নারায়ণগঞ্জে হত্যা মামলায় এক ব্যক্তির মৃত্যুদ-

প্রবাহ রিপোর্ট : নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় তানজিদা আক্তার পপি নামে এক গৃহবধূকে হত্যার দায়ে তার স্বামী হীরা চৌধুরীকে (৩৩) মৃত্যুদ- দিয়েছেন আদালত। গতকাল সোমবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আবু শামীম আজাদ এই রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিল। মৃত্যুদ-প্রাপ্ত হীরা চৌধুরী ফতুল্লা থানার পূর্ব লামাপাড়ার ওমর চৌধুরী তুহিনের ছেলে। নিহত তানজিদা আক্তার পপি ফতুল্লার বক্তাবলীর রাজাপুরের মৃত আলী আশরাফের মেয়ে। বিষয়টি নিশ্চিত করে কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক মো. কাইউম খান বলেন, ২০২১ সালে স্ত্রীকে হত্যা করে হীরা চৌধুরী। সেই ঘটনায় দায়ের করা মামলায় আদালত তার মৃত্যুদ-ের রায় দিয়েছেন। এ বিষয়ে আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ জাকির বলেন, রাগের বশে রাতের বেলায় ঘুমের মধ্যে স্ত্রীকে গলায় ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে হত্যা করে হীরা। এই ঘটনায় মামলা হলে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে আসামি। সেই মামলায় তার মৃত্যুদ- রায় দিয়েছেন আদালত। মামলা সূত্রে জানা গেছে, ১৬ বছর আগে পারিবারিকভাবে হীরার সঙ্গে পপির বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে পপির কাছ থেকে শ্বশুরবাড়ির লোকজন নানা অজুহাতে বিভিন্ন সময় টাকা দাবি করে আসছিলেন। মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে পপির মা তাসলিমা বেগম ৫০ হাজার টাকা দিয়ে এসেছিলেন মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে। সবশেষ হত্যার আগের দিন দুপুরেও পপির শ্বশুরবাড়ি গিয়ে ৫০ হাজার টাকা দিয়ে এসেছিলেন তাসলিমা বেগম। পরের দিন ২০২১ সালের ২৬ মে শ্বশুরবাড়ি থেকে ফোন করে জানানো হয়, তার মেয়ে শহরের ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতালে। সেখানে গিয়ে তারা জানতে পারেন, মেয়েকে গলা কেটে হত্যা করেছে তারই স্বামী। এ ঘটনায় ২০২১ সালের ২৬ মে ফতুল্লার থানায় ভিকটিমের ছোট ভাই মো. শাকিল মামলা করেন।