স্থানীয় সংবাদ

বুদ্ধি প্রতিবন্ধী দুই কণ্যার জমি দখলের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

স্টাফ রিপোর্টার ঃ বটিয়াঘাটা উপজেলার লবণচরা থানা এলাকার মোহাম্মদ নগর (বিসমিল্লাহ সড়ক) গ্রামে প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধা মোঃ হারেজ উদ্দিনের দুই মেয়ের মধ্যে একজন বুদ্ধি প্রতিবন্ধী রায়হানা ফারজানা পাপিয়া ও অন্যজন ছাত্রী ফাতিমা তুজ জোহরা হীভা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দেওয়ায় তাদেরকে হত্যার হুমকী ও প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধা মো: হারেজ জমি দখল করে পাঁকা ভবন নির্মাণের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। তাই ন্যায় বিচার পেতে। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, এস এম আমিনুল ইসলাম। তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধা মো: হারেজহ উদ্দিনের স্ত্রী তহমিনা খাতুন সম্পর্কে আমার খালাতো বোন হয়। একারনে মুক্তিযোদ্ধা হারেজ উদ্দীনের মৃত্যুর পর তার স্ত্রী ও দুই মেয়ের অনুরোধে এই অসহায় পরিবারের পাশে থেকে তাদের দেখ ভাল করে আসছি। লবনচরা থানার কৃষ্ণনগর মৌজার মোহাম্মদনগর বিসমিল্লাহ সড়কে মুক্তিযোদ্ধা হারেজ উদ্দীনের ৪০ শতক জমি ছিলো। তিনি জীবীত থাকাকালে ২০১১সালের ১৫ মার্চ ১৯৮৬ নং দানপত্র দলিলে দুইটি খতিয়ানে যথাক্রমে ২৭ শতক ও ১৩ শতক মোট ৪০ শতক জমি দুই মেয়ে রায়হানা ফারজানা পাপিয়া ও ফাতিমাতুজ জোহরা হীভার নামে রেজিষ্ট্রি করে দেন। তখন এই দুুই মেয়ে নাবালিকা ছিলেন। পিতার মৃত্যুর পর তারা অসহায় হয়ে পড়ে। কোথায় জমি আছে তারা জানতো না। পরবর্তিতে সাবালিকা হওয়ার পর আমার শরণাপন্ন হওয়ায় আমি তাদের দলিলে প্রাপ্ত জমিজমা অভিজ্ঞ সার্ভেয়ার দিয়ে জমিটি সনাক্ত করে সহকারী কমিশনার(ভ’মি) বটিয়াঘাটা, খুলনা এর আদালতে মিস কেস নং ২৪৭/২০২২-২৩ এর মাধ্যমে কৃষ্ণনগর মৌজার আর এস ১১৬ নং খতিয়ানের পৃথক ৩১৭৩ ১৪২৩ নং দাগে ২৭শতক জমি উক্ত রায়জানা ফারজানা পাপিয়া ও ফাতিমাতুজজোহরা হীভখার নামে রেকর্ড সংশোধন করে হাল ১৪৩০ বঙ্গাব্দ পর্যন্ত সরকারি কর খাজনা পরিশোধ করেছি। অপরদিকে মুক্তিযোদ্ধা মো: হারেজ উদ্দিনের মৃত্যুর পর তার দুই মেয়ে নাবালিকা থাকায় ওই জমি দখল করে নেন এলাকার রাণী আখতার, স্বামী এফ এম আখতার ফারুক, আসমা আক্তার , স্বামী মো: এস্কেন্দার আলী, জাহিদ আনোয়ার পিতা মৃত মোতাহার হোসেন, ক্বারী মো: ইয়াহহিয়া পিতা মো: তাজুল ইসলাম, দেলোয়ার হোসেন, পিতা আবুল কাশেম, আ: রব শেখ পিতা এছেন আলী, হেমেলা বেগম স্বামী মো: সাত্তার হাওলাদার, রীনা পারভীন স্বামী : আকরামুজ্জামান, আ: জলিল পিতা অজ্ঞাত, উত্তম সরকার পিতা অজ্ঞাত, । কতিপয় দখলদার। আমি বটিয়াঘাটা ভ’মি অফিসে তল্লাশী করে রেজিস্ট্রার উত্তোলন করি। সেখানে দেখতে পাই যে, উপরোক্ত ব্যক্তিগণ ভিন্ন খতিয়ান ও ভিন্ন দাগের ও ভিন্ন মালিকানার অর্থাৎ আর, এস -১৮৭ নং খতিয়ানের ১৪২২ নং দাগের জমি খরিদ করে উক্ত খতিয়ানে ও দাগে রেকর্ড সংশোধন করেন। অথচ উক্ত ব্যক্তিগণ অজানা কারণে ১৪২২ নং দাগের বেদখলকৃত জমি কতিপয় দালালের মাধ্যমে কম মূল্যে খরিদ করিয়া রায়হানা ফারজানা পাপিয়া ও ফাতিমা তুজ জোহরা হীভার নামে রেকর্ডকৃত ১৪২৩ নং দাগের জমিতে অবৈধ ভাবে দখল করিয়া গায়ের জোরে পাঁকা স্থাপনা/ইমারত নির্মাণ করিতেছেন। উল্লেখিত, ব্যক্তিগণ কে আমি মৌখিক ভাবে ভদ্রতার সহিত বিষয়টি অবহিত করি। পরবর্তিতে উল্লেখিত, ব্যক্তিগণের মধ্যে রাণী আখতার, স্বামীঃ এফ এম আখতার ফারুক, কিছু সন্ত্রাসী লোকজন নিয়ে তড়িঘড়ি করে বাড়ি নির্মাণের কাজ শুরু করেন। আমি বিষয়টি জানতে পেরে গত ইং ২৫ সেপ্টেম্বর লবণচরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে লিখিত অভিযোগের মাধ্যমে বিষয়টি অবগত করি। আমাদের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এস, আই তানজীর হোসেন কে তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে বলেন। তিনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নির্দেশে তাৎক্ষনিক ঘটনার স্থলে গিয়ে উক্ত দখলদারদের নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেন এবং উভয় পক্ষকে জমির কাগজ পত্র নিয়ে থানায় যেতে বলেন। কিন্তু উক্ত রাণী আখতার ও তার স্বামী এফ এম আখতার ফারুক ও তার ছেলে মোঃ রাজীব হোসেন থানার নির্দেশ উপেক্ষা করিয়া ঐ দিন রাতেই কিছু সন্ত্রাসী লোকজন কে সাথে নিয়া রাতের অন্ধকারে এক তলা ছাদ ঢালাই করেন। আমরা পুলিশকে খবর দিয়ে বিষয়টি জানাইলে পুলিশ ঘটনা স্থলে পূণরায় গিয়ে তাদের নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেন। এঘটনার ২দিন পর থানায় উভয় পক্ষই হাজির হলে উল্লেখিত দখলদাররা স্বামীঃ জমির সঠিক কোন কাগজপত্র দেখাতে পারে নাই। উল্লেখিত দখলদারদের মধ্যে আসমা আক্তার, এসকেন্দার আলী কিছু কাগজপত্র দেখালেও তাহা ছিল ভিন্ন খতিয়ান ও ভিন্ন দাগের অর্থাৎ আর, এস ১৮৭ খতিয়ানের ১৪২২ নং দাগের। যা থেকে প্রমাণিত হয় যে, উক্ত দখলদাররা অন্য দাগের জমি খরিদ করিয়া রায়হানা ফারজানা পাপিয়া ও ফাতিমা তুজ জোহরা হীভার জমি জোর পূর্বক দখল করছে।
প্রতারক চক্রের মধ্যে রাণী আখতার ও জাহিদ আনোয়ার ইতিমধ্যে কে.ডি.এ খুলনা থেকে ১৪২২ নং দাগের জমিতে নঁকশা অনুমোদন করে ১৪২৩ নং দাগের জমিতে রাণী আখতার ৪ তলা ভবণ নির্মাণ করার পরিকল্পনা নিয়েছেন এবং জাহিদ আনোয়ার ইতিমধ্যে ২ তলা ভবণ নির্মাণ করে ফেলেছেন। আমি এস এম আমিনুল ইসলাম মিন্টু উক্ত প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধা মোঃ হারেজ উদ্দিনের অসহায় দুই জন কন্যা সন্তানের পক্ষে ন্যায় ও আইন সংগত সহযোগিতা করেছি বলে গত ২২ অক্টোবর খুলনা প্রেস ক্লাবে ভুমি দস্যু রাণী আখতারের স্বামী এফ এম আখতার ফারুক ও আসমা আক্তারের স্বামীঃ মোঃ এসকেন্দার আলী সংবাদ সম্মেলন করে আমার নামে মিথ্যা অপবাদ দিয়েছেন। উক্ত সংবাদ সম্মেলনে আখতার ফারুক নিজেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসাবে পরিচয় দিলেও প্রকৃত পক্ষে তিনি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী রেজিস্ট্রার হিসাবে বিগত ১ বছর পূর্বে অবসর গ্রহণ করেন এবং এসকেন্দার আলী নিজেকে সেনা কর্মকর্তা পরিচয় দিলেও প্রকৃতপক্ষে তিনি সেনা বাহিনীর সৈনিক হিসাবে বিগত ৭/৮ বৎসর পূর্বে অবসর গ্রহণ করেন। প্রকৃত তথ্য গোপন করে উল্লেখিত ব্যক্তিদ্বয় উক্ত সংবাদ সম্মেলনে তাদের স্ত্রী রাণী আখতার ও আসমা আক্তারের নামের অরিদকৃত জমির কোন খতিয়ান এবং দাগ উল্লেখ করে নাই। আমাকে হেয় প্রতিপন্ন ও সামাজিক মর্জাদা ক্ষুন্ন করার জন্য তারা মিথ্যা তথ্য পরিবেশন করে সংবাদ সম্মেলনের যে, লিখিত বক্তব্য প্রদান করেছে তা সম্পূর্ণ অসত্য। ওই সংবাদ সম্মেলনের তিব্র নিন্দা জানাচ্ছি।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button