স্থানীয় সংবাদ

বছর শুরুতেই কেএমপি’র ডিবি পুলিশের বিশেষ অভিযানে সফলতায় খুলনায় সাধারণ মানুষের স্বস্তি

স্টাফ রিপোর্টার ঃ
২০২৫ সালের শুরুতেই খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ ( কেএমপি)’র গোয়েন্দা বিভাগের পুলিশের বিশেষ অভিযানে সাফল্য অর্জন করতে শুরু করেছে। সম্প্রতি কেএমপি’র পক্ষ হতে কেএমপি’র তালিকাভুক্ত ১২ শীর্ষ সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার ও পুরষ্কার ঘোষনা করা হয়। এর মধ্যে খুলনার তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী নূর আজিম ও তার সহযোগি শীর্ষ সন্ত্রাসী রিয়াজুল ইসলাম দাদা মিয়াকে বুধবার ( ১ জানুয়ারি’২৫) খুলনা মহানগরীর ডিবির ওসি তৈমুর ইসলাম নেতৃত্বে একটি টিম ঢাকা মহানগরী বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে আটক করেন। এ সময় আরও তিনজনকে আটক করা হয়। গ্রেফতারকৃত নুর আজিম মহানগরীতে ত্রাস সৃষ্টিকারী ১২ জন শীর্ষ সন্ত্রাসীর গডফাদার। তার বিরুদ্ধে খুলনা মহানগরীসহ বিভিন্ন থানায় হত্যা, চাঁদাবাজি এবং মাদকসহ বিভিন্ন ধরনের ১১ টি মামলা রয়েছে। অপর শীর্ষ সন্ত্রাসী রিয়াজুল ইসলামের বিরুদ্ধে ৩ টি মামলার তথ্য পাওয়া গেছে। এতো দিন আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান করে নূর আজিম তার বাহিনীদের দিয়ে খুলনায় বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকা- পরিচালনা করে আসছিলো। কিন্তু তাকে কেউ গ্রেফতার করতে পারছিলো না। খুলনা মহানগরী ডিবির ওসি তৈমুর ইসলাম তাকে গ্রেফতার করার মধ্যে দিয়ে খুলনায় সাধারণ মানুষের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে। এই বাহিনীর সন্ত্রাসীদের অত্যাচারে খুলনার মানুষের নাভিশ্বাস উঠে গিয়েছিল। খুলনার ১২ শীর্ষ তালিকার মধ্যে ইতিমধ্যে ডিবির ওসি তৈমুর ইসলামের নেতৃত্বে দুইজন শীর্ষ তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসীকে আটক করেন। তার এ অভিযানে সাফল্যতে কেএমপি’র কমিশনার জুলফিকার আলী হায়দার গত ডিসেম্বর মাসে মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় খুলনায় অপরাধ দমনে বিশেষ ভূমিকা রাখায় ডিবির ওসি তৈমুর ইসলামকে পুরস্কৃত করেন। ডিবি পুলিশের সূত্র মতে, গত ১২ নভেম্বর কেএমপির ডিবিতে ওসি তৈুমর ইসলাম যোগদানের পর থেকেই তার নেতৃত্বে কয়েকটি অভিযান পরিচালনা করা হয়। এর মধ্যে গত ১৭ নভেম্বর ওসি তৈমুর এর নেতৃত্বে নগরীর নাজির ঘাট এলাকায় অভিযান চালিয়ে অস্ত্র, গুলি. সহ বিভিন্ন ধরনের ধারালো দেশীয় ধারালো অস্ত্রসহ ডাবলু নামে এক ব্যক্তিকে আটক করেছেন। সেও কেএমপি’র তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসীদের মধ্যে অন্যতম একজন। এরপর গত ১৮ নভেম্বর তার নেতৃত্বে খুলনার শীর্ষ সন্ত্রাসী আশিক গ্রুপ এর সহযোগী ও শুটার মো: ইব্রাহিম শিকদারকে আটক করা হয়। একই দিনে ডিবি ওসি তৈমুরের নেতৃত্বে আরও একটি অভিযান চালিয়ে নগরীর ফারাজীপাড়া এলাকা থেকে নগরীর খালিশপুর মহসীন কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক ভিপি ও বর্তমান যুবলীগ নেতা মো. ফারুক হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছিল গোয়েন্দা পুলিশ। ফারুকের বিরুদ্ধে নগরীর খালিশপুর থানায় বিএনপি অফিস ভাংচুরের মামলা রয়েছে। সেই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার দুই ভাই আওয়ামী লীগ নেতা ও ১৩ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর এসএম খুরশিদ আহম্মেদ টোনা এবং মোরশেদ আহম্মেদ মনিরের বিরুদ্ধেও মামলা রয়েছে।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, ওই ডিবির ওসি তৈমুর ইসলাম এখন অপরাধীদের কাছে একটি আতংকের নাম হিসেবে পরিচিত। কারণ তিনি আসার পর থেকেই একের পর এক অপরাধীদেরকে গ্রেফতার করছেন। যার কারণে অনেক অপরাধীরা এখন প্রকাশ্যে না এসে গা ঢাকা দিয়েছেন। কেএমপির ডিবি পুলিশের ওসি মো: তৈমুর ইসলাম বলেন, সন্ত্রাসীরা কোন দলের হতে পারে না। নগরীতে আইন শৃঙ্খলা ঠিক রাখতে যা যা করার দরকার আমরা সে সব কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। বিশেষ করে নগরীতে কিশোর গ্যাং, অস্ত্রবাজ, মাদক ব্যবসায়ী, চোর সিন্ডিকেটসহ বিভিন্ন অপরাধীদের ধরতে আমাদের টিম সব সময় মাঠে আছে। অপরাধীদের সাথে যার সম্পৃক্ততা পাবো তাদের কোন ছাড় নেই। সে যেই হোক না কোনো।

 

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button