারা ব্যাগটি খুলে অনেকগুলো টাকা দেখতে পান। পরে ব্যাগের ভেতরে ১০০০ টাকার নোটের ১৮টি বান্ডেল পান। তারা আরও বলেন, যে ধাতব বস্তুটি আমার পাই সেটি সোনালী রঙের। তবে স্বর্ণের কি-না সেটি যাচাই করা যায়নি। এদিকে, ওই বস্তুটিতে মোট ১৮টি ছিদ্র আছে। টাকার বান্ডিলও আছে ১৮টি। এটি কোনো সংকেতও হতে পারে। রাজশাহীর বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম মাসুদ পারভেজ বলেন, একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে টাকাগুলো তারা বুঝে নিয়েছেন। এ ছাড়া আমরা যাচাই করে জেনেছি সোনালী রঙের ধাতব বস্তুটি সোনার নয়। তবে তাতে অনেকগুলো ছিদ্র আছে। এই বিষয়টি আমরা তদন্ত করে দেখছি। এ টাকার মালিক কে, এগুলো অবৈধ কি-না কিংবা কোনো অপরাধী এ টাকা বহনের সময় ফেলে গেছে কী না, তা তদন্ত হবে। এ ছাড়া আদালতের অনুমতি নিয়ে টাকাগুলো দ্রুতই রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেওয়া হবে।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button