ঢাকা মেডিকেলে ভুয়া চিকিৎসক সেজে প্রতারণা : আসামি পাপিয়া কারাগারে
প্রবাহ রিপোর্ট : ঢাকা মেডিকেলে ভুয়া চিকিৎসক সেজে প্রতারণার মাধ্যমে রোগীর কাছ থেকে টাকা আত্মসাতের মামলায় পাপিয়া আক্তার স্বর্ণাকে (২২) কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। গতকাল সোমবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেলাল হোসেন এ আদেশ দেন। এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও সাব-ইন্সপেক্টর জাহাঙ্গীর হোসেন ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। একইসঙ্গে আসামি ২৮ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করেন। আসামি পক্ষের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। বিচারক কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। মামলার এজাহারে বাদী নুর আলম উল্লেখ করেন, ১৩ নভেম্বর আমার স্ত্রীর টিউমারের চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলে আসি। হাসপাতালে পাপিয়া আক্তার স্বর্ণার (২২) সঙ্গে দেখা হলে তিনি নিজেকে ডাক্তার পরিচয় দেন। তিনি টিউমারের অপারেশন বাবদ ৪০ হাজার টাকা দাবি করেন। পোশাক ও বাহ্যিক বেশ দেখে ডাক্তার মনে হওয়ায় প্রাথমিকভাবে তাকে ২৮ হাজার টাকা দেই। এরপর হাসপাতালের তৃতীয় তলায় স্বর্ণা আমাদের ভর্তি করান। কিন্তু ১৭ নভেম্বর পর্যন্ত আমাদের চিকিৎসা হয়নি। এদিন আমাদের কাছ থেকে আরও ২ হাজার টাকা নেওয়ার সময় ডিউটি ডাক্তার দেখে ফেলেন। টাকা দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে আমি সব ঘটনা বলি। ওনারা জানান, পাপিয়া আক্তার স্বর্ণা কোনও ডাক্তার না। আমি প্রতারণার শিকার হয়েছি বুঝতে পেরে হাসপাতালের ডাক্তার ও নার্সরা পুলিশকে খবর দেন। তাৎক্ষণিক পুলিশ পাপিয়াকে আটক করে। এ ঘটনায় গত রোববার শাহবাগ থানায় ৩০ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামলা করেন নুর আলম।