শেখ হাসিনাকে ভারত-চীন-রাশিয়াসহ বিভিন্ন দেশের অভিনন্দন
প্রবাহ রিপোর্ট : বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারত, রাশিয়া, চীন, ভুটান, ফিলিপাইন, সিঙ্গাপুর, শ্রীলঙ্কা, নেপাল, পাকিস্তান ও ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূত এবং মরক্কোর রাষ্ট্রদূত ও ডিন অব দ্য ডিপ্লোমেটিক কোর আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। গতকাল সোমবার গণভবনে এই সাক্ষাৎ হয়। এ ছাড়া আগা খান ডিপ্লোমেটিক রিপ্রেজেন্টেটিভের প্রতিনিধিরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ বিজয়ী হওয়ায় আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্ব স্ব দেশের পক্ষ থেকে ফুলের তোড়া দিয়ে অভিনন্দন জানান তারা। রাষ্ট্রদূতরা এ সময় বাংলাদেশের সঙ্গে নিজ নিজ দেশের সহযোগিতা অব্যাহত রাখার দৃঢ প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রদূতদের ধন্যবাদ জানান এবং বাংলাদেশের উন্নয়ন-অগ্রযাত্রায় বন্ধু রাষ্ট্রসমূহের সহযোগিতা কামনা করেন।
গতকাল সোমবার গণভবনে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এ সময় ভারত সরকার ও দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পক্ষ থেকে নির্বাচনী বিজয়ের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে উষ্ণ শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। প্রণয় ভার্মা আশা প্রকাশ করেন যে তার সরকারের নতুন মেয়াদে একে অপরের জাতীয় উন্নয়নের সমর্থনে দ্বিপাক্ষিক অংশীদারিত্বের আরও শক্তিশালী গতি এবং প্রবৃদ্ধি হবে। তিনি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের জনগণকে তাদের দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বের দ্বারা পরিচালিত এবং মুক্তিযুদ্ধে তাদের যৌথ আত্মত্যাগের দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে একটি স্থিতিশীল, প্রগতিশীল ও সমৃদ্ধশালী জাতির রূপকল্প বাস্তবায়নে সমর্থন অব্যাহত রাখবে। এদিকে গতকাল সোমবার গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে চীনের অভিনন্দনবার্তা পৌঁছে দেন রাষ্ট্রদূত ওয়েন। একইসঙ্গে রাষ্ট্রদূত চীনা নেতাদের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে উষ্ণ অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা পৌঁছে দিয়েছেন। ঢাকার চীনা দূতাবাস থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, রাষ্ট্রদূত নিশ্চিত করেছেন যে, চীনা নেতারা দীর্ঘদিনের লালিত সম্পর্কে আরও এগিয়ে নিতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। পারস্পরিক বোঝাপড়া এবং গভীর সহযোগিতার মাধ্যমে বাংলাদেশ-চীনের কৌশলগত অংশীদারিত্বকে একটি নতুন উচ্চতায় উন্নীত করবে। রাষ্ট্রদূত বলেন, উন্নয়ন এবং পুনরুজ্জীবনের ক্ষেত্রে চীন এবং বাংলাদেশ উভয়ই একটি সংকটময় পর্যায়ে রয়েছে। উন্নয়ন আধুনিকায়নে চীন সবসময় বাংলাদেশের বিশ্বস্ত অংশীদার এবং নির্ভরযোগ্য বন্ধু হিসেবে পাশে ছিল। চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দশনায় চীন ও বাংলাদেশ সম্পর্কের ক্ষেত্রে পারস্পরিক শ্রদ্ধার মডেল স্থাপন করেছে। বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব, স্বাধীনতা ও আঞ্চলিক অখ-তা রক্ষায় চীন বাংলাদেশকে দৃঢ়ভাবে সমর্থন করবে। চীন বাংলাদেশে বহিরাগত হস্তক্ষেপের বিরোধিতা করে। ঐক্য ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে চীন বাংলাদেশকে সহায়তা করার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক ইস্যুতে আরও সক্রিয় ভূমিকা পালন করবে। রাষ্ট্রদূত ওয়েন আরও বলেন, বাংলাদেশের ২০৪১ রুপকল্প বাস্তবায়নে চীন সহযোগিতা করার বিষয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। চীন বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য, বিনিয়োগসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা আরও শক্তিশালী করতে প্রস্তুত। বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের ক্ষেত্রে আরও উন্নত সহযোগিতা ও অবদান রাখতে পারে চীন-বাংলাদেশ।