স্থানীয় সংবাদ

নড়াইল-০১ আসনে মুক্তি ও ০২ আসনে মাশরাফী বিজয়ী

বিজয়ী প্রার্থী ছাড়া বাকিদের জামানত বাজেয়াপ্ত

নড়াইল প্রতিনিধি ঃ নড়াইল-০১ আসনে মুক্তি ৪র্থ বাবের মত এবং নড়াই-২ আসনে মাশরাফী ২য় বারের মত সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নড়াইল-০১ আসনে বিজয়ী আওয়ামী লীগের বি.এম কবিরুল হক মুক্তি (১,৩৪,২১৫ ভোট);নিকটতম জাতীয় পার্টির মিল্টন মোল্যা পেয়েছেন ৩,৭৬৩ ভোট। নড়াইল-০২ আসনে বিজয়ী আওয়ামী লীগের মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা (১,৮৯,১০২ ভোট);নিকটতম ওয়ার্কার্স পার্টির অ্যাডভোকেট হাফিজুর রহমান পেয়েছেন (৪,০৪১ ভোট)। জেলা রির্টানিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আশফাকুল হক চৌধুরী রোববার (৭ জানুয়ারী) রাত ১২দিকে বেসরকারিভাবে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করেন। এদিকে জেলার দু’টি আসনেই বিজয়ী প্রার্থী ছাড়া বাকিরা জামানত হারিয়েছেন।
নড়াইল-০১ আসন (কালিয়া উপজেলা ও সদরের একাংশ) যারা জামানত হারিয়েছেন তারা হলেন বিজয়ী মুক্তির নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি জাতীয় পার্টির মো: মিল্টন মোল্যা,ওয়ার্কার্স পার্টির প্রার্থী মো: নজরুল ইসলাম, জাতীয় পার্টির (জেপি) শামিম আরা পারভীন, তৃণমূল বিএনপির শ্যামল চৌধুরী,স্বতন্ত্র প্রার্থী সিকদার মো: শাহাদাত হোসেন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী চন্দনা হক। নড়াইল-০২ আসনে বিজয়ী মাশরাফীর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির প্রার্থী শেখ হাফিজুর রহমান, জাতীয় পার্টির প্রার্থী খন্দকার ফায়েকুজ্জামান ফিরোজ, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির মো: মনিরুল ইসলাম, গনফ্রন্টের মো: লতিফুর রহমান,ইসলামী ঐক্যজোটের মো: মাহবুবুর রহমান, স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ ফয়জুল আমির ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মো: নুর ইসলাম। নড়াইল-০১ আসনে ৭জন এবং ০২ আসনে ৮জন প্রার্থী স্ব স্ব প্রতিক নিয়ে নির্বাচনী লড়াইয়ে অবতীর্ণ হন। উল্লেখ্য, নড়াইল-০১ আসনের সংসদ নির্বাচনে প্রতিক বরাদ্দের পর স্বতন্ত্র প্রার্থী চন্দনা হক তার স্বামী কবিরুল হক মুক্তিকে সমর্থন করে নির্বাচন থেকে সরে যান। এছাড়া নির্বাচনের দিন বিকেল ৩টার দিকে ওয়ার্কার্স পার্টির প্রার্থী অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম নির্বাচন কারচুপির অভিযোগ এনে বয়কট করেন। এছাড়া নড়াইল-০২ আসনে একইভাবে ওয়ার্কার্স পার্টির প্রার্থী অ্যাডভোকেট হাফিজুর রহমান ও স্বতন্ত্র প্রার্থী নূর ইসলাম কারচুপির অভিযোগ এসে বয়কট করেন। নড়াইল-০২ আসনের ভোটার ৩ লাখ ৬৪ হাজার ৯৩৭ জন। এ আসনে কাস্টিং ভোটের সংখ্যা ১,৯৯৭৮৬। নড়াইল-১ আসনে ভোটার ২ লাখ ৭৪ হাজার ৭৯০ জন। এ আসনে কাস্টিং ভোটের সংখ্যা ১,৪৩১৬৫। জেলা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন জানান, কাস্টিং ভোটের ৮ভাগের এক ভাগ ভোট না পেলে তার জামানত বাজেয়াপ্ত হবে।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button