জাতীয় সংবাদ

মিয়ানমার থেকে এলো ২২ হাজার মেট্রিক টন আতপ চাল

প্রবাহ রিপোর্ট : জি টু জি ভিত্তিতে মিয়ানমার থেকে আমদানি করা ২২ হাজার মেট্রিক টন আতপ চাল নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছে এমভি গোল্ডেন স্টার নামের একটি জাহাজ। এটি বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আমলে মিয়ানমার থেকে আমদানি করা চালের প্রথম চালান। গতকাল শুক্রবার খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জাহাজে রক্ষিত চালের নমুনা সংগ্রহ করে ভৌত পরীক্ষা শেষে দ্রুত খালাসের কাজ শুরু হবে। এজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এর আগে গত বৃহস্পতিবার মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুন থেকে কক্সবাজারের টেকনাফ স্থলবন্দরে আসার পথে নাফ নদের মোহনায় পণ্যবাহী দুটি কার্গো বোট আটকে রেখেছে দেশটির বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি। বাংলাদেশ-মিয়ানমার নাফ নদের জলসীমা নাইক্ষ্যংদিয়ায় তল্লাশির কথা বলে পণ্যবাহী নৌযান দুটি আটকে দেয় আরাকান আর্মি। এসব তথ্য জানিয়েছেন টেকনাফ স্থলবন্দর পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ইউনাইটেড ল্যান্ড পোর্ট লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক মো. জসিম উদ্দিন চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘মিয়ানমার থেকে পণ্যবাহী তিনটি কার্গো টেকনাফ স্থলবন্দরে আসার কথা ছিল গতকাল শুক্রবার। কিন্তু নাফ নদের মোহনায় তল্লাশির কথা বলে দুটি কার্গো আটকে দেয় আরাকান আর্মি। ফলে পেছনে থাকা একটি কার্গো সেন্টমার্টিন দ্বীপে গিয়ে নোঙর করেছে। বাকি দুটির এখন পর্যন্ত কোনও খবর পাইনি। তবে আরাকান আর্মি গতকাল শুক্রবার সকালে সেগুলো ছেড়ে দিতে পারে। গত ৮ ডিসেম্বর রাখাইন রাজ্যের মংডু টাউনশিপের নিয়ন্ত্রণ নেয় দেশটির সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মি। সর্বশেষ ৫ নম্বর সীমান্ত ব্যাটালিয়নটিও দখলে নেয় তারা। এরপর থেকে কোনও পণ্যবাহী জাহাজ মিয়ানমার থেকে টেকনাফে আসেনি। সর্বশেষ ইয়াঙ্গুন থেকে গত ৩ ডিসেম্বর টেকনাফে পণ্যবাহী জাহাজ এসেছিল। মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে চলমান সংঘাতের প্রভাবে টেকনাফ স্থলবন্দর অচল হয়ে পড়ে আছে বলে জানালেন বন্দরের কয়েকজন ব্যবসায়ী। তারা জানিয়েছেন, এক মাসের বেশি সময় পর ইয়াঙ্গুন থেকে পণ্যবাহী তিনটি কার্গো টেকনাফের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিল। গত বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে নাফ নদের মোহনায় সেদেশের জলসীমার নাইক্ষ্যংদিয়ায় তল্লাশির কথা বলে দুটি কার্গো আটকে দেয় আরাকান আর্মি। এই খবরে অন্য কার্গোটি সেন্টমার্টিন দ্বীপে নৌঙর করে। আটকে রাখা দুটি কার্গোতে ৩০ হাজারের বেশি বস্তা পণ্য রয়েছে। এর মধ্যে আচার, শুঁটকি ও সুপারিসহ বিভিন্ন মালামাল আছে। এগুলোর আমদানিকারক শওকত আলী, ওফর ফারুক, মো. আয়াছ, এম এ হাসেম, মো. ওমর ওয়াহিদসহ কয়েকজন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে টেকনাফ স্থলবন্দরের এক কর্মকর্তা বলেন, মূলত আরাকান আর্মি রাখাইন রাজ্যের মংডু টাউনশিপের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর থেকে টেকনাফ স্থলবন্দরে পণ্যবাহী নৌযান আসা বন্ধ রয়েছে। সর্বশেষ গতকাল শুক্রবার ইয়াঙ্গুন থেকে আসার পথে দুটি কার্গো আটকে রেখেছে তারা।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button