নৌকার ১২ নেতা কর্মিকে কুপিয়ে আহত করলো ঈগলের অনুসারীরা
বাগেরহাটের নির্বাচন পরবর্ত্তি সহিংসতা
বাগেরহাট প্রতিনিধি ঃ বাগেরহাটের মোংলায় নির্বাচন পরবর্তী পরবর্ত্তি সহিংসতায় নৌকা প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের উপর দফায় দফায় হামলা চালানো শুরু হয়েছে। বাগেরহাট- ৩ আসনের আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র(বিদ্রোহী) প্রার্থী ঈগল প্রতীকের অনুসারীরা দফায় দফায় স্বশস্ত্র হামলা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ভোটের দিন রবিবার সন্ধার পর মোংলা উপজেলার সোনাইলতলা ও সুন্দরবন ইউনিয়ন এবং পরদিন সোমবার সকালে মোংলা পৌর শহরের শ্রম কল্যান রোডে পৃথক পৃথক ভাবে এ ঘটনা ঘটে। এ হামলায় নৌকা প্রতীকের ১২ জন নেতা-কর্মি আহত হয়েছেন। এর মধ্যে একজনকে গুরুতর অবস্থায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্ত্তি করা হয়েছে। নৌকা প্রতীকের কর্মি আব্দুস সালাম বলেন, (৮ জানুয়ারী) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মোংলা পৌর শহরের শ্রমকল্যাণ সড়ক এলাকায় ঈগল প্রতীকের কর্মী মোঃ সাকিলসহ ৫/৬ জন সংঘবদ্ধ হয়ে নৌকার কর্মী আঃ সালাম মোল্লা, শিউলি, কুলসুম ও ফারুক বয়াতীর উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় হামলাকারীদের লাঠিসোঁটার মারপিটে নৌকার এই ৪ কর্মী গুরুতর আহত হন। পরে আহতদেরকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্ের ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় আহতদের পক্ষ থেকে দুপুরেই থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে বলে জানান আব্দুস সালাম। এ ঘটনার পর থেকে মোংলা পৌর শহরে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। এর আগে ভোটের দিন রবিবার সন্ধ্যার পর উপজেলার সোনাইলতলা ও সুন্দরবন ইউনিয়নে ঈগল প্রতীকের কর্মীদের স্বশস্ত্র হামলায় রক্তাক্ত জখম হন নৌকা প্রতীকের ৮ নেতা-কর্মী। এদের মধ্যে নাজমুল নামে নৌকার এক কর্মিকে গুরুতর অবস্থায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্ত্তি করা হয়েছে। আহত বাকি ৭ জন হলেন-রবিউল শেখ (৪২), জুবায়ের সরদার (২৩), নাজমুল সরদার (২৪), তফিম সরদার (৩৫) ও আজমল সরদার (৩৫)। এদেরকে সোনাইলতলা গ্রামের ঈগলের কর্মি মহসিন সরদার, রেজাউল সরদার, কোহিনুর ও কারবালা সরদার কুপিয়ে মারাতœক জখম করে বলে আহতরা জানান। এর আগে নির্বাচন শুরুর প্রথম থেকেই এই উপজেলার বিভিন্ন স্থানে নৌকার কর্মিদের নানা রকম হুমকি-ধামকিসহ মারপিট করে ঈগলের অনুসারীরা। এসব ঘটনায় থানায় মামলা হয় এবং আসামীও গ্রেফতার হয়েছে। একের একের পর নৌকার কর্মিদের ওপর হামলার ঘটনায় প্রশাসনের আচরণ সন্দেহজনক উল্লেখ করে নৌকা প্রতীকের নির্বাচিত সংসদ সদস্য হাবিবুন নাহার বলেন, ‘আমি আমার নেতা কর্মিদের ধৈর্য্য ধরতে বলেছি, কিন্তু তারা কতক্ষণ ধৈর্য্য ধরবে আমি বুঝতে পারছিনা। পুলিশকে এসব ঘটনায় দায়ী ব্যক্তিদের গ্রেফতার করতে বলা হলেও তারা সেটি করছেন না’। এ প্রসঙ্গে মোংলা থানার ওসি কে এম আজিজুল ইসলাম বলেন, সংসদ সদস্য মহোদয় বলার পর আমরা সেভাবে কাজ করছি। আর মারামারির ঘটনায় তিনি কোন অভিযোগ পায়নি, অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান ওসি।