প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে হবে
রপ্তানি আয় বেড়েছে
চলতি বছরের নভেম্বর মাসে রপ্তানি আয়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৫.৬৩ শতাংশ। এ মাসে রপ্তানি আয় বেড়ে ৪১১ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে। গত বছরের নভেম্বর মাসে আয় হয়েছিল ৩৫৬ কোটি ডলার। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো প্রকাশিত সর্বশেষ রপ্তানি হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়। অন্যদিকে চলতি অর্থবছরের জুলাই-নভেম্বরে রপ্তানি আয় বেড়েছে ১১.৭৬ শতাংশ এবং ওই সময় আয় হয়েছে এক হাজার ৯৯০ কোটি ডলার, যা আগের বছর ছিল এক হাজার ৭৮১ কোটি ডলার। গত দেড় দশকে সীমাহীন লুটপাটের মাধ্যমে দেশকে জরাজীর্ণ করে ফেলা হয়েছিল। দেশের ব্যাংকিং খাতের রীতিমতো মেরুদ- ভেঙে ফেলা হয়েছিল। সে অবস্থা থেকে ব্যাংকিং খাত ও অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের উন্নতি হচ্ছে। বৈধ পথে রেমিট্যান্স বা প্রবাস আয় দেশে আসার পরিমাণ উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। শঙ্কা ছিল রপ্তানি আয় কমে যাওয়া নিয়ে। সেই শঙ্কা কাটিয়ে রপ্তানি আয়েও সুখবর এসেছে। প্রায় প্রতিটি খাতেই রপ্তানি আয় উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বেড়েছে। জানা যায়, চলতি অর্থবছরের জুলাই-নভেম্বর সময়ে তৈরি পোশাক খাতে রপ্তানি আয় বেড়েছে ১২.৩৪ শতাংশ এবং আয় হয়েছে এক হাজার ৬১১ কোটি ডলার, যা গত বছরের একই সময়ে ছিল এক হাজার ৪৩৪ কোটি ডলার। নভেম্বর মাসে পোশাক খাতে আয় বেড়েছে ১৬.২৫ শতাংশ এবং আয় হয়েছে ৩৩০ কোটি ডলার, যা গত বছর ছিল ২৮৪ কোটি ডলার। চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যে রপ্তানি আয় ৭.৬১ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৬ কোটি ৬৩ লাখ ডলার, যা গত বছর ছিল ৪৩ কোটি ৩০ লাখ ডলার। কৃষি ও কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্য থেকে রপ্তানি আয় হয়েছে ৪৯ কোটি ৫০ লাখ ডলার, যা গত বছরের তুলনায় ৮.৩৪ শতাংশ বেশি। হোম টেক্সটাইল থেকে আয় হয়েছে ৩২ কোটি ৬৮ লাখ ডলার। প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২০.৭৪ শতাংশ। পাট ও পাটজাত পণ্য থেকে আয় হয়েছে ৩৪ কোটি ১৭ লাখ ডলার, প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৫.৬৮ শতাংশ। চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যে রপ্তানি আয় কমলেও ফুটওয়্যার (চামড়াজাত ছাড়া) রপ্তানিতে আয় হয়েছে ২১ কোটি ৭৮ লাখ ডলার। প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৪.৪৫ শতাংশ। আমরা আশা করি, সব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে বাংলাদেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াবে এবং উত্তরোত্তর আরো সমৃদ্ধ হবে। এজন্য রপ্তানি আয়ের ইতিবাচক প্রবৃদ্ধিকে ধরে রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।