সেতু আছে সংযোগ সড়ক নেই! জনভোগান্তি রোধে দ্রুত উদ্যোগী হউন

বাংলাদেশ সাধারণত নদীমাতৃক দেশ। ফলে সড়ক যোগাযোগে একটি সেতুর গুরুত্ব অপরিসীম। তবে কিছু ক্ষেত্রে নদী ‘মেরে ফেলার’ জন্য দায়ী করা হয়ে থাকে সেতুকেই। সেখানে অবশ্যই যথাযথ পরিকল্পনার অভাব ও অনিয়মের ঘাটতির বিষয়টিও লক্ষণীয়। বাস্তবতায় দেখা যায় একটি সেতু পাল্টে দিতে পারে একটি লোকালয়ের পুরো জনজীবন। যখন প্রশ্ন উঠে সেতু থাকা স্বত্বেও নেই কোন যোগাযোগ ব্যবস্থা তখন বিষয়টি কেমন দাঁড়ায়? নিশ্চয় অবাক করার মত কথা হলেও বাস্তবতায় তাই বলছে। সম্প্রতি এমনি একটি অভিযোগ উঠেছে দৈনিক পত্রপত্রিকার পাতায়। পত্রিকার খবর থেকে জানা যায়, সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া পৌর এলাকায় ১৬ বছর ধরে একটি সেতু আছে, নেই সংযোগ সড়ক। এতে সেতুটি ব্যবহারের অনুপযোগী হওয়ায় পাঁচ গ্রামের প্রায় ৪০ হাজার মানুষকে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। পাশাপাশি দুটি জোড়া ব্রিজ থাকা সত্ত্বেও প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে বিলের উভয় পারের মানুষের দুর্ভোগ লাঘবের চেষ্টায় বাঁশের সাঁকো তৈরি করতে হয়। প্রায় ১৬ বছর আগে উল্লাপাড়া পৌর এলাকার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের নেওয়ারগাছা গ্রামের প্রায় ৫০০ মিটার চওড়া একটি বিলের মাঝখানে পাশাপাশি পাঁচ মিটার দৈর্ঘ্যের দুটি সেতু নির্মাণ করে উল্লাপাড়া পৌর কর্তৃপক্ষ। একটির ওপর ছাঁদ বসেছে, অপরটিতে বসেনি। সংযোগ সড়ক নির্মাণ না করায় বিলের দুই পারের পূর্ব পারে নতুন নেওয়ারগাছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও পশ্চিম পারে জহুরা মহিউদ্দিন বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা প্রায় দেড় কিলোমিটার রাস্তা ঘুরে হেঁটে যাওয়া-আসা করে। এছাড়া বিলের পূর্বপারে আল নূর মসজিদ হওয়ায় বিলের পশ্চিমপারের মুসল্লিদের বর্ষা মৌসুমে পারাপারে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। এ দুর্ভোগ লাঘবের জন্য গ্রামবাসী নিজ অর্থায়নে বাঁশ দিয়ে সাঁকো তৈরি করে পারাপার হচ্ছে। অভিযোগ উঠেছে, প্রথম শ্রেণির এ পৌরসভার অনেক জনপ্রতিনিধি সংযোগ সড়কটি নির্মাণে অনেকবার প্রতিশ্রুতি দিলেও কেউ কথা রাখেননি। উল্লাপাড়া পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী সাফিউল কবির জানান, সেতুর দুই পাশে শিগগির মাটি ফেলানোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলীকে আমরা সাধুবাদ জানাই, বিষয়টিকে গুরুত্ব দেওয়ার জন্য। এখন শিগগিরই সেতুর যথাযথ কাজ সম্পূর্ণ করার বিষয়ে অন্তর্র্বতী সরকারকে জরুরি উদ্যোগী হওয়া উচিত বলে আমরা মনে করছি। বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাওয়া-আসার ত্রুটিকে মাথায় রেখে দ্রুত ওই সেতুগুলোতে সংযোগ সড়কের ব্যবস্থা করা দরকার। আমরা আশা করব, দ্রুত ওই বিষয়ে স্বস্তি পাবে ৪০ হাজার ভুক্তভোগী মানুষ, এটাই আমাদের প্রত্যাশা।