স্থানীয় সংবাদ

খুলনা বিভাগীয় বন্ধু মিডিয়া ফোরাম গঠনের সভায় বক্তারা

হিজড়াদের সমাজের মূল ¯্রােতে ফিরিয়ে আনতে সাংবাদিকরা কার্যকরী ভূমিকা পালন করবে

স্টাফ রিপোর্টার ঃ ইউএসআইডির সমতা প্রকল্পের সহযোগিতায় খুলনা বিভাগীয় বন্ধু মিডিয়া ফোরামের গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে সভার আয়োজন করে বন্ধু সোশ্যাল ওয়েল ফেয়ার সোসাইটি। রবিবার সকালে খুলনার একটি অভিজাত হোটেলে এ সভার আয়োজন করা হয়। সভায় খুলনার ট্রান্সজেন্ডার, হিজড়া এবং লিঙ্গবৈচিত্র্যময় জনগোষ্ঠীর অধিকার রক্ষায় গণমাধ্যম কর্মীদের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করা হয়। উপস্থিত সাংবাদিকরা এই জনগোষ্ঠীকে তাদের অধিকার নিশ্চিত করতে সমাজে ইতিবাচক ও কার্যকরী ভূমিকা পালনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এছাড়া যেকোন প্রয়োজনে হিজড়াদের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। সভায় উপস্থিত থেকে মতামত তুলে ধরেন বন্ধুর সিনিয়র প্রজেক্ট ম্যানেজার মোঃ মশিউর রহমান, বন্ধুর পাবলিক রিলেশন এন্ড ডকুমেন্টাশন বিভাগের ডেপুটি ম্যানেজার রুহুল রবিন খান, দৈনিক ইত্তেফাকের খুলনা প্রতিনিধি এনামুল হক, সময়ের খবরের চীফ রিপোর্টার সোহরাব হোসেন, ইন্ডিপেনডেন্ট টিভির খুলনা প্রতিনিধি মোঃ শামীমুজ্জামান, বাংলা ট্রিবিউনের খুলনা বিভাগীয় প্রতিনিধি মোঃ হেদায়েৎ হোসেন মোল্লা, দৈনিক তথ্যের বার্তা সম্পাদক আলমগীর হান্নান, দৈনিক প্রবাহের স্টাফ রিপোর্টার খলিলুর রহমান সুমন, বাংলানিউজ ২৪.কমের খুলনা বিভাগীয় প্রতিনিধি মাহবুবুর রহমান মুন্না, ডিবিসি টিভির খুলনা প্রতিনিধি আমিরুল ইসলাম, ঢাকা পোস্টের খুলনা প্রতিনিধি মোহাম্মদ মিলন, দৈনিক জন্মভূমির স্টাফ রিপোর্টার সাইফুল ইসলাম, মধুমতি নিউজের স্টাফ রিপোর্টার প্রিয়া রহমান, নক্ষত্র যুব মানবকল্যাণ সংস্থা সভাপতি পাখি দত্ত, সহ-সভাপতি সজল আহমেদ, প্রান্তজ ফাউন্ডেশনের অর্থ সম্পাদক জাহিদুর রহমান। সভায় লিঙ্গ বৈষম্য যাতে সমাজে না হয় সে ব্যাপারে এসব সাংবাদিকরা পাশে থাকবেন বলে মতামত পেশ করেন। সভায় দৈনিক প্রবাহের স্টাফ রিপোর্টার খলিলুর রহমান সুমনকে আহবায়ক করে ১০ সদস্য বিশিষ্ট খুলনা বিভাগীয় মিডিয়া ফোরামের কমিটি গঠন করা হয়। খুলনাসহ দেশের আটটি বিভাগে হিজড়াদের নিয়ে ইতিবাচক সংবাদ প্রকাশের জন্য বন্ধু বিভাগীয় মিডিয়া ফোরাম গঠন করছে। সভায় বক্তারা বলেন, তৃতীয় লিঙ্গ বলতে কিছু নেই। কাগজ কলমে যা আছে তা হলো হিজড়া জনগোষ্ঠী ও ট্রান্সজেন্ডার জনগোষ্ঠী। জন্মের সময় হরমোণজনিত সমস্যার কারণে এ জনগোষ্ঠীর জন্ম সৃষ্টি হয়। বিশেষ করে বয়ঃসন্ধিকালে এ বিষয়টি বেশীরভাগ সময় ধরা পড়ে। খুলনায় হিজড়ার সংখ্যা ১১৩ জন। ট্রান্স জেন্ডারসহ সব মিলিয়ে খুলনায় এ জনগোষ্ঠীর সংখ্যা ৩৫০ জন। গত ২৭ বছর ধরে বন্ধু এ জনগোষ্ঠীর অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করে চলেছে। ২০১৩ সালে সরকার এ জনগোষ্ঠীকে গেজেটে প্রকাশ করে স্বীকৃতি দেয়। সেই থেকে সরকার তাদের নানা ধরনের সুবিধা দিয়ে আসছে। যা সমাজসেবা অফিসের মাধ্যমে এ জনগোষ্ঠীর মানুষের পেয়ে থাকে।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button