খেলাধুলা

শেষের পরাজয় নিয়ে যা বললেন শান্ত

স্পোর্টস ডেস্ক : ক্রিজে গিয়ে প্রথম বলেই বাউন্ডারি। এক ওভার পর আরও দুটি চার। এরপর আরও এক বাউন্ডারি। সব মিলিয়ে শুরুটা দারুণ করেন নাজমুল হোসেন শান্ত। কিন্তু ইনিংস বড় করতে পারেননি তিনি। অতি আগ্রাসী হওয়ার চেষ্টায় আউট হয়ে যান ১৭ রান করে। শান্ত একাই নন, নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে একই পথের পথিক দলের বাকি ব্যাটসম্যানরাও। আরও চারজন দুই অঙ্ক ছুঁয়েও ড্রেসিং রুমে ফিরেছেন ২০ রানের আগেই। শান্তর ১৭ রানই দলের সর্বোচ্চ! ম্যাচ হেরে এটিকেই বড় করে দেখছেন অধিনায়ক শান্ত। এবারের নিউ জিল্যান্ড সফরে বাংলাদেশের প্রাপ্তি কম নয়। শান্তর নেতৃত্বে খেলতে গিয়ে কিউইদের বিপক্ষে প্রথমবার তাদের মাঠে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি জয়ের স্বাদ মিলেছে এবার। প্রাপ্তির ভা-ার সমৃদ্ধ হতে পারত আরও। তবে শেষ ম্যাচে বোলারদের সৌজন্যে জয়ের আশা জাগিয়েও খালি হাতে ফিরেছে দল। টস হারের পর শান্ত বলেছিলেন, আগে ব্যাটিং করা নিয়ে সমস্যা নেই তার দলের। তবে দায়িত্ব নিতে হবে টপ-অর্ডার ব্যাটসম্যানদের। কিন্তু তিনি নিজেসহ এই দায়িত্ব নিতে ব্যর্থ বাকিরা। পাওয়ার প্লের মধ্যে তিন উইকেট হারিয়ে শুরুতেই বিপদে পড়ে যায় বাংলাদেশ। পরে মিডল-অর্ডারে হতাশ করেন তাওহিদ হৃদয়, শামীম হোসেন, আফিফ হোসেনরা। কেউই উইকেটে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। শেষ দিকের ব্যাটসম্যানের সৌজন্যে কোনোমতে একশ পার করে সফরকারীরা। এই অল্প পুঁজিতেও লড়াই জমিয়ে তোলেন শেখ মেহেদি হাসান, শরিফুল ইসলামরা। দুজনের দুটি করে উইকেটের সঙ্গে একটি রান আউটে পঞ্চাশের আগেই ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলে নিউ জিল্যান্ড। পরে জিমি নিশাম ও মিচেল স্যান্টনারের জুটিতে এগিয়ে যায় কিউইরা। ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণ মঞ্চে পুরো সফরে দারুণ বোলিংয়ের ধারা বজায় রাখা মেহেদি, শরিফুলদের প্রশংসা করেন শান্ত, “এদিন বোলাররা খুব ভালো করেছে। তবে ব্যাটসম্যানরা যথেষ্ট রান করতে পারেনি।” সফরে বাংলাদেশের জয় পাওয়া দুই ম্যাচেই মঞ্চ সাজিয়ে দেন বোলাররা। তৃতীয় ওয়ানডেতে কিউইদের ¯্রফে ৯৮ রানে গুটিয়ে দেন শরিফুল, তানজিম হাসানরা। মেহেদি, শরিফুলদের দাপটে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ১৩৪ রানের বেশি করতে পারেনি স্বাগতিকরা। বিশ ওভারের ওই ম্যাচেও ব্যাটিং তেমন ভালো হয়নি। এক প্রান্ত আগলে রেখে ৪২ রানের অপরাজিত ইনিংসে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন লিটন কুমার দাস। ওই ইনিংস খেলার পথে হ্যামস্ট্রিংয়ে টান লাগায় লিটনকে বাইরে থাকতে হয় পরের দুই ম্যাচ। তার অনুপস্থিতিতে ইনিংস সূচনার দায়িত্ব পেয়ে ব্যর্থ হন সৌম্য। আরও একবার হতাশ রনি। হৃদয়, আফিফরাও পারেননি দায়িত্বনিয়ে খেলতে। দলের সংগ্রহ বড় না হওয়ার পেছনে এটিরই দায় দিলেন শান্ত। “হ্যাঁ (শুরুতে খুব বেশি উইকেট পড়েছে)ৃ টি-টোয়েন্টিতে শুরুটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের ব্যাটসম্যানরা শুরু পেয়েছে, ১৫-১৭ রান করেছে। কিন্তু কেউ ম্যাচটাকে গভীরে নিতে পারেনি। এই ভুলটা এদিন আমরা করেছি।”

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button