বঙ্গভবনের সামনে নিরাপত্তা আরও জোরদার
প্রবাহ রিপোর্ট ঃ রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগের দাবিতে বঙ্গভবনের সামনে টানা তৃতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীসহ বেশ কয়েকজন। গত কয়েকদিনের মতো ছিলেন উৎসুক জনতাও। তবে গত দুদিনের তুলনায় আরও জোরদার করা হয়েছে বঙ্গভবনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় বঙ্গভবনের সামনে এমন চিত্র দেখা যায়। দেখা যায়, বিপুল সংখ্যক সেনা সদস্যের পাশাপাশি পুলিশ, র্যাব, এপিবিএন ও বিজিবি সদস্য বঙ্গভবনের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সতর্ক অবস্থানে আছে। আগে থেকেই বঙ্গভবনে প্রবেশের সড়কে কাঁটাতার ও লোহার ব্যারিকেড থাকলেও গতকাল বৃহস্পতিবার কাঁটাতারের বেড়া আরও বাড়ানো হয়। পাশাপাশি কংক্রিটের ডিভাইডার দেওয়া হয় পুরোটাজুড়ে। এতে বঙ্গভবনের সামনের সড়ক দিয়ে প্রবেশের রাস্তা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে। তবে নিরাপত্তারক্ষীদের প্রবেশের জন্য পাশেই একটি অস্থায়ী গেট দেখা গেছে। এ ছাড়া কর্মকর্তাদের প্রবেশের জন্য বঙ্গভবনের পেছনের দিকে একটি পকেট গেট আছে বলে জানা গেছে। এদিকে গতকাল বৃহস্পতিবার কয়েকজন শিক্ষার্থীকে বঙ্গভবনের সামনের রাস্তায় অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করতে দেখা গেছে। রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের পাশাপাশি তাদের সংবিধানও বাতিলের দাবি করতে দেখা গেছে। তবে বিক্ষোভকারীদের থেকে উৎসুক জনতার উপস্থিতি বেশি দেখা গেছে। বিক্ষোভকারীদের একজন ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটের (এনআইডি) সিএসসি বিভাগের শিক্ষার্থী ইব্রাহিম সাব্বির। তিনি বলেন, আমরা ৭-৮ জন মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে এখানে আছি। আমরা দাবি করেছিলাম রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ। কিন্তু সংবিধানে নিয়ম না থাকার কারণে তাকে বাদ দেওয়া যাচ্ছে না। যে সংবিধান হাসিনা-চুপ্পুর বিচার করতে পারে না, সেই সংবিধান মানি না। গত মঙ্গলবার দুপুর থেকে রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবিতে বঙ্গভবনের সামনে বিক্ষোভ শুরু করে ছাত্র-জনতা। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, ইনকিলাব মঞ্চ, গণঅধিকার পরিষদসহ বিভিন্ন ব্যানারে নেতা-কর্মী ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ বঙ্গভবনের সামনে বিক্ষোভ করেন। এদিন আন্দোলনকারীরা পুলিশের নিরাপত্তা ব্যারিকেড ভেঙে বঙ্গভবনের ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করলে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে। এতে সাংবাদিক, শিক্ষার্থীসহ পাঁচজন আহত হন। পরে সেনাবাহিনীর সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এদিন রাতে পুলিশের একটি দলের ওপর হামলা চালায় বিক্ষুব্ধ জনতা। এতে ২৫ পুলিশসহ অন্তত ৪০ জন আহত হন। তবে গত বুধবার দুয়েকটি ছাড়া তেমন কোনো সংগঠনের ব্যানার দেখা যায়নি। ছিল না আন্দোলনকারীদের তেমন উপস্থিতি।