খেলাধুলা

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার বিয়য়ে যা বললেন তামিম

স্পোর্টস ডেস্ক : ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সর্বশেষ বাংলাদেশ দলের প্রতিনিধিত্ব করেছেন তামিম ইকবাল। তারকা এই ওপেনার ছিলেন না ২০২৩ বিশ্বকাপের দলে। ক্রিকেট মাঠে না থেকেও আলোচনার কেন্দ্রে ছিলেন তিনি। ভারতে বাংলাদেশ-ভারত সিরিজে ধারাভাষ্য দিতে এসেছেন তামিম। ১৫ হাজারের বেশি আন্তর্জাতিক রানের মালিক তামিম ভারতীয় গণমাধ্যম স্পোর্টস্টারকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন তিনি আসন্ন বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) খেলবেন এবং সঠিকভাবে অনুরোধ করা হলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরে আসার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না। ‘‘আমি যে ভাবে শেষ করেছি, তা সুখকর ছিল না। তাই আমার ফিরে আসার এবং খেলার জন্য একটি উদ্দেশ্য থাকা প্রয়োজন’’ তামিম স্পোর্টস্টারকে বলেন। ‘‘আমি এমন কেউ নই যে শুধু চার-পাঁচটি ম্যাচ খেলার জন্য ফিরব। এর কী লাভ? সবাই বলে, ‘ফিরে আসো, আমরা তোমাকে চাই’, কিন্তু আমি যদি পাঁচটি ম্যাচ খেলতে আসি, তাহলে তা কি বাংলাদেশ ক্রিকেটের কোনো কাজে আসবে? যদি তারা কী করতে চায় এবং কী অর্জন করতে চায় সে সম্পর্কে সঠিক পরিকল্পনা থাকে, তবে আমি এটি নিয়ে ভাবতে পারি এবং আমরা আলোচনা করতে পারি’’ তিনি বলেন। ‘‘আপনি এখন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির কথা বলছেন, যেখানে আপনার চার থেকে পাঁচটি ওয়ানডে এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজে তিনটি ম্যাচ রয়েছে। সুতরাং, মূলত, আপনি ছয় থেকে সাতটি ম্যাচ নিয়ে কথা বলছেন। যখন আমি পিছিয়ে গেছি এবং অন্য কেউ আমার ভূমিকা গ্রহণ করেছে, তখন আমি মনে করি না যে শুধুমাত্র এই সংখ্যক ম্যাচের জন্য ফিরে আসা অর্থবহ হবে। কিন্তু তারপরে, এটি ভিন্ন কিছু যদি তারা (বিসিবি) আমাকে বলে যে আমরা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জিততে চাই বা অন্তত আমরা সেমিফাইনালে যেতে চাই, এবং এটি সম্ভবত শেষ টুর্নামেন্ট হবে যেখানে তিন বা চারজন সিনিয়র খেলোয়াড় খেলবে তাঁদের মধ্যে যা কিছু মতভেদ থাকুক না কেন, বিসিবি সেটি ঠিক করবে। এইভাবে মানুষের কাছে পৌঁছাতে হয়’’ তামিম বলেছিলেন। কিন্তু তাকে যদি অনুরোধ করা হয়, তাহলে কি তিনি আবার বাংলাদেশের হয়ে খেলতে বিবেচনা করবেন? ‘‘হ্যাঁ, অবশ্যই। কিন্তু বিষয়টি হলো – আমি কি ক্রিকেট বোর্ডের জন্য খেলি, নাকি দলের জন্য খেলি? এই অনুরোধ কোথা থেকে আসা উচিত? ক্রিকেট বোর্ড আমার যতœ নেয়, কিন্তু খেলোয়াড়দেরও স্বাগত জানাতে হবে।’’ ‘‘দেখুন, আমার সবার সাথে ভালো সম্পর্ক রয়েছে এবং আমি জানি এটি কোনো সমস্যা হবে না। তবে ধরে নিই, যদি আমি অধিনায়ক হই এবং আমি কিছু অর্জন করতে চাই, তবে আমি আপনার সাথে কথা বলব এবং আমার ভিশন এবং পরিকল্পনা শেয়ার করব এবং আপনাকে যাত্রায় যোগ দেওয়ার জন্য রাজি করাব এবং প্রয়োজন হলে আপনাকে আশ্বস্ত করব সবকিছু দেখাশোনা করা হবে। আমি দলে আসছি আর আপনি আমাকে দলে চান, এ দুটি ভিন্ন জিনিস, এবং যদি এমন পরিস্থিতি আসে যেখানে আমরা (দল এবং খেলোয়াড়) অনুভব করি যে আমাকে প্রয়োজন, তাহলে আমি এটি নিয়ে ভাববো।’’

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন
Close
Back to top button