স্থানীয় সংবাদ

যশোরে স্বামীকে সন্ত্রাসীদের হাত থেকে রক্ষা করতে গৃহবধু গণ ধর্ষনের শিকার

# আদালতে নির্দেশে মামলা #

যশোর ব্যুরো ঃ স্বামীকে সন্ত্রাসীদের হাত রক্ষা করতে এসে শহরের কুইন্স হাসপাতালের সামনে আক্তারের বাড়ির ভাড়াটিয়া এক নারী (৪২) কে পালাক্রমে ধর্ষন করার অভিযোগে কোতয়ালি থাায় মামলা হয়েছ। মঙ্গলবার ২৮ অক্টোবর দিবাগত রাতে মামলা করেন যশোর শহরের জেল রোড এলাকার বাসিন্দা ওই নারী। আসামীরা হচ্ছে,রাজবাড়ি জেলার পাংশা থানার মেঘনা খামারপাড়া বর্তমানে খড়কী হাবিবুর রহমানের বাড়ির ভাড়াটিয়া গ্রামের মুন্না সর্দারের ছেলে ইউনুস আলী,শহরের ঘোপ ধানপট্টির জলিল মিয়ার ছেলে শরিফুল ইসলাম সোহাগ, মাগুরা জেলার শালিখা উপজেলার সীমাখালী গ্রামের আব্দুল আজিজ মোল্যার ছেলে আরিফ হোসেন ও যশোর শহরের নিউ ভৈরব হোটেল এন্ড রেষ্টুরেন্ট দড়াটানার নূর ইসলাম।
মামলায় বাদি উল্লেখ করেন, বাদি শহরের ঘোপ জেল রোড কুইন্স হাসপাতালের সামনে আক্তারের বাড়ির ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করে। তিনি যশোর ড্রাগ এন্ড সার্জিক্যাল এর স্বত্বাধিকারী। আসামীরা বিগত আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের দূর্ধর্ষ ক্যাডার হিসেবে যশোর শহরের কুখ্যাতি অর্জন করেছিল। বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে টার্গেট করে চাঁদা আদায়সহ বিভিন্ন নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষন করায় যাদের নেশা। বাদি তার নিজ নামীয় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ২০২১ সাল হতে ঔষধের ব্যবসা করে আসছে। গত ১ জুন রাত ৮ টার সময় বাদির দোকানে আসামীরা আসে। বাদির স্বামী সান্টুকে সোহাগ বাহিনীর প্রধান সোহাগ বলে কথা আছে শুনে যা। বাদির স্বামী সরল বিশ^াসে আসামীদের সাথে দোকানের পাশে ফাঁকা জায়গায় যায়। তখন ইউনুস বাদির স্বামীকে বলে এখানে ব্যবসা করতে হলে তাদেরকে ১০লাখ টাকা চাঁদা প্রদান করতে হবে। সান্টু আসামীদের কথার তীব্র প্রতিবাদ করলে আসামীরা বাদি ও তার পরিবারের ক্ষতি করার হুমকী দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। এরপর গত ৫ জুন রাত সাড়ে ১২ টার সময় শফিকুল ইসলাম সোহাগ বাদির ভাড়া বাসার দরজায় নক করতে থাকে। সান্টু দরজা খুললে সকল আসামীরা জোর পূর্বক বাদির ঘরে অনধিকার প্রবেশ করে। ইউনুস ও সোহাগ বাড়ির স্বামী সান্টুর বুকে পিস্তল ঠেকিয়ে বলে তাদেরকে চাঁদা না দিয়ে কেন উচ্চ বাচ্চ করলি বলে বাদিকে ঘরের মধ্যে বারান্দায় গ্রীলে বেঁধে ফেলে ও মুখে কসটেপ লাগিয়ে দেয়। বাদির তার স্বামীকে আসামীদের হাত থেকে রক্ষা করতে গেলে উল্লেখিত ৪ জন আসামী বাদীনিকে জোর পূর্বক তার বেড রুমে নিয়ে পর্যায়ক্রমে বাদির ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর পুর্বক ধর্ষন করে। প্রথমে ইউনুস পরে শফিকুল ইসলাম সোহাগ ও পর্যায়ক্রমে আরিফ ও নুর ইসলাম ধর্ষন করে।ধর্ষনকারীরা চিৎকার চেঁচামেচি করলে এই খানে জবাই করে শেষ করে দিয়ে যাবে। তখন আসামীরা বাদিকে বলে আগামী ১ মাসের মধ্যে তাদের দাবীকৃত চাঁদা প্রদান করতে বলে নইলে বাদির স্বামীকে খুন করে ফেলার হুমকী দেয়। বাদিকে দিয়ে জোরপূর্বক তার নিজ নামীয় সিটি ব্যাংক লিমিটেড এর ৬টি চেক এর স্বাক্ষর করে নেয়। এ ব্যাপারে আইনে আদালতে করলে বাদি ও তার পরিবারকে খুন করার হুমকী দেয়ায় বাদি মামলা করার সাহস পাইনি। তবে গত ৫ আগষ্ট ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগগ সরকারের পতন হলে বাদি বেশ কয়েকবার থানায় মামলা নিয়ে গেলেও থানা কর্তৃপক্ষ বিজ্ঞ ট্রাইব্যুনালে মামলা করার পরামর্শ দেন। ফলে বাদি ট্রাইব্যুনালে মামলা করলে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ যশোরে জেলা ও দায়রা জজ গোলাম কবিরের আদেশে থানা কর্তৃপক্ষ মামলা হিসেবে নথিভূক্ত করে।#

 

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button